রাজশাহী ব্যুরো: প্রতিশোধ নিতে হাতিয়ার হিসেবে একের পর এক মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করা হচ্ছে। সাবেক স্ত্রীর করা পরপর আটটি মামলায় জর্জরিত হয়ে পড়েছেন এক শিক্ষক। তার বিরুদ্ধে করা এসব মামলা মিথ্যা বলে দাবি করেছেন ভুক্তভোগী শিক্ষক। এছাড়াও উদ্দেশ্যে প্রণোদিত হয়ে ষড়যন্ত্রমূলক হয়রানি করা হচ্ছে বলে দাবী করেন শিক্ষক।
বৃহস্পতিবার (২০ মার্চ) দুপুরে মামলা দেওয়ার প্রতিবাদে নগরীর গৌরহাঙ্গা এলাকায় একটি সংবাদ সম্মেলন করেন মজনু আহমেদ সাগর। তার সাবেক স্ত্রী মাহবুবা খাতুন নীলা এই মামলাগুলো করেছেন। শুধু স্ত্রী নয় তার সাবেক শ্বশুর বজলুর রহমান এই মামলায় জড়িত বলে জানিয়েছেন তিনি। সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ করেন, দীর্ঘদিন ধরে ষড়যন্ত্রমূলক মামলা দায়ের করে তাকে ও তার পরিবারকে হয়রানি করে আসছেন। এবং র্যাবের সোর্সের মাধ্যমে মাদক ও অস্ত্র দিয়ে ফাঁসানোর অভিযোগ করেন তিনি। এছাড়াও নারী নির্যাতন, যৌতুক, টাকা আত্মসাৎ, চেক ডিজওনারের পৃথক আটটি মামলা করেছেন সাবেক স্ত্রী।
তিনি আরও বলেন, এই মিথ্যা মামলাগুলোর কারণে তিনি ও তার পরিবার চরমভাবে অসহায় হয়ে পড়েছেন। এতে সামাজিক ও ব্যক্তিগত জীবনে মারাত্মক নোতিবাচক প্রভাব পড়ছে। এছাড়াও ব্যবসায়ীকভাবে ক্ষতিগ্রস্থও হচ্ছেন বলে তিনি উল্লেখ করেন। সংবাদ সম্মেলনে ভুক্তভোগী এই হয়রানির সুষ্ঠু তদন্ত ও ন্যায়বিচার নিশ্চিত করতে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেন।
মাহবুবা খাতুন নীলার করা আরেকটি মামলার ভুক্তভোগী রাজীব আলী রাতুল বলেন। তিনি বলেন, এই মাহবুবা খাতুন নিরা যে ৪০ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ তুলেছেন সেটি সম্পুর্ণ মিথ্যা ও বানোয়াট। বরং আমিই উল্টো তার থেকে টাকা পাবো। ব্যবসায়ীর অংশীদার হিসেবেও তিনি মিথ্যা কথা বলেছেন। আপনারা তার কাছে জানতে চান, তার এত আয়ের উৎস কোথায়? তিনি এত টাকা কোথায় পেলেন, এটি সকলের জানা দরকার।
এবিষয়ে কথা বলার জন্য সাবেক স্ত্রী মাহবুবা খাতুন নীলার সঙ্গে যোগাযোগ করলে তার ব্যবহৃত নম্বরটি বন্ধ পাওয়া যায়। তাই তার বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।