ঢাকা ০৬:০৪ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২১ নভেম্বর ২০২৫, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম
ভেড়ামারায় পদ্মায় ডুবে নিহত দুই কৃষকের পরিবারে জেলা প্রশাসকের মানবিক সহায়তা লালপুরে খাদ্যবান্ধব কর্মসূচিতে চাল কম দেয়ার অভিযোগ হৃদরোগ ও স্ট্রোকে মৃত্যুহার কমাতে ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশনের প্রশিক্ষণ কর্মশালা অনুষ্ঠিত লালপুরে ভেজাল গুড় ও অবৈধ আখ মাড়াই বিরোধী অভিযান রাঙামাটির উন্নয়নে সবার সহযোগিতা চাই: ডিসি নাজমা আশরাফী লক্ষীপুরে ৪ সাংবাদিকের মামলা তদন্তে উদ্বিগ্ন বিএমইউজে  ভেড়ামারায়  গ্রামীণ সড়কের কোর রোড নেটওয়ার্ক ও সড়ক অগ্রাধিকার নির্ধারণ বিষয়ক কর্মশালা ভেড়ামারায় পদ্মায়  নৌকা ডুবে ২ কৃষকের মৃত্যু রাজশাহীর জলিল বিশ্বাস মার্কেট ব্যবসায়ী কমিটির পরিচিতি সভা অনুষ্ঠিত কুষ্টিয়ার দৌলতপুরে শরীফ উদ্দিন জুয়েলের নির্দেশনায় হাসিনার ফাঁসিরদাবিতে বিক্ষোভ মিছিল

সিন্ডিকেটের বেড়াজালে বন্দি বরেন্দ্রঞ্চলের ফুলকপি চাষিরা 

সিন্ডিকেটের বেড়াজালে বন্দি বরেন্দ্রঞ্চলের ফুলকপি চাষিরা 

মোহাম্মদ আককাস আলী : ন্যায্য মূল্য থেকে বঞ্চিত এবং সিন্ডিকেটের বেড়াজালে বন্দি বরেন্দ্রঞ্চলের ফুলকপি চাষিরা।
শীতকালীন সবজি ফুলকপি কৃষকদের প্রাপ্ত মূল্যের চেয়ে প্রায় দ্বিগুণ মূল্যে ক্রয় করতে হচ্ছে সাধারণ ভোক্তাদের। পাইকাররা কৃষকদের কাছ থেকে ছোট ফুলকপি প্রতি কেজি ৩০ টাকা, মাঝারি আকারের ফুলকপি ৪০ টাকা এবং বড় আকারের ফুলকপি ৫০ টাকা কেজি দরে কেনেন। বিক্রি করছেন দিগুণ কিংবা তিনগুণ দামে। জেলা সদরে ও সদর উপজেলার হাপানিয়া ইউনিয়নের ডাক্তারের বাড়ির মোড়ে প্রতিদিন ভোর থেকে বসে ফুলকপি বিক্রির পাইকারি বাজার। বিভিন্ন গ্রাম থেকে কৃষকরা তাদের উৎপাদিত ফুলকপি নিয়ে আসেন এবং পাইকারদের কাছে বিক্রি করেন।
খুচরা বাজারে ব্যবসায়ীরা সাধারণ ক্রেতাদের কাছে ফুলকপি কেজি হিসেবে বিক্রি না করে পিস হিসেবে বিক্রি করেন। ছোট প্রতিটি কমপক্ষে ২০টাকা, মাঝারি আকারের প্রতিটি ৩০ টাকা এবং বড় আকারের প্রতিটি ৫০ থেকে ৬০ টাকায় বিক্রি করছেন। ছোট আকারের চারটিতে এক কেজি হয়। সেই হিসাবে ভোক্তাপর্যায়ে এই চারটি কপির বিক্রিমূল্য ৮০ টাকা। অথচ কৃষক এই চারটি কপির মূল্য পাচ্ছেন ৩০ টাকা।
অন্যদিকে বর্তমান বাজারে বড় আকারের ফুলকপি কেজিতে ধরে দুটি। খুচরা ব্যবসায়ীরা এই দুটি কপি ক্রয় করেন ৫০ টাকায়। ভোক্তাপর্যায়ে এই দুটি কপি বিক্রি করছেন কমপক্ষে ১০০ টাকায়।
নওগাঁ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক কৃষিবিদ আবুল কালাম আজাদ জানান, কৃষকরা সাধারণত মাঠমুখী। যত তাড়াতাড়ি পারেন তাদের ফসল বিক্রি করে মাঠের দিকে নজর দেন। এ জন্য বাজারে এসে অপেক্ষা না করে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব ফসল বিক্রি করে চলে যান। এই সুযোগে ব্যবসায়ীরা কম মূল্যে ক্রয় করেন। ফলে মধ্যস্বত্বভোগীরা অধিক মুনাফার সুযোগ পেয়ে থাকেন।  চলতি মৌসুমে জেলায় ২৫০ হেক্টর জমিতে ফুলকপির আবাদ হয়েছে, যা থেকে ছয় হাজার ৭৫০ মেট্রিক টন ফুলকপি উৎপাদন হবে বলে প্রত্যাশা কৃষি বিভাগের।
Tag :
জনপ্রিয় সংবাদ

ভেড়ামারায় পদ্মায় ডুবে নিহত দুই কৃষকের পরিবারে জেলা প্রশাসকের মানবিক সহায়তা

সিন্ডিকেটের বেড়াজালে বন্দি বরেন্দ্রঞ্চলের ফুলকপি চাষিরা 

আপডেট টাইম : ০৭:৫৬:৩৭ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৬ ডিসেম্বর ২০২৪

সিন্ডিকেটের বেড়াজালে বন্দি বরেন্দ্রঞ্চলের ফুলকপি চাষিরা 

মোহাম্মদ আককাস আলী : ন্যায্য মূল্য থেকে বঞ্চিত এবং সিন্ডিকেটের বেড়াজালে বন্দি বরেন্দ্রঞ্চলের ফুলকপি চাষিরা।
শীতকালীন সবজি ফুলকপি কৃষকদের প্রাপ্ত মূল্যের চেয়ে প্রায় দ্বিগুণ মূল্যে ক্রয় করতে হচ্ছে সাধারণ ভোক্তাদের। পাইকাররা কৃষকদের কাছ থেকে ছোট ফুলকপি প্রতি কেজি ৩০ টাকা, মাঝারি আকারের ফুলকপি ৪০ টাকা এবং বড় আকারের ফুলকপি ৫০ টাকা কেজি দরে কেনেন। বিক্রি করছেন দিগুণ কিংবা তিনগুণ দামে। জেলা সদরে ও সদর উপজেলার হাপানিয়া ইউনিয়নের ডাক্তারের বাড়ির মোড়ে প্রতিদিন ভোর থেকে বসে ফুলকপি বিক্রির পাইকারি বাজার। বিভিন্ন গ্রাম থেকে কৃষকরা তাদের উৎপাদিত ফুলকপি নিয়ে আসেন এবং পাইকারদের কাছে বিক্রি করেন।
খুচরা বাজারে ব্যবসায়ীরা সাধারণ ক্রেতাদের কাছে ফুলকপি কেজি হিসেবে বিক্রি না করে পিস হিসেবে বিক্রি করেন। ছোট প্রতিটি কমপক্ষে ২০টাকা, মাঝারি আকারের প্রতিটি ৩০ টাকা এবং বড় আকারের প্রতিটি ৫০ থেকে ৬০ টাকায় বিক্রি করছেন। ছোট আকারের চারটিতে এক কেজি হয়। সেই হিসাবে ভোক্তাপর্যায়ে এই চারটি কপির বিক্রিমূল্য ৮০ টাকা। অথচ কৃষক এই চারটি কপির মূল্য পাচ্ছেন ৩০ টাকা।
অন্যদিকে বর্তমান বাজারে বড় আকারের ফুলকপি কেজিতে ধরে দুটি। খুচরা ব্যবসায়ীরা এই দুটি কপি ক্রয় করেন ৫০ টাকায়। ভোক্তাপর্যায়ে এই দুটি কপি বিক্রি করছেন কমপক্ষে ১০০ টাকায়।
নওগাঁ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক কৃষিবিদ আবুল কালাম আজাদ জানান, কৃষকরা সাধারণত মাঠমুখী। যত তাড়াতাড়ি পারেন তাদের ফসল বিক্রি করে মাঠের দিকে নজর দেন। এ জন্য বাজারে এসে অপেক্ষা না করে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব ফসল বিক্রি করে চলে যান। এই সুযোগে ব্যবসায়ীরা কম মূল্যে ক্রয় করেন। ফলে মধ্যস্বত্বভোগীরা অধিক মুনাফার সুযোগ পেয়ে থাকেন।  চলতি মৌসুমে জেলায় ২৫০ হেক্টর জমিতে ফুলকপির আবাদ হয়েছে, যা থেকে ছয় হাজার ৭৫০ মেট্রিক টন ফুলকপি উৎপাদন হবে বলে প্রত্যাশা কৃষি বিভাগের।