ডেইলী নিউজ বাংলা ডেস্ক , আপলোডের সময় : শনিবার, ১৫ মার্চ, ২০২৫ , আজকের সময় : রবিবার, ১৬ মার্চ, ২০২৫

নতুন জাতের লাউ-বেগুন চাষ করে আলোড়ন সৃষ্টি করছে রফিকুল ইসলাম

নতুন জাতের লাউ-বেগুন চাষ করে আলোড়ন সৃষ্টি করছে রফিকুল ইসলাম

মোহাম্মদ আককাস আলী :নওগাঁ সদর উপজেলার বর্ষাইল ইউনিয়নের চাঁদপুর গ্রামের কৃষক রফিকুল ইসলাম ও তার স্ত্রী বৃষ্টি বানু নতুন জাতের ‘লাউ বেগুন’ চাষ করে এলাকায় ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি করেছে। এই বেগুন লাউ এর মত দেখতে তাই বেগুনকে লাউ বেগুন বলা হয়েছে।
কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, বারি-১২ জাতের এই ‘লাউ বেগুন’ নওগাঁয় চাষ শুরু হয়েছে। প্রতিটি বেগুনের ওজন ৫০০ গ্রাম থেকে শুরু করে দেড় কেজি পর্যন্ত হয়ে থাকে। প্রতিটি গাছে ৭ থেকে ৮ কেজি পর্যন্ত বেগুন ধরছে, যা প্রচলিত জাতের তুলনায় অনেক বেশি।
তাছাড়া, এই বেগুনে রোগবালাই কম হওয়ায় এবং কম সেচেই ভালো ফলন হওয়ায় এটি কৃষকদের জন্য লাভজনক একটি ফসল হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।
চাঁদপুর গ্রামের কৃষক রফিকুল ইসলাম শিক্ষাগত জীবনে ষষ্ঠ শ্রেণি পর্যন্ত পড়াশোনা করলেও কৃষিকাজে তিনি বিশেষ দক্ষতা অর্জন করেছেন। প্রথমদিকে বিভিন্ন ধরনের সবজি চাষ করেও তেমন সফল হতে পারেননি। বৃষ্টি বানু বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা ‘মৌসুমী’-এর সদস্য হয়ে২০২৪ সালে পল্লী কর্ম সহায়ক ফাউন্ডেশন (পিকেএসএফ)-এর সহায়তায় ‘বারি-১২’ জাতের বেগুন চাষের প্রশিক্ষণ নেন।
প্রশিক্ষণ শেষে মৌসুমী সংস্থা থেকে ৬০০টি চারা সরবরাহ করা হয়। এরপর তারা নিজস্ব ১৫ শতক জমিতে ওই চারা রোপণ করেন। কয়েক মাসের মধ্যেই গাছে প্রচুর বেগুন ধরেছে, যা বাজারে এনে ব্যাপক সাড়া ফেলেছে।
রফিকুল ইসলাম বলেন, গত সপ্তাহে নওগাঁ হাটে দেড় মন বেগুন বিক্রি করেছি। সাধারণ বেগুন যেখানে এখন ১১০০ থেকে ১২০০ টাকা মণে বিক্রি হয়, সেখানে আমার এই বেগুন ১৬০০ টাকা মণ দরে বিক্রি হয়েছে। হাটে নিয়ে গেলে সবাই জানতে চাইছে, ‘এটি লাউ না বেগুন?’ নিমিষেই সব বিক্রি হয়ে যায়। লাভও অন্য বেগুনের তুলনায় চারগুণ বেশি।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক আবুল কালাম আজাদ জানান, উৎপাদন ও স্বাদের দিক থেকেও এটি ব্যতিক্রমী। এই বেগুন লেট উইন্টার সবজি হওয়ায় শীতের শেষের দিকে বাজারে আসে, তাই বেগুনের দাম তুলনামূলক বেশি থাকে। ফলে কৃষকরা এটি চাষে আরও উৎসাহিত হবেন।