হেলাল মজুমদার কুষ্টিয়া
২০ মার্চ বৃহস্পতিবার সকাল ১১ টার সময় ভেড়ামারায় অবস্থিত জেনারেল এগ্রোভেট লিঃ মেহের আলী সংবাদ সম্মেলন এর মাধ্যমে তিনি বলেন, আমি মোঃ মেহের আলী “জেনারেল এগ্রোভেট লিঃ”-এর বর্তমান “ম্যানেজিং ডাইরেক্টর” এবং “অগ্রগামী এগ্রো ইন্ডাঃ লিঃ”-এর বর্তমান “ম্যানেজিং ডাইরেক্টর”। আমি আমার কোম্পানীর সাবেক “ম্যানেজিং ডাইরেক্টর” মোঃ নাজমুস সাকিব-এর ১৯-মার্চ-২০২৫-ইং তারিখের মিথ্যা, বানোয়াট এবং জালিয়াতপূর্ন তথ্যের সংবাদ সম্মেলনের তিব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে ২০-মার্চ-২০২৫-ইং তারিখের “সংবাদ সম্মেলন”-এর আয়োজনে বাধ্য হয়েছি।
মোঃ নাজমুস সাকিব কোম্পানীর সাবেক “ম্যানেজিং ডাইরেক্টর” স্ব-ইচ্ছায় দুটি কোম্পানী থেকে পদত্যাগ করায় তার রিজাইন লেটার ও কোম্পানীর রেজুলেশনের ভিত্তিতে গত ০৮-মে-২০২৩-ইং তারিখে কোম্পানীদ্বয়ের সকল প্রকার দ্বায়-দ্বায়িত্ব এবং শেয়ার থেকে অব্যাহতি প্রদান করে।
নাজমুস সাকিব আপনার সম্পর্কে আমার বলার মত মুখের ভাষা খুজে পাচ্ছি না, তবুও দুটি কথা এই সাংবাদিক সম্মেলনে না বল্লেই নয়। আপনি আমাদের সাথে থেকে ২০২১ / ২০২২/ ২০২৩ সালে আপনার তৎকালিন সহকারি আপনার চাচাতো ভাই মুনতাজ মিলে আমাদের ফ্যাক্টরীর কত শত টন কাঁচামাল ও উৎপাদিত পণ্য পাচার করে বিক্রয় করেছেন এবং মার্কেটের বিভিন্ন কাস্টমারের কাছ থেকে টাকা উত্তোলন করে কোম্পানীর নির্ধারিত অ্যাকাউন্টে জমা না দিয়ে নিজের ব্যাক্তিগত অ্যাকাউন্টে লেন-দেন করে টাকা আত্যসাৎ করেছেন তা প্রায় দেড় কোটি থেকে দুই কোটি টাকারও অধিক।
তিনি শুধু অর্থ ও সম্পদ জালিয়াতি করেই থেমে থাকেন নি।তিনি সারা বাংলাদেশে বাজারের মহিলা নিয়ে বিভিন্ন মার্কেটের মার্কেটিং অফিসারের বাসায়, বড়-বড় ডিলারের বাসায়, ও মার্কেটে কাজ করার নাম করে বিভিন্ন হোটেলে থেকে হোটেলের হাজার হাজার টাকার বিল ভাউচার করেছেন এবং নিজেকে মাদকাশক্তির সাথে উত্তপ্রত ভাবে জড়িয়ে রেখেছেন। এতেকরে জানাজানি হয়ে আমাদের সারাদেশে সম্মান তো নষ্ট হয়েছেই পরবর্তীতে বড়-বড় কাস্টমারদের সাথে কোম্পানির ব্যবসাও নষ্ট হয়েছে।
এমন অবস্থায় আপনি আমাদের সাথে থেকে যে, মার্কেটিং অফিসার গন আমাদের কোম্পানীতে চাকুরী অবস্থায় প্রায় ১৪ লক্ষ টাকা চুরি করে পালিয়েছে তাদের সাথে আপনি নতুন একটি কোম্পানী গঠন করেন। সেই কোম্পানীর নাম “বাংলাটেক এগ্রো কেয়ার লিঃ” এ সকল বিষয়ে আমরা আপনার পরিবারকে অনেক বার অবগত করেছি। এবং এই বিষয়ে আপনার পরিবারের সদস্যদের নিয়ে একাধিকবার মিটিং-এ বসে আপনাকে সংশোধন হওয়ার জন্য বার-বার বলে এসেছি। কিন্তু আপনি আমাদের কথায় কোন প্রকার কর্ণপাত না করে একই কাজ করতে থাকেন।
অবশেষে যখন এই চার বছরে কোম্পানীর অগ্রগতী না হয়ে মোঃ নাজমুস সাকিব-এর বিভিন্ন অপকর্ম যেমন-কাঁচামাল পাচার, অর্থ জালিয়াতী, নারী কেলেঙ্কারী, মাদকাসক্ত ইত্যাদি কারণে প্রতিনিয়ত ডিমোশনের দিকে চলে যাচ্ছে, তখন আমরা সিদ্ধান্ত নিই যে, হয় কোম্পানীদ্বয়ের সাবেক “ম্যানেজিং ডাইরেক্টর” মোঃ নাজমুস সাকিব আমাদেরকে (মোঃ মেহের আলী এবং মোঃ রফিকুল ইসলাম) শেয়ার বুঝিয়ে দিয়ে আমাদের অব্যহতি দিক অথবা কোম্পানী ও কোম্পানীর বিভিন্ন মার্কেটের স্টাফদের মান সম্মান ও জীবন জিবিকার দিকে তাকিয়ে তার শেয়ার আমাদের কাছে বিক্রয় করে সে অব্যাহতি নিক। পরবর্তীতে মোঃ নাজমুস সাকিব স্ব-ইচ্ছায় ও স্ব-জ্ঞানে তার শেয়ার বিক্রি করে দিতে রাজি হয়।
এমন অবস্থায় ৩ জন পার্টনারের সম্মতিক্রমে তাদের পার্সোনাল অডিটের মতামতের ভিত্তিতে কোম্পানীর দাম ধরা হয় প্রয় (চার কোটি ছাব্বিশ লক্ষ পঞ্চাশ হাজার টাকা) এবং এর মধ্যে আমাদের “অগ্রগামী এগ্রো ইন্ডাঃ লিঃ” এর ইসলামী ব্যাংকের লোন (দুই কোটি টাকা) বাদ দিলে ৩ জনের শেয়ার মূল্য হয় (দুই কোটি ছাব্বিশ লক্ষ পঞ্চাশ হাজার টাকা) অর্থাৎ প্রত্যেকের শেয়ার মূল্য দাড়ায় পঁচাত্তর লক্ষ পঞ্চাশ হাজার টাকা। পরবর্তিতে আমরা ২ জন মোঃ মেহের আলী এবং মোঃ রফিকুল ইসলাম দুই কোটি টাকার লোনের সমস্ত দ্বায়ভার নিয়ে তাকে তার প্রাপ্য শেয়ার মূল্য তার ইসলামী ব্যাংকের ব্যাক্তিগত অ্যাকাউন্টে নগদ (সত্তর লক্ষ টাকা) ডিপোজিট প্রদান করি এবং অবশিষ্ট্য (পাঁচলক্ষ পঞ্চাশ হাজার টাকার) সমমূল্যের কাঁচামাল প্রদান করে তার সমস্ত শেয়ার তাকে বুঝিয়ে দিয়।
পরবর্তীতে সে, ৩০-মে-২০২৩-ইং তারিখে স্ব-ইচ্ছায় তার রিজাইন পত্র কোম্পানির সাথে সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন সরকারি/বে-সরকারি দপ্তরে জমা দিয়ে ক্লিয়ারেন্স নিয়ে পুনরাই আবার একটি কোম্পানী সে গঠন করে যার নাম “জাওয়াদ এগ্রো সাইন্স লিঃ”। সেও নতুন করে তার নিজেস্য ব্যবসা শুরু করে। পরবর্তিতে আমরাও। আমাদের ব্যবসায়িক কার্যক্রম সাভাবিক ভাবে পরিচালনা করে আসছি।
এমন অবস্থায় আমি কল্পনাও করিনি যে, কোম্পানীর শেয়ার মিমাংসা করার প্রায় দেড় বছর পরে গত ০১-মার্চ-২০২৫-ইং তারিখে আমি চুয়াডাঙ্গা মার্কেট পরিদর্শনে গেলে আমাকে চুয়াডাঙ্গায় তার বর্তমান কোম্পানির অফিসার ও সন্ত্রাশ বাহিনি দিয়ে আমার গাড়ি থামিয়ে হুমকি, ধামকি থেকে শুরু করে গায়ে হাত তোলার পর্যায়ে গেলে ঐ স্থানে উপস্থিত এলাকাবাসিরা বিষয়টি থামিয়ে দেয়। এবং পরবর্তীতে আমার গাড়ির ড্রাইভার মোঃ আরিফুল ইসলাম কে ভেড়ামারা কোস-স্টান্ডে পেয়ে মোঃ নাজমুস সাকিব বলে যে, “তোর মালিক মোঃ মেহের আলী-কে আমি যে, ভাবেই হোক শেষ করেই ছাড়ব”। তার পরেও মোঃ নাজমুস সাকিব আমার নিকট আত্বীয় হওয়ায় মান-সম্মানের কথা বিবেচনা করে আমি তার চাচাতো ভাই লাল্টুর মাধ্যমে তার বাবাকে অবহিত করি। এত কিছু ঘটে যাওয়ার পরেও আমি ও আমার কোম্পানী এখন পর্যন্ত তার জন্য আইনি কোন প্রকার পদক্ষেপ নেই নি বরং সেই উল্টো আমাদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন মিথ্যা মামলার কথা বলে এবং আমি, আমার ভাই (মোঃ মোকাদ্দেস হোসেন ঝন্টু) ও আমার শসুর (মোঃ আব্দুস সামাদ) কে বিভিন্ন ভাবে প্রাণ নাসের হুমকি সহ নানা ভাবে ভয় ভীতি দেখিয়ে এবং ব্যবসায়িক ভাবে ক্ষতি করার ও সমাজে আমাকে, আমার কোম্পানিকে ও আমার পরিবারকে অসম্মানিত করার চেষ্টা চালিয়ে আসছে।
অতএব, তিনি সাংবাদিক সম্মেলনের মাধ্যমে নাজমুস সাকিব-এর এহেন আচরন, মিথ্যা মামলা ও ভিত্তিহিন কথা-বার্তার কারনে আম