ডেইলী নিউজ বাংলা ডেস্ক , আপলোডের সময় : সোমবার, ৯ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ , আজকের সময় : রবিবার, ২২ সেপ্টেম্বর, ২০২৪

বগুড়ায় দীর্ঘ বছর পর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স  প্রথম অস্ত্রোপচার

বগুড়ায় দীর্ঘ বছর পর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স  প্রথম অস্ত্রোপচার

 (বগুড়া) প্রতিনিধি : বগুড়ার ধুনট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স প্রতিষ্ঠার ৬০ বছর পর প্রথমবারের মতো এক প্রসূতির সিজারের মাধ্যমে অপারেশন থিয়েটার (ওটি) চালু করা হয়েছে। আজ রোববার (৮ সেপ্টেম্বর) দুপুরে সফল অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে রোজিনা খাতুন (২৯) নামে এক প্রসূতি কন্যা সন্তানের জন্ম দেন। ওই প্রসূতি উপজেলার ধুনট ইউনিয়নের বিলকাজুলী গ্রামের বেনজির আহম্মেদের স্ত্রী। বর্তমানে মা ও নবজাতক উভয়েই সুস্থ আছেন। অপারেশনের দায়িত্ব পালন করেন-উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. দিবাকর বসাক, কনসালটেন্ট (গাইনি) ডা. মোকছেদা খাতুন, এন্সেথেশিয়া ডা. আনোয়ারুল হক ও আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. এন এ এম আবুল বাসারসহ প্রশিক্ষিত কয়েকজন নার্স। অপারেশন থিয়েটার থেকে প্রসূতিসহ নবজাতককে হাসপাতালের কেবিনে রাখা হয়েছে। নিবিড় পর্যবেক্ষণের মাধ্যমে এখানেই প্রসূতি এবং নবজাতককে সেবা দেওয়া হচ্ছে। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে সফল অপারেশনের সংবাদ ছড়িয়ে পড়লে পুরো এলাকাজুড়ে স্বস্তি নেমে আসে।
স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রথম অস্ত্রোপচারে প্রথম জন্ম নেওয়া শিশুটির বাবা বেনজির আহম্মেদ বলেন, প্রথমে কিছুটা ভয়ে ছিলাম। কারণ, হাসপাতালে প্রথম সিজার এটি। সুষ্ঠুভাবে সিজার সম্পন্ন হওয়ার পর খুবই উপকৃত হয়েছি। অন্য কোথায়ও সিজার করলে ১৫-২০ হাজার টাকা খরচ হতো। কিন্তু হাসপাতালে ফ্রি সেবা পেয়েছি।
স্বাস্থ্য বিভাগ সূত্রে জানা যায়, ১৯৬৪ সালে প্রতিষ্ঠত উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটি ২০০৪ সালে ৩১ শয্যা থেকে ৫০ শয্যায় উন্নীত করা হয়। সরকার প্রায় এক যুগ আগে অপারেশন থিয়েটার নির্মাণ করে সেখানে আধুনিকমানের যন্ত্র বরাদ্দ দেয়। কিন্তু নানা সমস্যা-সংকটের কারণে কোন অপারেশন হচ্ছিল না।
এ বিষয়ে বিপন্ন গণমাধ্যমে সংবাদ  প্রকাশ হয়। প্রায় এক বছর আগে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. দিবাকর বসাক যোগদানের পর বিভিন্নভাবে চেষ্টা চালিয়ে অবশেষে ৮ আগস্ট অপারেশন থিয়েটারের উদ্বোধন করা হয়। উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. দিবাকর বসাক বলেন, এখানে সুন্দরভাবে নরমাল ডেলিভারি করানো হয়। কোন গর্ভবতীর সন্তান প্রসবে সমস্যা হলে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সেই সিজারের ব্যবস্থা করা হয়। এখন থেকে গর্ভবতী মায়েরা প্রয়োজনে নিয়মিত সিজার করতে পারবেন। এই অপারেশন কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে।