দৌলতপুরে চাঁদা না পেয়ে ইন্টারনেট সংযোগ ফাইবার অপটিক্যাল ক্যাবল কর্তন
দৌলতপুর প্রতিনিধি।। কুষ্টিয়ার দৌলতপুরে চাঁদা না পেয়ে ইন্টারনেট সংযোগের ফাইবার অপটিক্যাল ক্যাবল কর্তনের অভিযোগ উঠেছে।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, দৌলতপুর উপজেলার খলিসাকুন্ডি এলাকার রায়হান উদ্দিনের ছেলে রেজু আহমেদ দীর্ঘদিন সুনামের সাথে এলাকায় ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট (মাইম ইন্টারনেট পপ ইনচার্জ) র প্রতিনিধিত্ব করে আসছেন। এবং খলিসাকুন্ডির বিভিন্ন এলাকায় মাইম ইন্টারনেটের এর প্রায় ৬০০’র অধিক গ্রাহক রয়েছেন। এমন অবস্থায় গত ৫-ই আগস্ট ২০২৪ পরবর্তী সময় খলিসাকুন্ডি এলাকার চিহ্নিত চাঁদাবাজ টুটুল মালিথা, জামরুল ইসলাম,ইকবাল হোসেন, আনার মেম্বার, রুবেল,সেলিম ও রসুল মালিথা,বিভিন্ন সময় মোবাইল ফোনের মাধ্যমে মাইম ইন্টারনেটের খলিসাকুন্ডি প্রতিনিধি রেজু আহমেদকে জানাই সুষ্ঠুভাবে মাইম ইন্টারনেট সার্ভিস পরিচালনা করতে হলে আমাদের দশ লক্ষ টাকা চাঁদা দিতে হবে অন্যথায় এই এলাকায় আর মাইম ইন্টারনেট সার্ভিস পরিচালনা করা যাবে না। পরবর্তীতে প্রতিনিধি রেজু আহমেদ উক্ত ব্যক্তিদের চাঁদা দিতে অপরগতা জানালে ক্ষুব্ধ হয়ে তারা মাইম ইন্টারনেট সার্ভিস লাইনম্যানদের কাজে বাধা সৃষ্টি ও তাদের দেখামাত্রই গালাগালি করা সহ মেরে ফেলবে বলে অস্ত্র দেখিয়ে হুমকি দিতে থাকে।
এরই ধারাবাহিকতায় ২৮/০১/২০২৫ তারিখ সকাল ৯.৩০ মিনিটের দিকে মাইম ইন্টারনেটর প্রতিনিধি রেজু আহমেদকে খলিসাকুন্ডি এলাকার সুপরিচিত জাল টাকার ব্যবসায়ী ১৪ বছরের জেল খাটা দাগি আসামি জামরুল ইসলাম টেলিফোন করে জানাই আজকের ভিতরে চাঁদার টাকা দিতে না পারলে তোরা আর মাইম ইন্টারনেট সার্ভিস পরিচালনা করতে পারবি না। এর কিছুক্ষণ পরেই মাইম ইন্টারনেটের খলিসাকুন্ডি প্রতিনিধি রেজু আহমেদ গ্রাহক মারফত জানতে পারে বিভিন্ন এলাকার একাধিক জায়গায় মাইম ইন্টারনেট সংযোগের ফাইবার অপটিক্যাল তার কেটে দিয়ে সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দিয়েছে তারা। এমন অবস্থায় খলিসাকুন্ডি এলাকায় সরকারি বেসরকারি এনজিও অফিস সহ বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ইন্টারনেট সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে আছে। যার ফলে এই দিনেই মাইম ইন্টারনেট কর্তৃপক্ষের খলিসাকুন্ডি এলাকায় প্রায় ৩ লক্ষ ৫০ হাজার টাকার ক্ষতি হয়েছে। পরবর্তীতে মাইম ইন্টারনেটের লাইনম্যানেরা কাটা ইন্টারনেট সংযোগ পূনরায় সচল করতে গেলেও উক্ত ব্যক্তিদের বাধার সম্মুখীন হয়ে সংযোগ চালু করতে পারেনি। এ বিষয়ে মাইম ইন্টারনেট খলিসাকুন্ডি প্রতিনিধি রেজু আহমেদের সাথে কথা বলে জানা যায়, এলাকার চিহ্নিত সন্ত্রাস ও চাঁদাবাজরা আমার কাছে দীর্ঘদিন ধরে চাঁদা চেয়ে আসছে আমি তাদের মাইম ইন্টারনেটের প্রতিনিধি হিসেবে চাঁদা দিতে না পারায় তারা মাইম ইন্টারনেটের ফাইবার অপটিক্যাল ক্যাবল তার কেটে দিয়ে গ্রাহকদের সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দিয়েছে। এ বিষয়ে আমি নিজে বাদী হয়ে দৌলতপুর থানা, র্যপিড একশন ব্যাটেলিয়ন কুষ্টিয়া ও কুষ্টিয়া জেলার সেনাবাহিনী ক্যাম্পে একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছি। আমার দাবি অনতিবিলম্বে চিহ্নিত সন্ত্রাসী ও চাঁদাবাজদের আইনের আওতায় এনে কঠোর শাস্তি প্রদান করা হোক।