1. zillu.akash@gmail.com : admi2017 :
  2. editor@dailynewsbangla.com : Daily NewsBangla : Daily NewsBangla
শরতের শুরুতেই দেখা মিললো পালতোলা নৌকার - dailynewsbangla
শনিবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৩:৫৬ অপরাহ্ন
শিরোনাম:
প্রকৃত কৃষকদের মাঝে  কৃষি কার্ড  সহ কৃষি উপকরণের দাম কমাও-বগুড়ায় কৃষক সমিতি  আমাদেরকে মহানবী হযরত মুহাম্মাদ (সাঃ) এর পথ অনুসরণ করে চলতে হবে– অধ্যক্ষ শাহাবুদ্দিন শরতের শুরুতেই দেখা মিললো পালতোলা নৌকার নওগাঁয় ৭ দফা দাবিতে যুব অধিকার পরিষদের মানববন্ধন পোরশায় জামায়াতে ইসলামীর যুব সম্মেলন অনুষ্ঠিত শাজাহানপুরে চোপিনগর উচ্চ বিদ্যালয়ে আন্তঃ শ্রেণি ফুটবল টুর্নামেন্ট শাজাহানপুরে কিন্ডারগার্টেন এসোসিয়েশন বৃত্তিপ্রাপ্তদের সনদ ও পুরস্কার প্রদান মরহুম সাবেক পৌর চেয়ারম্যান আমিরুল ইসলাম মঞ্জু ফাউন্ডেশনের শিক্ষা বৃত্তি প্রদান সারিয়াকান্দিতে তরুণ প্রজন্মের উদ্যোগে বৃক্ষ রোপণ কর্মসূচি  বগুড়ায়  আগাম শীতকালীন সবজি চাষে ব্যস্ত সময় পার করছেন কৃষকরা

শরতের শুরুতেই দেখা মিললো পালতোলা নৌকার

ডেইলী নিউজ বাংলা ডেস্ক
  • আপডেট টাইম : শনিবার, ২১ সেপ্টেম্বর, ২০২৪

শরতের শুরুতেই দেখা মিললো পালতোলা নৌকার

(বগুড়া) প্রতিনিধি : গত কয়েকদিন ধরেই বগুড়া সারিয়াকান্দির নদীতে দেখা মিলছে পালতোলা নৌকার। উপজেলার যমুনা নদীতে এখন নৌকা পাল তুলে আপন মনে দুর্গম চরাঞ্চলে পারি জমাচ্ছেন চরবাসী। অনেক বছর পর নদীতে পালতোলা নৌকা দেখে চেয়ে থাকেন নদী তীর দিয়ে হেঁটে যাওয়া পথিক।
আগে পালতোলা নৌকা ব্যবহার করা হতো। ইঞ্জিন চালিত যানবাহন চালু হওয়ার পর থেকেই কমতে থাকে পালতোলা নৌকা। সেইসাথে বিলুপ্ত হতে থাকে পালতোলা নৌকা। তবে শরতের বাতাসে যমুনায় সকালে বা বিকালে হঠাৎ দেখা মিলছে পালতোলা নৌকার। পালতোলা নৌকার মাঝি ধলু ফকির জানান, তেলের দামের সাথে তালমিলিয়ে চলতে না পেরে তিনি পালতোলা নৌকার ব্যবহার পুনরায় শুরু করেছেন। যমুনা চরে লাল মরিচ, স্থানীয় জাতের গাইঞ্জা ধান এবং মাসকলাই এর আবাদ আছে। নদী ভাঙনের শিকার হয়ে তিনি যমুনার ডানতীরে বন্যা নিয়ন্ত্রণ বেড়িঁবাধে বসতি গড়ে তুলেছেন। ফসলের যত্ন করতে এবং নিজের গরুর জন্য ঘাস আনতেই তিনি পালতোলা নৌকায় প্রতিদিন যমুনা নদী পাড়ি দেন। তিনি বলেন, স্বাধীনতা পরবর্তী সময়ে শ্যালো মেশিন নৌকায় ব্যবহার শুরুর পর থেকেই পালতোলা নৌকার কদর কমে যায়। আর এসব মেশিন গুলো চালু হওয়ার পর পরই বিভিন্ন ধরনের ইঞ্জিন চালিত যানবাহন চলাচল শুরু হয়। তখন থেকেই কমতে শুরু হয় পালতোলা নৌকার। গত কয়েকবছর শ্যালো মেশিন চালিত নৌকা ব্যবহার করেছি। এখন তেলের দাম বেশি তাই আবারও পালতোলা নৌকা চালানো শুরু করেছি। এতে আমার কোনও খরচই হচ্ছে না। যমুনা, বাঙালি এবং সুখদহ নদী বেষ্টিত বগুড়া সারিয়াকান্দির বিভিন্ন বন্দরে আগে ভিড়ত নানা ধরনের পালতোলা নৌকা। তখন এখানে ব্যবসা বানিজ্যের অন্যতম বাহন ছিল এ পালতোলা নৌকা। সাধারণ পালতোলা নৌকাতে হাজারীপাল, বিড়ালীপাল, বাদুরপাল ইত্যাদিপালের ব্যবহার ছিল। প্রমোদ ভ্রমণে ময়ূরপঙ্খী, পানসি ও মধ্যবিত্তদের বজরা, নৌকা ব্যবহৃত হতো। কৃষকরা গস্তি ও ডিঙি আর নিম্নবিত্তরা ঘাটে গয়না ও কোষা নৌকা ব্যবহার করতেন। নৌকায় দাঁড় টানার কাজে ব্যবহার করা হত কৃতদাসদের। দাঁড় টেনে নৌকা বাওয়া অত্যন্ত শ্রমসাধ্য ও ক্লান্তিকর। পালের উদ্ধাবন এ অবস্থা থেকে মানুষকে খানিকটা মুক্তি দিয়েছে। স্থানীয় বাসিন্দা, আশরাফুল ইসলাম জানান  ইঞ্জিন চালিত নৌকা বা যানবাহন এখন আমাদের জীবনের অংশ হয়ে গেছে। এর কালো ধোঁয়ায় পরিবেশ ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে, এতে আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্ম পাচ্ছে বিষাক্ত পরিবেশ। বাড়ছে এজমাসহ নানা ধরনের দুরারোগ্য অসুখ। বর্তমানে সারিয়াকান্দি যমুনায় দেখা মিলছে পাল তোলা নৌকার। এতে একদিকে আমাদের জ্বালানি তেলের সাশ্রয় হচ্ছে অপরদিকে পরিবেশ ভাল থাকছে এবং দেশের অর্থ সাশ্রয় হচ্ছে। তাই আমাদের আগের সেই পালতোলা নৌকার যুগে ফিরে যেতে হবে।

নিউজটি শেয়ার করুন..

এ জাতীয় আরো সংবাদ