ডেইলী নিউজ বাংলা ডেস্ক , আপলোডের সময় : শনিবার, ১৫ মার্চ, ২০২৫ , আজকের সময় : শনিবার, ১৫ মার্চ, ২০২৫

জাতীয় শুদ্ধাচার বাস্তবায়নে তৃতীয় আংশীজন সভা করেছে সড়ক জনপথ

জাতীয় শুদ্ধাচার বাস্তবায়নে তৃতীয় আংশীজন সভা করেছে সড়ক জনপথ

 

রাজশাহী ব্যুরো : জাতীয় শুদ্ধাচার কৌশল কর্মপরিকল্পনা নিয়ে তৃতীয় অংশীজন সভা করেছে সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তর। শনিবার (১৫ মার্চ) বেলা ১১:০০ টায় রাজশাহী সড়ক জোনের সভা কক্ষে এই সভাটি অনুষ্ঠিত হয়। উক্ত অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলী সৈয়দ মঈনুল হাসান। এসময় সড়ক দুর্ঘটনা রোধ কল্পে সমস্যা ও সমাধানে করণীয় নিয়ে তিনি সকলের কথা মনোযোগ দিয়ে শুনেন। আলোচনায় উঠে আসে নানা প্রতিবন্ধকতা। এসময় পবা হাইওয়ে পুলিশের ইন্সপেক্টর মোজাস্মেল হক কাজি জানান, হাইওয়ের পাশ দিয়ে আরেকটি প্বার্শ রাস্তা তৈরি করতে হবে। যেন ছোট গাড়ি গুলো নির্বিঘ্নে চলাচল করতে পারে। আর বাঁকগুলোকে চিহ্নিত করতে হবে এবং সিগন্যাল বোর্ড বসাতে হবে। এছাড়াও অনুষ্ঠানে বিভিন্ন জেলা থেকে আগত নির্বাহী প্রকৌশলীরা জানান, দুর্ঘটনা কমাতে রাস্তায় অবাধে মাটি ও বালি পরিবহন নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। বিশেষ করে গোদাগাড়ী অঞ্চলে লাল মাটি বহন করা হয়, যা একটু বৃষ্টি হলেও সড়ক দুর্ঘটনার সম্ভাবনা বাড়ে। হাইওয়ে সড়কে মাটি ও বালি পরিবহনে সুনির্দিষ্ট নীতিমালা তৈরি করতে হবে। পেট্রোলপাম্পের যেমন নীতিমালা রয়েছে তেমন রাস্তা সংলগ্ন দোকানঘর বা ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠান বসানোর ক্ষেত্রে নীতিমালার ব্যবস্থা করতে হবে বলে জানান। এই সকল অনিয়ন্ত্রিত প্রতিষ্ঠানের কারনে যত্রতত্র রাস্তার উপর গাড়ি পার্কিং করে থাকে। এতে দুর্ঘটনার সম্ভাবণা বাড়ে।

সড়ক দুর্ঘটনার পাশাপাশি সড়ক জনপথের যে জমিগুলো রয়েছে সেগুলো রক্ষা করার পরামর্শ দিয়ে নানা সমস্যার কথা তুলে ধরেন। জমিগুলো ফাঁকা থাকায় সড়ক জনপথের জমিগুলো বেদখল হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। রাস্তা সংলগ্ন অনেকগুলো জমি দখল করে বাজার বসানো হয় এবং স্থাপনা তৈরি করে ভাড়া দেয় একটি পক্ষ। এগুলো রোধ করতে হলে জমিগুলো আমাদেরকে সঠিক ব্যবহার করতে হবে। এছাড়াও সড়ক জনপথের কর্মকান্ড নিয়ে নানা প্রতিবন্ধকতা ও সমস্যা সমাধান নিয়ে আলোচনা করা হয়। এর মধ্য লোকবল সংকট ও গাড়ী সমস্যা অন্যতম। সকলের বক্তব্য ও পরামর্শ শুনে প্রধান অতিথি বলেন, এটা স্বীকার করতেই হবে, আগের চেয়ে বর্তমানে রাস্তা অনেক ভাল হয়েছে, প্রশস্ত হয়েছে। আর রাস্তা ভাল হওয়ার কারনে বেপরোয়া হচ্ছে চালকরা। এখান থেকে পরিত্রাণ পেতে হলে সবাইকে সচেতন হতে হবে। ট্রাফিক আইন প্রয়োগের পাশাপাশি বিজ্ঞাপনের ব্যবস্থা করতে হবে। যেন জনসচেতনতা বাড়ে। এছাড়াও হাইওয়ে পুলিশকে স্পীডগান ব্যবহার করার পরামর্শ দেয়া দেন। তিনি সকলের সমস্যা ও সমাধানের পরামর্শগুলো নোট করেন। পরে পবিত্র ইদুল ফিতরের শুভেচ্ছা ও সকলের সুস্বাস্থ্য কামনা করে সংক্ষিপ্ত বক্তব্য শেষ করেন। এছাড়াও মাঠ পর্যায়ের সমস্যার নানা ব্যখ্যা নিয়ে আলোচনা করেন অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকা অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী মোঃ মনিরুজ্জামান, অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী এএসএম ইলিয়াস শাহ, অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী ড. মোঃ আব্দুল্লাহ আল মামুন এনডিসি, সড়ক সার্কেল রাজশাহীর তত্বাবধায়ক প্রকৌশলী হাফিজুর রহমান। এসময় উপস্থিত ছিলেন, সড়ক জনপথ রাজশাহী বিভাগের সকল নির্বাহী প্রকৌশলীসহ অন্যান্য কর্মকর্তা-কর্মচারীরা, মটর মালিক ও শ্রমিক ইউনিয়নের প্রতিনিধি, গণমাধ্যমকর্মীসহ সাধারণ নাগরিক। আলোচনায় গণমাধ্যমেরকর্মীরা জানান, সম্প্রতি রাজশাহীর বিভিন্ন অঞ্চলের রাস্তাঘাট উন্নয়ন ও প্রশস্ত হলেও রাস্তায় থাকা কার্লভাটগুলো সংস্কার করা হয়নি। কার্লভাটগুলো সরু হওয়ার কারনে সড়কে দুর্ঘটনার পরিমান বাড়ছে। দুর্ঘটনা রোধ করতে হলে রাস্তার বাঁকগুলোকে কমানোর কোন উদ্যোগ নেওয়া যায় কিনা সেই পরামর্শ দেয়া হয়।