সিন্ডিকেটের বেড়াজালে বন্দি বরেন্দ্রঞ্চলের ফুলকপি চাষিরা
মোহাম্মদ আককাস আলী : ন্যায্য মূল্য থেকে বঞ্চিত এবং সিন্ডিকেটের বেড়াজালে বন্দি বরেন্দ্রঞ্চলের ফুলকপি চাষিরা।
শীতকালীন সবজি ফুলকপি কৃষকদের প্রাপ্ত মূল্যের চেয়ে প্রায় দ্বিগুণ মূল্যে ক্রয় করতে হচ্ছে সাধারণ ভোক্তাদের। পাইকাররা কৃষকদের কাছ থেকে ছোট ফুলকপি প্রতি কেজি ৩০ টাকা, মাঝারি আকারের ফুলকপি ৪০ টাকা এবং বড় আকারের ফুলকপি ৫০ টাকা কেজি দরে কেনেন। বিক্রি করছেন দিগুণ কিংবা তিনগুণ দামে। জেলা সদরে ও সদর উপজেলার হাপানিয়া ইউনিয়নের ডাক্তারের বাড়ির মোড়ে প্রতিদিন ভোর থেকে বসে ফুলকপি বিক্রির পাইকারি বাজার। বিভিন্ন গ্রাম থেকে কৃষকরা তাদের উৎপাদিত ফুলকপি নিয়ে আসেন এবং পাইকারদের কাছে বিক্রি করেন।
খুচরা বাজারে ব্যবসায়ীরা সাধারণ ক্রেতাদের কাছে ফুলকপি কেজি হিসেবে বিক্রি না করে পিস হিসেবে বিক্রি করেন। ছোট প্রতিটি কমপক্ষে ২০টাকা, মাঝারি আকারের প্রতিটি ৩০ টাকা এবং বড় আকারের প্রতিটি ৫০ থেকে ৬০ টাকায় বিক্রি করছেন। ছোট আকারের চারটিতে এক কেজি হয়। সেই হিসাবে ভোক্তাপর্যায়ে এই চারটি কপির বিক্রিমূল্য ৮০ টাকা। অথচ কৃষক এই চারটি কপির মূল্য পাচ্ছেন ৩০ টাকা।
অন্যদিকে বর্তমান বাজারে বড় আকারের ফুলকপি কেজিতে ধরে দুটি। খুচরা ব্যবসায়ীরা এই দুটি কপি ক্রয় করেন ৫০ টাকায়। ভোক্তাপর্যায়ে এই দুটি কপি বিক্রি করছেন কমপক্ষে ১০০ টাকায়।
নওগাঁ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক কৃষিবিদ আবুল কালাম আজাদ জানান, কৃষকরা সাধারণত মাঠমুখী। যত তাড়াতাড়ি পারেন তাদের ফসল বিক্রি করে মাঠের দিকে নজর দেন। এ জন্য বাজারে এসে অপেক্ষা না করে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব ফসল বিক্রি করে চলে যান। এই সুযোগে ব্যবসায়ীরা কম মূল্যে ক্রয় করেন। ফলে মধ্যস্বত্বভোগীরা অধিক মুনাফার সুযোগ পেয়ে থাকেন। চলতি মৌসুমে জেলায় ২৫০ হেক্টর জমিতে ফুলকপির আবাদ হয়েছে, যা থেকে ছয় হাজার ৭৫০ মেট্রিক টন ফুলকপি উৎপাদন হবে বলে প্রত্যাশা কৃষি বিভাগের।