
দৌলতপুরে সেচ পাম্পে হামলা, আগুনে পুড়ল সেচ যন্ত্র—চাষিরা বিপাকে
দৌলতপুর প্রতিনিধি: কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলায় পূর্ব শত্রুতার জেরে কৃষকদের সেচ পাম্পে হামলা চালিয়েছে প্রতিপক্ষের লোকজন। তারা পাম্পে ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ ও বোমা বিস্ফোরণ ঘটিয়ে সেচ যন্ত্র নষ্ট করে দিয়েছে। এতে দুই শতাধিক কৃষক তাদের ৩০০ বিঘা জমির চাষাবাদ নিয়ে বিপাকে পড়েছে।
গত বুধবার (৫ মার্চ) দিবাগত রাতে উপজেলার প্রাগপুর ইউনিয়নের ময়রামপুর খয়রামারি মাঠে অবস্থিত ২ নম্বর সেচ পাম্পে এ হামলার ঘটনা ঘটে।
স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, গ্রামের আসমত নামের এক ব্যক্তির সঙ্গে কৃষকদের দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলছিল। তিনি প্রায়ই চাষিদের সেচের পানি নিতে বাধা দিতেন এবং নানা উপায়ে হয়রানি করতেন। এ নিয়ে চলতি বছরের জানুয়ারিতে কৃষকরা থানায় একটি অভিযোগ করেছিলেন।
বুধবার গভীর রাতে দুর্বৃত্তরা সেচ পাম্পের ঘরে বোমা বিস্ফোরণ ঘটিয়ে আগুন ধরিয়ে দেয়। এতে পাম্পের ঘর সম্পূর্ণ ভেঙে যায় এবং সেচ যন্ত্র মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। ফলে কৃষকদের ফসলের সেচ কার্যক্রম বন্ধ হয়ে যায়।
এ ঘটনার পর দুই শতাধিক কৃষক তাদের জমির চাষাবাদ নিয়ে অনিশ্চয়তায় পড়েছেন। ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের হয়ে আবু হানিফ ও কামরুল ইসলাম জানান, সেচ পাম্পটি নষ্ট হয়ে যাওয়ায় তারা ধানের জমিতে পানি দিতে পারছেন না, ফলে তাদের ফসল নষ্ট হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। তারা দ্রুত দোষীদের আইনের আওতায় আনার দাবি জানান।
পাম্পটির মালিকদের একজন, মজিবর রহমান, জানান, তারা ১০ জন কৃষক মিলে সরকারের কাছ থেকে পাম্পটি ক্রয় করেছিলেন। এই পাম্পের মাধ্যমে প্রায় ২০০ কৃষক সেচ সুবিধা পেতেন এবং ৩০০ বিঘা জমিতে চাষ করা হতো। মজিবর রহমান বলেন, “আসমত আমাদের দীর্ঘদিন ধরে হুমকি দিয়ে আসছিল। সে একাধিকবার পাম্পে আগুন দেওয়ার ভয় দেখিয়েছে। অবশেষে বুধবার রাতে সে তার হুমকি বাস্তবায়ন করল।”
দৌলতপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাজমুল হুদা জানান, কৃষকদের মধ্যে পূর্ব থেকে বিরোধ চলছিল। এ ঘটনার পেছনে কারা জড়িত, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। তিনি বলেন, “আমরা ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠিয়েছি। তদন্ত সাপেক্ষে দোষীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”