ডেইলী নিউজ বাংলা ডেস্ক , আপলোডের সময় : বুধবার, ১৮ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ , আজকের সময় : শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর, ২০২৪

পাল্টে গেছে পরিবেশ বোয়ালমারী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের

পাল্টে গেছে পরিবেশ বোয়ালমারী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের

তৈয়বুর রহমান কিশোর, বোয়ালমারী, ফরিদপুর: ফরিদপুরের বোয়ালমারী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ভিতরে বাহিরে পাল্টে গেছে পরিবেশ। স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সীমানার মধ্যে অনেক নোংরা আবর্জনা ও ময়লার স্তব ছিল। এগুলো পরিষ্কার করে ফুলের বাগান তৈরি করেছেন বর্তমান উপজেলা স্বাস্থ্য ও প.প কর্মকর্তা ডা. এম এ নাহিদ আল রাকিব। স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে সেবা নিতে আশা রোগীদের সাথে আসা বাচ্চাদের জন্য নির্মাণ করেছেন বিভিন্ন খেলার সামগ্রী।
এক সময় স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সীমানার মধ্যে ঢুকলে দেখা মিলতো বিভিন্ন ঘাস জঙ্গল ও নোংরা আবর্জনা। সেখানে মশা মাছিসহ ছিল প্রচুর গন্ধ। এছাড়া বাতাসে গন্ধ ছড়িয়ে পড়তো বাউন্ডারির মধ্যে। এখন আর কোন প্রকার গন্ধ সীমানার মধ্যে পাওয়া যায় না। ভিতরে ঢুকলেই চোখে পড়ে ফুল বাগানের বিভিন্ন জাতের ফুল। ভিন্ন ধরনের মনোরম পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে এই ফুলের বাগানের জন্য। গড়ে উঠেছে দৃষ্টিনন্দ এলাকা।
বোয়ালমারী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ৫০ সয্যা বিশিষ্ট। রোগীদের থাকার কক্ষগুলোতেও কোন প্রকার নেই কোন দুর্গন্ধ। কোন রকমের দুর্গন্ধ সৃষ্টি হলে সঙ্গে সঙ্গে সেটা দূর করা হয়। হাসপাতলে ভর্তি হওয়া রোগীরাও আগের থেকে অনেক ভালোভাবেই থাকেন হাসপাতালে।
এক সময় হাসপাতলে রোগীদের বেডে অনেকেই যেতে চেতনা দুর্গন্ধের কারণে। এখন আর রোগীদের বেডে গেলে দুর্গন্ধ নাকে আসে না। এখন আর রোগীদের বিভিন্ন অভিযোগ শোনা যায় না।
উপজেলার বাসিন্দা মো. মিজানুর রহমান, মো. আজিজুর রহমান বলেন, হাসপাতালের বর্তমান কর্মকর্তা ডা. এম এ নাহিদ আল রাকিব হাসপাতালে যোগদান করার পর থেকে হাসপাতালের চেহারাটাই পাল্টিয়ে দিয়েছেন।
তারা আরো বলেন, আগের কর্মকর্তা ডা. খালেদুর রহমান হাসপাতালের পরিবেশ পাল্টানোর কিছু কাজ করে গেছেন।
হাসপাতালের উপজেলা স্বাস্থ্য ও প. প কর্মকর্তা ডাক্তার এম এ নাহিদ আল রাকিব জানান, আমার উদ্দেশ্য হাসপাতালে যারা সেবা নিতে আসেন তারা যেনো কোন রকমের কোন অভিযোগ না করেন, যে হাসপাতালে দুর্গন্ধ, হাসপাতালে সিমানার মধ্যে ঘাস জঙ্গল মশা মাছিতে ভরা, তাই সাধ্যমত হাসপাতালকে সাজাতে চেষ্টা করতেছি। ভর্তি রোগীদের কক্ষে সব সময় পরিষ্কার রাখা হয়। যাতে ভর্তি রোগীরা সুন্দরভাবে চিকিৎসা নিয়ে বাড়ি যেতে পারেন।
তিনি আরো বলেন আমি হয়তো এক সময় থাকবো না এই হাসপাতালে। যাতে এই উপজেলার মানুষ বলতে পারেন এমন একজন কর্মকর্তাকে পেয়েছিলাম হাসপাতাল টারে সুন্দরভাবে সাজিয়েছেন এবং সব সময়ই পরিষ্কার রাখতেন।