ডেইলী নিউজ বাংলা ডেস্ক , আপলোডের সময় : বৃহস্পতিবার, ৫ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ , আজকের সময় : শনিবার, ২৫ জানুয়ারী, ২০২৫

ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা 

ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা 

অচিনপুরের অচিন গ্রামের তছির মণ্ডল ১৯৭১ সালে যুদ্ধ না করেও মুক্তিযোদ্ধা সেজে দাপটের সাথে জীবন পরিচালিত করছে। টাকার বিনিময়ে ভুয়া সার্টিফিকেট নিয়ে ছেলে মেয়েদের মুক্তিযোদ্ধা কোঠায় চাকুরী দিয়েছে। তার সংসারে এখন অঢেল টাকা-পয়সা। এই তছির মন্ডল ১৯৭১সালে মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন সময়ে লুট তরাজ করতেন। এখন সেই তছির বড় মুক্তিযোদ্ধা। কথায় কথায় দেশপ্রেমের গল্প তার মুখে। ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা সেজে তছিরের মত শত শত চতুরবাজ টাউট ভুয়ারা ভাতার টাকা গ্রহণসহ রাষ্ট্রের সকল সুবিধা ভোগ করছে। তাদেরকে এই ভূয়া সনদ যারা দিচ্ছে তারাও রাষ্ট্রকে বিপদে নিয়ে যাচ্ছে। কি রূখবে এই রাষ্ট্রদ্রোহী চক্রকে?
জীবন মানে সংগ্রাম
জীবন তো সংগ্রামের নাম। নারীর জীবন আরও বেশি সংগ্রামমুখর। স্বামী-সন্তানের যত্ন, রান্না-বান্না, কাপড় কাচা, ঘর গোছানো, মেহমানদারী, হাজারটা কাজ। কাজের শেষ নেই। শত কাজ করলেও কাজ যেন ফুরোয় না। এতসব কাজের মধ্যে এই নারীকে কখনো উপার্জনের দায়িত্ব নিতে হয়। মোট কথা সংসারের পুরো দায়িত্ব তাকেই পালন করতে হয়। ক্লান্তি ঝেড়ে ফেলে কেউ কেউ বিরামহীন কাজ করে অসুস্থ স্বামী ও সন্তান পালনের গুরুদায়িত্ব পালন করেন। এমনি হাজারো সংগ্রামী নারী বাংলার ঘরে ঘরে।
মহাদেবপুরে ইতিকথা
বরেন্দ্র অঞ্চলের অন্তর্গত মহাদেবপুর উপজেলা সুপ্রাচীন ইতিহাস ও ঐতিহ্যমন্ডিত জনপদ। খ্রিষ্টপূর্ব তৃতীয়-চতুর্থ শতকে এই প্রাচীন জনপদের কেন্দ্র ভূমিতে গড়ে ওঠে পুণ্ড্রনগর নামক এক নগর সভ্যতা কেন্দ্র। এ নগর সভ্যতার অভ্যুদয় প্রমাণ করে যে, এর ছিল বিশাল কৃষিভিত্তিক পশ্চাদভূমি। এখানে ছিল একটি সুবৃহৎ সচ্ছল কৃষিজীবী সমাজ। ক্রমশ স্থায়ী গ্রামীণ জীবন ধারার বিকাশ ঘটে, গোড়াপত্তন হয় সমৃদ্ধ কৃষি সমাজের। নানা জাতিগোষ্ঠীর মানুষ যুগ যুগ ধরে বসবাস করতে গিয়ে গড়ে তোলে এক নতুন ধরনের সমাজ ব্যবস্থা, বিকশিত হতে থাকে এক স্বতন্ত্র সাংস্কৃতিক রুপকাঠামো। নানা জাতিগোষ্ঠীরর মানুষ মিশে তৈরী করেছে একটি মিশ্র জনগোষ্ঠী।
ব্রিটিশ শাসনকালে ১৮৮২ সালে নওগাঁ মহকুমা সৃষ্টি হওয়ার পর ১৮৯৮ সালে মহাদেবপুরকে নওগাঁ মহকুমার অর্ন্তভূক্ত করা হয়। এ উপজেলার নামকরণ সম্পর্কে নির্ভরযোগ্য তথ্য পাওয়া যায়না তবে অনুমান করা হয় দেবতা শিব মহাদেবের নাম অনুসারে মহাদেবপুর নামকরণ হয়েছে। ১৯৮৪ সালে নওগাঁ মহকুমা জেলায় রূপান্তরিত হলে মহাদেবপুর উপজেলায় পরিণত হয়। বর্তমানে এ উপজেলা ব্যবসা-বাণিজ্য, শিল্প সাহিত্য আর জীবনযাপনে অগ্রসরমান উপজেলা হিসেবে পরিচিতি লাভ করেছে। মহাদেবপুর উপজেলা সদর, এনায়েতপুর, রাইগাঁ, হাতুর, চাঁন্দাশ, খাজুর, উত্তরগ্রাম, ভীমপুর, চেরাগপুর ও সফাপুর এই দশটি ইউনিয়নের সমন্বয়ে গঠিত। এর উত্তরে পত্নীতলা, দক্ষিণে মান্দা, দক্ষিণ-পূর্বে নওগাঁ সদর, পূর্বে বদলগাছী, পশ্চিমে নিয়ামতপুর ও পোরশা উপজেলা অবস্থিত। জেলা সদর, পার্শ্ববর্তী উপজেলা ও এ উপজেলার দশ ইউনিয়নের সাথে উন্নত সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থা রয়েছে। এ উপজেলায় প্রাচীন বাসাবাড়ি, আদ্যাবাড়ী মন্দির ইত্যাদি সমৃদ্ধ ইতিহাসের অংশ। এখানে বহুকাল ধরে বিভিন্ন ধর্মাবলম্বী ও নৃ-তাত্ত্বিক জনগোষ্ঠীর মধ্যে ধর্মীয় ও সামাজিক সম্প্রীতির অটুট বন্ধন বিদ্যমান রয়েছে। মহাদেবপুর উপজেলা আত্রাই নদীর তীরে অবস্থিত। মৌসুমী বায়ু অঞ্চলের অন্তর্ভুক্ত হওয়ায় পরিবেশগত দিক থেকে এ এলাকা ধান উৎপাদনের উপযোগী। এখানে আর্থ-সামাজিক অবস্থা মূলতঃ কৃষি নির্ভর।
 ইতিহাস থেকে জানা যায় মহাদেবপুরের অধিবাসিরা মুলত পুন্ড্রজাতির বংশধারায় বাংলাদেশে সর্ব প্রথম নগর সভ্যতার গোড়াপত্তন করেছিল। মহাদেবপুরে বর্তমানে বসবাসকারীদের অধিকাংশই পশ্চিম বঙ্গের বীরভূম,বর্ধমান ও রাঢ় অঞ্চল হতে আগত। তা ছাড়া ১৯৪৭ সালে দেশ বিভাগের পর পশ্চিম বঙ্গের মালদহ, মুর্শিদাবাদ ও বালুঘাট থেকে প্রচুর লোকজন এ এলাকায় আগমন করে। এ ছাড়াও মহাদেবপুর উপজেলায় উল্লেখযোগ্য সংখ্যক আদিবাসী বসবাস করে।