বরেন্দ্রঅঞ্চলে মিলছে না বিএডিসির পর্যাপ্ত বীজধান
মোহাম্মদ আককাস আলী :
বরেন্দ্রঅঞ্চলে চলছে বোরো ধানের বীজতলা তৈরির কাজ। বোরো মৌসুমকে সামনে রেখে কোমর বেঁধে মাঠে নেমেছেন হাজার হাজার কৃষক। বাজারে বীজ ধানসহ কৃষি উপকরণের দাম বেশি হওয়ায় ক্ষুব্ধ কৃষক। তবে সব ধরনের সহযোগিতা নিয়ে কৃষকদের
পাশে রয়েছেন কৃষি বিভাগ এমনি দাবী তাদের।
বোরো চাষিরা বলছেন, বাজারে বিএডিসির ধান বীজের তীব্র সংকট। বাধ্য হয়ে তাদের চড়া দামে কিনতে হচ্ছে বেসরকারি কোম্পানীর বীজধান। ডিজেল, সার-কীটনাশকসহ অন্যান্য কৃষি উপকরণ চড়া দামে ক্রয়ে হিমশিম অবস্থায় তারা।
বিএডিসির প্রয়োজনীয় বীজধান সরবরাহে সক্ষমতা নেই উল্লেখ করে কৃষি বিভাগ বলছে, বাধ্য হয়ে কৃষকদের বেশি দামে বীজ ধান কিনতে হচ্ছে। তবে, বিনামূল্যে বীজধান দেয়াসহ সার ও সেচ ব্যবস্থাপনা নিশ্চিতে কৃষকদের সব ধরনের সহযোগিতা দেয়া হচ্ছে বলে জানালেন কৃষি বিভাগের কর্মকর্তারা।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে প্রকাশ,
বিএডিসির বীজ সংকটের কথা স্বীকার করে জানান, উচ্চ ফলনশীল জাতের যে পরিমাণ বীজ ধান দরকার, সেই পরিমাণ উৎপাদনের সক্ষমতা নেই কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশনের। তাই বিভিন্ন কোম্পানীর বীজ কেনার বিকল্প নেই। সামনের বোরো মওসুমকে সামনে রেখে ধানের চারা তৈরিতে প্রান্তিক কৃষকদের বিনামূল্যে বীজ,সারসহ অন্যান্য উপকরণ দেয়া হচ্ছে বলেও জানানা তিনি।
এ অঞ্চলে চলতি মওসুমে মোট ১ লক্ষ ৯১ হাজার ৪২৫ হেক্টর জমিতে বোরো ধান চাষের লক্ষমাত্রার বিপরীতে উল্লিখিত পরিমাণ জমিতে কৃষকরা তাঁদের বীজতলা প্রস্তুত করছেন।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে প্রাপ্ত তথ্য মোতাবেক জেলার ১১টি উপজেলায় বীজতলা তৈরীর উপজেলা ভিত্তিক জমির পরিমাণ হচ্ছে নওগাঁ সদর উপজেলায় ৯৩০ হেক্টর, রানীনগর উপজেলায় ৯৬০ হেক্টর, আত্রাই উপজেলায় ৯৪৫ হেক্টর, বদলগাছি উপজেলায় ৫৮৫ হেক্টর, মহাদেবপুর উপজেলায় ১ হাজার ৪১৫ হেক্টর, পত্নীতলা উপজেলায় ৯৮০ হেক্টর, ধামইরহাট উপজেলায় ৯৪০ হেক্টর, সাপাহার উপজেলায় ২৯৫ হেক্টর, পোরশা উপজেলায় ৪১০ হেক্টর, মান্দা উপজেলায় ৯৯০ হেক্টর এবং নিয়ামতপুর উপজেলায় ১ হাজার ১৩০ হেক্টর।