বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নিহত শহীদ বাবলু মৃধার দাফন সম্পন্ন
দশমিনা(পটুয়াখালী) প্রতিনিধি বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে ছেলেকে খোঁজ করতে গিয়ে বাবা গুলিবিদ্ধ হয়ে ঢাকায় সিএমএইচ হসাপাতালে ৫৩ দিন পর মারা যান বাবলু মৃধা ১০ সেস্টেস্বর মঙ্গলবার রাত ১০ টায় দাফন সম্পন্ন করা হয়।
দশমিনা উপজেলার বেতাগীসানকিপুর ইউনিয়নের খারিজাবাতাগী ০৭নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা মফিজ মৃধার ছেলে বাবলু মৃধা। পেশায় একজন ইমারত নির্মান শ্রমিক। ঢাকার শোনিআখরা এলাকায় ভাড়া বাসায় স্ত্রী ও ছেলেকে নিয়ে থাকতেন।
পারিবারিক সূত্রে জানা যায় বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে ১৯ জুলাই বিকেলে অংশগ্রহন করে ধনিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের একাদশ শ্রেণীর ছাত্র আবু তালেব সজিব। ছেলেকে খোঁজ করার জন্য ঐ বিকেলেই সজিবের বাবা বকবুল হোসেন ছেলেকে খোঁজ করতে যান। খোঁজ করে না পেয়ে রাত সারে আটটা টায় বাসায় ফেরার পথে শনির আখরা এলাকায় দেশবাংলা হাসপাতালের সামনের রাস্তায় গলিবিদ্ধ হন। পরে তাকে ঢাকা মেডিকেলে নিয়ে যাওয়া হয়। উন্নত চিকিৎসা জন্য সিএমএইচ হসপাতালে ভর্তি করা হয়। ০৯ সেপ্টেম্বর সোমবার সকাল ৯টা ৪০ মিনিটের সময় আইসিউতে চিকাৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। ঢাকা কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের সামনে ১০ সেপ্টেম্বর মঙ্গলবার বিকেল ৪ টায় প্রথম জানান অনুষ্ঠিত হয়। উক্ত জানাজায় উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য হাসান মামুন সহ ঢাকস্থ বিভিন্ন শ্রেনী পেশার লোক। জানাজা শেষে ছাত্র বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নিহত শহীদ বাবলু মৃধাকে ১০ সেপ্টেম্বর মঙ্গলবার রাত সাড়ে নয়টায় নিজ বাড়ি খারিজা বেতাগী নিয়ে আসলে এলাকায় নেমেআসে শোকের ছায়া। নিজ বাড়ির সামনে মসজিদ মাঠে রাত সাড়ে দশটায় দ্ধিতীয় জানাজা শেষে পারিবারিক গোরস্থানে দাফন করা হয়।
নিহত শহীদ বাবলু মৃধার ছেলে আবু তালেব সজিব জানান ১৯ জুলাই আমি বিকেলে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে মিছিলে জন্য যাই। আমার পিতা আমাকে খোঁজ করার জন্য ধনিয়া এলাকায় যান রাতে বাসায় ফেরার পথে গুলিবিদ্ধ হন। রাত তিনটায় ঢাকা মেডিকেল থেকে এক পুলিশ আমাকে মোবাইল ফোনে জানান তোমার বাবার অপারেশন হচ্ছে চলে আসো। আমরা হাসপাতলে গিয়ে দেখি বাবা অপারেশন হচ্ছে। দীর্ঘ ২২ দিন চিকিৎসার পর উন্নত চিকিৎসার জন্য সিএমএইচ হাসতালে ভর্তি করি। ৯ সেপ্টেম্বর সকালে চিকিৎসাধীন আইসিউতে মারা যান। ১০ সেপ্টেম্বর দুপুরে ঢাকা কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে জানাজা শেষে ১০ সেপ্টেম্বর রাতে দশমিনা উপজেলার গ্রামের বাড়ি নিয়ে আসা হয়। রাত সাড়ে দশটায় জানাজা শেষে পারিবারিক গোরস্থানে দাফন করা হয়। তিনি আরো জানান আমার বাবা পরিবারের এক মাত্র উপার্জন ব্যক্তি ছিলেন । ঢাকার শোনিআখরা এলাকায় আকটি রুমে ভাড়া বাসায় থাকতাম। গ্রামের বাড়িতে কোন জমিজমা নেই। জানিনা আমার পড়াশুনা হবে কিনা আর পরিবারইবা কি ভাবে চলবে। আমার পিতার হত্যাকারিদের দৃষ্টান্ত মূলক বিচার দাবি করছি।