ডেইলী নিউজ বাংলা ডেস্ক , আপলোডের সময় : বৃহস্পতিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ , আজকের সময় : শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর, ২০২৪

বগুড়ায় শেষ মুহুর্তের প্রস্তুতি: রঙ-তুলির আঁচড়ে রঙিন হচ্ছে প্রতিমা

বগুড়ায় শেষ মুহুর্তের প্রস্তুতি: রঙ-তুলির আঁচড়ে রঙিন হচ্ছে প্রতিমা
(বগুড়া) প্রতিনিধি : আর কয়েকদিন পরই হিন্দু সনাতন ধর্মালম্বীদের প্রধান ধর্মীয় উৎসব দুর্গাপূজা অনুষ্ঠিত হবে। আসন্ন দুর্গাপূজাকে সামনে রেখে বিভিন্ন উপজেলার  প্রতিমা তৈরির কারিগররা প্রতিমা তৈরি করতে ব্যস্ত। তবে গত বছরের চেয়ে কমেছে মন্ডপের সংখ্যা। উপজেলার পৌর এলাকার যুগোল কিশোর মন্দিরে চলছে প্রতিমা তৈরির কাজ। গত ১৫ দিন আগে থেকে প্রতিমা তৈরি শুরু হয়েছে। এরই মধ্যে মন্ডপের কাঠামো তৈরি এবং খড়ের কাজ শেষ হয়েছে। এখন চলছে মাটির কাজ। এরপর মাটির তৈরি প্রতিমায় রং তুলির কাজ করা হবে। সারিয়াকান্দি পৌর বাজারের নয়ন রাজভর (৪০) এবং তার স্ত্রী সোহাগী রানী (২৬) গত ১৭ বছর ধরেই প্রতিমা তৈরির সাথে জড়িত। প্রতিমা বিক্রি করেই তাদের সংসার চলে। প্রতিটি প্রতিমা  ৪০ থেকে ৫০ হাজার টাকার অর্ডার পেয়েছেন। এ মৌসুমে তিনি ৩ টি দুর্গাপূজার প্রতিমা সেট তৈরি করছেন। নয়ন এবং তার স্ত্রী সোহাগী সারা বছরই প্রতিমা তৈরির কাজ করেন। প্রতিমা বিক্রি করেই তাদের সংসার চলে। প্রতিমা গুলো বগুড়া, সিরাজগঞ্জ, ধনুট, গোবিন্দগঞ্জ এবং সারিয়াকান্দিতে তারা বিক্রি করেন। দুর্গাপূজা ছাড়াও তারা কালিপূজা, লক্ষীপূজা, সরস্বতী পূজা, জগৎ ধাত্রী পূজাসহ বিভিন্ন ধরনের পূজার প্রতিমা তৈরি করেন। প্রতিমা বিক্রির আয় থেকেই তাদের সারা বছর সংসার খরচসহ তাদের ১ মেয়ে ১ ছেলে খরচও  চলে। নয়ন রাজভর জানান, প্রতিবছর তিনি ৬ টিরও বেশি প্রতিমাসেট তৈরির অর্ডার পান। এ বছর তিনি মাত্র ৩ টি প্রতিমা তৈরির অর্ডার পেয়েছেন। তিনি বলেন, ছোটবেলা থেকেই প্রতিমা গড়ার কাজ খুবই পছন্দ করি। প্রায় ১৮ বছর আগে থেকে প্রতিমা গড়ার কাজ করছি। এখন আমার নেশা হয়ে গেছে। এ কাজে আমি খুবই আনন্দ পায়। সারিয়াকান্দি উপজেলার  পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি প্রভাত চন্দ্র সাহা জানান  গত বছর সারিয়াকান্দিতে ২৫ টি মন্দিরে দুর্গাপূজা অনুষ্ঠিত হয়েছে। তবে দেশের চলমান পরিস্থিতিতে এ বছর দুর্গাপূজার মন্ডপের সংখ্যা কমেছে। এ পর্যন্ত এ বছর ২০ টি পূজা মন্ডপে দুর্গাপূজা অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে। যেহেতু কোনও দলীয় সরকার ক্ষমতায় নাই তাই কোনও নেতাদের আর্থিক সহায়তা পাওয়ার কোনও আশা নাই। তিনি আরো জানান এছাড়া পূজামন্ডপে সরকারি কোনও আর্থিক সহযোগিতারও আশ্বাস পাওয়া যাচ্ছে না। তাই এ বছর পূজা মন্ডপের সংখ্যা কমেছে। সারিয়াকান্দি থানার পুলিশ পরিদর্শক ওসি তদন্ত জামিরুল ইসলাম জানান  গত বছরগুলোর মত সারিয়াকান্দিতে অনুষ্ঠিত সকল দুর্গা মন্দিরের নিরাপত্তায় বিশেষ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।