ডেইলী নিউজ বাংলা ডেস্ক , আপলোডের সময় : শুক্রবার, ১৩ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ , আজকের সময় : শুক্রবার, ২৪ জানুয়ারী, ২০২৫

বগুড়ায়  নিয়ন্ত্রণমূলক শুল্ক কমলেও  বাজারে দাম কমেনি আলু-পেঁয়াজের 

 বগুড়ায়  নিয়ন্ত্রণমূলক শুল্ক কমলেও  বাজারে দাম কমেনি আলু-পেঁয়াজের 

(বগুড়া) প্রতিনিধি: গত ৫ সেপ্টেম্বর আলু ও পেঁয়াজে শুল্ক কমায় সরকার। তবুও খুচরা বাজারে এখনও আগের বাড়তি দামেই বিক্রি হচ্ছে পণ্য দু’টি। এছাড়াও শুল্ক প্রত্যাহার করা হয়েছে কীটনাশক থেকেও। দেশে আলু এবং পেঁয়াজের বিদ্যমান বাজারমূল্য ও সরবরাহ বিবেচনায় বাংলাদেশ ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশনের সুপারিশের পরিপ্রেক্ষিতে সার্বিক অবস্থা পর্যালোচনা ক্রমে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) আলু আমদানির ক্ষেত্রে শুল্ক কমিয়ে ১৫ শতাংশ করার পাশাপাশি ৩ শতাংশ নিয়ন্ত্রণমূলক শুল্ক তুলে নেয়। এছাড়া পেঁয়াজ আমদানিতে বিদ্যমান ৫ শতাংশ নিয়ন্ত্রণমূলক শুল্ক প্রত্যাহার করা হয়। গত ৫ সেপ্টেম্বর ট্যারিফ কমিশনের প্রস্তাবনা মোতাবেক এনবিআর এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করে। তবে সরকারের এই শুল্ক প্রত্যাহারের কোন প্রভাব পড়েনি বগুড়ার বাজারগুলোতে। আগের বাড়তি দামেই আলু-পেঁয়াজসহ অন্যান্য সবজি বিক্রি হতে দেখা যায়। গতকাল  বৃহস্পতিবার (১২ সেপ্টেম্বর) বগুড়ার ফতেহ আলী বাজারসহ বেশকিছু বাজার ঘুরে দেখা যায়, আলু মানভেদে আগের দাম ৫৫-৬০ টাকা কেজি, প্রতিকেজি দেশি পেঁয়াজ আগের দাম ১১০-১২০, আমদানিকৃত ভারতীয় পেঁয়াজ ১০০-১০৫ টাকায় বেচাকেনা হতে দেখা যায়। কাঁচামরিচ ১৮০ টাকা কেজি থেকে বেড়ে ২০০ টাকা, বেগুন, করলা ও কচুমুখির কেজি ৬০, পটল ও চিচিংগার কেজি ৫০, ঢেড়সের কেজি ৪০, বরবটি ও ঝিংগার কেজি ৮০ এবং শশা ৩০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। আদার কেজি মানভেদে ১৮০-২৪০ এবং রসুনও মানভেদে ২০০-২৪০ টাকা কেজিতে বিক্রি হতে দেখা যায়। এদিকে আটা প্রতি এক কেজির প্যাকেট ৫০ ও খোলা আটা ৪৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। ময়দা এক কেজির প্যাকেট ৬৫, মশুরের ডালের কেজি ১১০-১৩০, মুগ ডাল ১৫০-১৮০, খেসারি ডাল ১০৫ এবং চিনির কেজি ১২৫ টাকায় বিক্রি হতে দেখা যায়। পাঁচ লিটার বোতলজাত সয়াবিন তেল ৭৮৫-৮১০ এবং এক লিটারের দাম পড়ছে ১৬৫ টাকা।
অপরদিকে বগুড়ার বাজারগুলোতে মোটা ও মাঝারি মানের চালে বাড়তি দাম বেচাকেনা হতে লক্ষ্য করা গেছে। মোটা মানের স্বর্ণা-৫, রঞ্জিত ও হাইব্রিড চাল ৫৮-৬০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। বিআর-২৮ চাল ৬০ থেকে ৬২ টাকায় বিক্রি হতে দেখা যায়। ব্রয়লার মুরগির কেজি ১৬৫ টাকা এবং সোনালী মুরগির কেজিতে ২০ টাকা পর্যন্ত দাম কমে ২৪০ টাকায় বেচাকেনা হয়। তবে দেশি মুরগির কেজিতে ১০ টাকা পর্যন্ত দাম কমে ৪৫০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। ডিমের হালি ৫০ টাকায় বেচাকেনা হতে দেখা যায়। গরুর মাংসের কেজি ৭০০ টাকা। খাসির মাংস এক হাজার টাকায় বেচাকেনা হচ্ছে। শহরের এই বাজারে আড়াই থেকে তিন কেজি ওজনের রুই মাছ প্রতিকেজি ২৮০-৩০০ টাকা, চার কেজি ওজনের কাতল মাছ ৩৩০-৩৫০ টাকা এবং তিন কেজি ওজনের সিলভার কার্প মাছ ২৫০ টাকা কেজিতে বিক্রি হতে দেখা যায়। এছাড়াও পাবদা মাছের কেজি আকারভেদে ২৫০-৩৫০, টেংরা ৩০০-৪৫০, শিং মাছ ২৫০-৪৫০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। এদিকে বাজারে ইলিশের সরবরাহ আগের চেয়ে কমেছে, ফলে দামও বেশ চড়া। বিক্রেতারা বলছেন, দেড় কেজি ওজনের ইলিশ মাছ দুই হাজার থেকে ১৭শ’ টাকা কেজি, এক কেজি ওজনের প্রতিটি ইলিশ ১৪শ’ টাকা, ৮শ’ গ্রাম ইলিশ এক হাজার থেকে ১২শ’, ৫শ’ গ্রাম বা তার বেশি ওজনের ইলিশ এক হাজার টাকা এবং সবচেয়ে ছোট যে ইলিশ তাও ৫শ’ টাকা কেজিতে বিক্রি হতে দেখা যায়।