ডেইলী নিউজ বাংলা ডেস্ক , আপলোডের সময় : বুধবার, ১৮ নভেম্বর, ২০২০ , আজকের সময় : শুক্রবার, ২৯ মার্চ, ২০২৪

মাদক সন্ত্রাস ও দুর্নীতি মুক্ত পৌরসভা গড়তে চান লায়ন আরিফ উল্যাহ সরকার

নিজস্ব প্রতিবেদক: যে কোন বাঁধা অতিক্রম করে মাদক, সন্ত্রাস ও দুর্নীতিমুক্ত আধুনিক পৌরসভা গড়ার চ্যালেঞ্জ নিয়েছেন আসন্ন ছেংগারচর পৌর নির্বাচনে মেয়র পদে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশী লায়ন আরিফ উল্যাহ সরকার। নির্বাচনকে ঘিরে পৌর এলাকায় বিরাজ করছে নির্বাচনী আমেজ। দেশের বৃহৎ রাজনৈতিক দল বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ এর দলীয় মনোনয়ন পেতে মাঠে আছে একাধিক মেয়র প্রার্থী।

ছেংগারচর পৌরসভার সম্ভাব্য মেয়র পদে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ এর দলীয় মনোনয় প্রার্থী লায়ন আলহাজ্ব মোঃ আরিফ উল্যাহ সরকার এক বিশেষ সাক্ষাৎকারে বলেন, মতলব উত্তরের এক ঐতিহাসিক আওয়ামী রাজনৈতিক পরিবারে আমার জন্ম। আমাদের পরিবারের সবাই বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের রাজনীতির সাথে সরাসরি সম্পৃক্ত। আমার পিতা সাবেক চেয়ারম্যান ও ছেংগারচর পৌর আওয়ামী লীগ এর প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি, ছেংগাচর উচ্চ বিদ্যালয়ের সাবেক ম্যানেজিং কমিটির সদস্য, ও ছেংগারচর ডিগ্রি কলেজের সাবেক ম্যানেজিং কমিটির সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা, প্রয়াত আলহাজ্ব অলি উল্যাহ সরকার।

তিনি ছিলেন একজন খাঁটি দেশ প্রেমিক, বিশিষ্ট শিক্ষানুরাগী, দক্ষ সংগঠক, রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব, যার অনুপ্রেরণায় আমার দাদা প্রয়াত হাজী শাহাবুদ্দিন সরকার ও হাজী শামছুল হক মাষ্টার নিজের পিতৃ সম্পত্তি দান করে- বর্তমান ছেংগারচর সরকারী মডেল উচ্চ বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করেন। ১৯৭৫ সালের ১৫ই আগষ্ট বঙ্গবন্ধু হত্যার পর যখন কেউ ভয়ে আওয়ামী লীগের নাম উচ্চারণ করতে সাহস পেতেন না, তখন আমার শ্রদ্ধেয় পিতা আলহাজ্ব অলি উল্যাহ সরকার তাঁর সাংগঠনিক দক্ষতা দিয়ে ছেংগারচরে আওয়ামী লীগ‘কে সু-সংগঠিত করতে দিন-রাত পরিশ্রম করেন।

দলীয় কার্যক্রম পরিচালনা করার জন্য পার্টি অফিস এবং দলীয় আর্থিক ফান্ড কোন কিছু ছিলনা। আমার পিতার বইয়ের লাইব্রেরীই ছিল দলীয় নেতা-কর্মীদের জন্য একমাত্র বিকল্প কার্যালয়। আমার দেখা মতে মতলবের তৃণমূল থেকে শুরু করে কেন্দ্রীয় পর্যায়ের নেতা-কর্মীরা যদি ছেংগারচরে সাংগঠনিক সফরে আসতেন, এই সরকার লাইব্রেরী‘ই ছিল আওয়ামী রাজনৈতিক কর্মকান্ডের একমাত্র ঠিকানা।
আজ আমার বাবা আপনাদের মাঝে বেঁচে নেই। দোয়া করবেন আল্লাহ তা‘আলা যেন তাঁকে জান্নাত দান করেন। আমার বাবার অবর্তমানে আপনারাই আমার পিতৃতুল্য অভিভাবক। আপনাদের দোয়া ও সমর্থন নিয়ে আমি পৌরসভার উন্নয়নের পাশাপাশি আপনাদের সার্বিক খেদমতে নিজেকে নিয়োজিত রাখতে চাই।

লায়ন আলহাজ্ব মোঃ আরিফ উল্যাহ সরকার স্কুল জীবন থেকেই বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সক্রিয় কর্মী, সংগঠক ও পর্যায়ক্রমে স্কুল কমিটির সাধারণ সম্পাদক ও সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৯১-৯২ শিক্ষাবর্ষে ছেংগারচর ডিগ্রি কলেজে ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতির দায়িত্ব গ্রহনের মাধ্যমে নেতৃত্বের উন্মেষ ঘটে তার। ১৯৯৮ সালে জগন্নাত বিশ্ববিদ্যালয় কমিটির বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সভাপতি ও ২০০২ সালে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের কেন্দ্রিয় সংসদ (লিয়াকত-বাবু কমিটি) এর সাবেক সহ-সম্পাদক এর দায়িত্ব পালন করেন তিনি। মোঃ আরিফ উল্যাহ সরকার বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ কেন্দ্রীয় উপ কমিটির সাবেক সহ-সম্পাদক, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ত্রান ও সমাজকল্যাণ কেন্দ্রিয় উপ-কমিটির সদস্য, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন পরিচালনা উপকমিটির সদস্য পদ লাভ করেন।

লায়ন আরিফ উল্যাহ সরকার জনগণের প্রত্যাশা পুরনের অংশ বিশেষ তুলে ধরে বলেন- সকল বাধা অতিক্রম করে প্রথম শ্রেনীর ছেংগারচর পৌরসভার মর্যাদা ফিরিয়ে দেওয়াই আমার প্রথম চ্যালেঞ্জ। ছেংগারচর পৌরসভায় মাদক, সন্ত্রাস, চাঁদাবাজ মুক্তকরা ও বাল্যবিবাহ বন্ধ করা এবং ইভটিজিং রোধ করে শিক্ষার পরিবেশ রক্ষা করাই হবে আমার প্রথম কাজ। রাস্তাঘাট মেরামতসহ প্রতি বাড়ি থেকে মূল সড়কের সাথে সংযোগ রাস্তা নির্মাণ এবং নতুন নতুন প্রকল্প প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন এবং মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা, স্থানীয় সরকার মন্ত্রী ও স্থানীয় সংসদ সদস্য জনাব নুরুল আমিন রুহুল ভাইয়ের সহযোগীতায় বিদেশী ফান্ড (জাইকা) আনয়ন এবং মেঘা প্রকল্প বাস্তবায়ন করা আমার অন্যতম লক্ষ্য।

সেবার পরিধি বৃদ্ধির লক্ষ্যে পৌরসভাকে বর্তমান ০৯টি ওয়ার্ড থেকে ১২টি ওয়ার্ড গঠন করবো ইনশাআল্লাহ। যুবসমাজকে মাদকের ভয়াল ছোবল থেকে রক্ষায় খেলাধুলায় মনোনিবেশের জন্য একটি “পৌর মিনি স্টেডিয়াম” নির্মানের উদ্যোগ গ্রহণ করবো। পৌর বাসীর জন্য একটি সেন্ট্রাল অভিযোগ কেন্দ্র থাকবে যেখানে তারা তাদের অভিযোগ, পরামর্শ ও চাহিদার কথা সরাসরি মেয়রকে জানাতে পারবে। পৌর নাগরিকের মধ্যে যারা গরীব অসহায় তাদের পাশে থাকা, তাদের বয়স্ক ভাতা, বিধবা ভাতা, স্বামী পরিতক্তা ভাতাসহ সরকার কর্তৃক নাগরিকদের জন্য সকল ধরনের ভাতা প্রদান নিশ্চিত করা।

একটি পৌর পার্ক নির্মাণ করবো, যেখানে বাচ্চাদের বিনোদন ও বয়স্কদের হাঁটার ব্যবস্থা থাকবে এবং পৌর নাগরিকদের স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করনে তাদের জন্য নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষার ব্যবস্থা থাকবে। বিজ্ঞ অভিজ্ঞ ও এলিট শ্রেনীর ব্যক্তিদের সমন্বয়ে একটি শক্তিশালী টিম গঠন করে অগ্রাধীকার ভিত্তিতে উন্নয়ন সাধন করা এবং প্রতি গ্রামে পৌর সেবা পৌছে দেওয়া হবে আমার অন্যতম কাজ।