রাজশাহী ব্যুরো: দীর্ঘ ১ বছর ধরে বন্ধ থাকা উত্তরা এক্সপ্রেস ট্রেনটি পুনরায় চালুর দাবিতে পশ্চিমাঞ্চল রেলের মহাব্যবস্থাপক (পশ্চিম) বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করেছে রাজশাহী রক্ষা সংগ্রাম পরিষদ।
রবিবার বেলা ১১টায় সংগঠনটির নেতৃবৃন্দ পশ্চিমাঞ্চল রেল ভবনে উপস্থিত হয়ে জিএম মামুনুল ইসলামকে স্মারকলিপি প্রদান করেন সংগঠনটির সাধারণ সম্পাদক জামাত খান। এসময় স্মারকলিপি পড়ে শোনান সংগঠনটির কার্যনির্বাহী সদস্য ও রাজশাহী সার্ভেকলেজের সাবেক অধ্যক্ষ মাহমুদ হাসান। স্মারকলিপিতে বলা হয়, উত্তরা এক্সপ্রেস ট্রেনটি রাজশাহী হতে পার্বতীপুর রুটে চলাচল করত। ফলে ঐ অঞ্চলের ছাত্র-ছাত্রী, বিভিন্ন শ্রেণীর ব্যবসায়ী, অসুস্থ্য ব্যক্তি, চাকুরীজীবী এবং সর্ব সাধারন চলাচলের ব্যাপকভাবে সুবিধা হতো। কিন্তু ট্রেনটি হঠাৎ বন্ধ হয়ে যাওয়ায় এই অঞ্চলের সুবিধাভোগীরা যাতায়াতের ক্ষেত্রে চরম অসুবিধার মধ্যে পড়েছেন।
স্মারকলিপিতে আরও বলা হয়, বাংলাবান্ধা আন্তঃনগর ট্রেনটিতে পূর্বে এসি কোচ সংযোজিত ছিল। উক্ত রুটে আমদানী-রপ্তানী কারক, ব্যবসায়ী মহল, মুমুর্ষরুগী ও সর্বসাধারণ যাত্রীগণ নির্বিঘ্নে চলাচলে সুবিধা পেয়ে আসছিলেন। কিন্তু বাংলা বান্ধা আন্তঃনগর ট্রেনটিতে এসি কোচ বিচ্ছিন্ন করায় উক্ত সুবিধাভোগীগণ যাতায়াতের ক্ষেত্রে প্রাপ্তসেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। এমন অবস্থায় রাজশাহী, নাটোর, সান্তাহার, পার্বতীপুরসহ এই রুটের অনেক স্টেশনের যাত্রীসাধারণ উত্তরা এক্সপ্রেস ট্রেন চালু করা সহ বাংলাবান্ধা আন্তঃনগর ট্রেনে এসি কোচ পুণঃস্থাপনের দাবি জানিয়ে আসছেন। তাই উত্তরাঞ্চলের স্বার্থে উত্তরা এক্সপ্রেস ট্রেন চালু করা ও বাংলাবান্ধা আন্তঃনগর ট্রেনে এসি কোচ পুণঃস্থাপনের জন্য দাবি উপস্থাপন করেন।
এসময় উপস্থিত ছিলেন রাজশাহী জেলা ক্যাবের সাধারণ সম্পাদক গোলাম মোস্তফা মামুন, রাজশাহী রক্ষা সংগ্রাম পরিষদের উপদেষ্টা ও দৈনিক সোনার দেশের সম্পাদক আকবারুল হাসান মিল্লাত, রাজশাহী প্রেসক্লাবের সভাপতি শ ম সাজু, রাজশাহী রক্ষা সংগ্রাম পরিষদের সাধারন সম্পাদক জামাত খান, বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলনের (বাপা) রাজশাহীর সাংগঠনিক সম্পাদক জিয়াউল গণি সেলিম, রাজশাহী জেলা সুজনের সাধারণ সম্পাদক মাহমুদুল আলম, রাজশাহী ওয়েব’র সভাপতি আঞ্জুমান আরা লিপি, নারী শিল্প উদ্যোক্তার চেয়ারম্যান সেলিনা বেগম, সমাজসেবক মেহেদী হাসান, বেসরকারি ট্রেন পরিচালনা সংস্থার প্রতিনিধি ইয়াছিন উর রহমান।
স্মারকলিপি প্রদানের পর গণমাধ্যমের সামনে কথা বলেছেন পশ্চিমাঞ্চল রেলের মহাব্যবস্থাপক (পশ্চিম) মামুনুল ইসলাম পিইঞ্জঃ। এসময় তিনি বলেন, আমি একটি স্মারকলিপি পেয়েছি। আমি উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সাথে কথা বলবো ট্রেনটি চালুর জন্য। কবে চালু করা হবে এবিষয়ে নিশ্চতভাবে বলা যাবেনা। তবে শুধু উত্তরা এক্সপ্রেস নয়, লোকবল সংকটের কারনে এরকম আরও অনেক ট্রেন বন্ধ রয়েছে। ইন্ডিয়ার থেকে ২০০ টি কোচ ক্রয়ের চুক্তি রয়েছে। সেগুলো আসলে এই সকল রুটে ট্রেন চালু করা সম্ভব হবে। উত্তরা এক্সপ্রেস ট্রেনটি কেন বন্ধ করা হয়েছে জানতে চাইলে তিনি জানান, মুলত লোকবল ও কোচ সংকটের কারনে ট্রেনটি বন্ধ হয়েছে। বর্তমানে ৪৮ শতাংশ লোকবল দিয়ে রেলের কার্যক্রম চলমান আছে। চেষ্টা করা হচ্ছে লোকবল বাড়ানোর। লোকবল সংকট সমাধান হলে রেলপথ সেবা নিশ্চিত করা সম্ভব হবে।