ডেইলী নিউজ বাংলা ডেস্ক , আপলোডের সময় : শনিবার, ২১ নভেম্বর, ২০২০ , আজকের সময় : শুক্রবার, ২২ নভেম্বর, ২০২৪

জনজোয়ার জেগেছে ফেরদাউস আলম সরকারের পক্ষে

নিজস্ব প্রতিবেদক: নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার আগেই জনজোয়ার জেগেছে চাঁদপুরের মতলব উত্তর উপজেলার ১ নং ষাটনল ইউনিয়নের চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী ফেরদৌস আলম সরকারের পক্ষে। ব্যক্তি জীবনে অত্যন্ত সৎ, সাধারণ জীবন যাপনে অব্যস্ত, সদালাপী তরুণ এ রাজনীতিবিদ ছোট বেলা থেকেই বঙ্গবন্ধু আর্দশের সৈনিক। তার সৌজন্যতা, ন্যায়পরায়নতা, নিষ্ঠা, ভালোবাসা মুগ্ধ করেছে সর্বশ্রেনী পেশার মানুষদের। পারিবারির ভাবেই রাজনীতির হাতে খড়ি পান ফেরদাউস আলম সরকার। তার বাবা প্রয়াত সোলায়মান আহমেদ রেনু সরকার আমৃত্যু বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের একজন বীরযোদ্ধা ছিলেন।

একজন মহৎ রাজনীতিবিদ হিসাবে এখনও সর্বমহলে ব্যাপক প্রশংসিত তিনি। বাবার নির্দেশিত পথে মানুষের কল্যাণের রাজনীতি করে আর্দশবান বাবার যোগ্যতর ছেলে হিসেবে সকল শ্রেনি পেশার মানুষের বিশ্বাস আর ভালোবাসায় প্রতিষ্ঠিত করেছেন নিজেকে। গেলবারের নির্বাচনে অংশ নিয়ে কুচক্রী মহলের ষড়যন্ত্রে নির্বাচনে হারলেও আগের চেয়ে জনপ্রিয়তা বেড়েছে কয়েকগুণ। ফেরদাউস আলম সরকারকে চেয়ারম্যান নির্বাচিত করে সেবকের দায়িত্ব দিতে আলোচনা চলছে ষাটনল ইউনিয়নের তৃণমূল রাজনীতিতে। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়ন দিতে দায়িত্বপ্রাপ্ত সকলের দৃষ্টি আর্কষন করে প্রচার – প্রচারণাও চালিয়ে যাচ্ছেন স্থানীয় সচেতন সমাজ।

ইউনিয়নের সর্বসাধারণের মধ্যে এখন প্রাত্যহিক আলোচনার ঝড় ফেরদাউস আলম সরকারকে চেয়ারম্যান পদে নির্বাচিত করার। স্থানীয় বাসিন্দা জাহাঙ্গীর মিয়া বলেন, আদর্শ, উদ্দেশ্য আর কর্মতৎপরতায় সচেতন মানুষ বুঝতে পেরেছে ফেরদাউস আলম সরকারের মত একজন লোক এই ইউনিয়নের চেয়ারম্যান হিসাবে খুবই দরকার। ফেরদাউস আলম সরকার হবেন ষাটনল ইউনিয়নের সেবক তা চূড়ান্ত করেছে জনসাধারন । তিনি আজ জনগণের প্রার্থী। কিন্তু উনার জনপ্রিয়তায় ঈশ্বার্ণিত হয়ে গেছে একটি মহল। যে মহলটি উনার বাবার জনপ্রিয়তার সময় একই আচরন করেছে।

আমাদের ভয় হয়, পেশিশক্তি আর অবৈধ টাকার ঝনঝনানিতে দলীয় মনোনয়ন ছিনিয়ে নেয়ার। ষাটনল ইউনিয়নের বাড়িভাঙ্গা গ্রামের বয়োবৃদ্ধ মোখলেসুর রহমান বলেন, ” রেনু সরকারের পোলা ঠিক বাপের মতোন অইছে, গরীব মাইসের জন্য হের মোন কান্দে, এমন একজন ভালা মানুষ আমাগো চেয়ারম্যান অইলে সরকারি সাহায্যের লইগ্গা কারো দুয়ারে যায়োন লাগধোনা, আমাগো অধিকার উনিই দেখতো ” দিন যতোই ঘনিয়ে আসছে ততোই জনপ্রিয়তা বাড়ছে ফেরদাউস আলম সরকারের। প্রত্যেক ওয়ার্ড ও মহল্লার সচেতন মানুষ থেকে রাজনীতিবিদ, কৃষক,শ্রমিক, ছাত্র জনতার ভালোবাসার মানুষের জায়গায় ঠাঁই করে নিচ্ছেন তিনি। ষাটনল ইউনিয়নের ১ নং ওয়ার্ডের মেম্বার ও আওয়ামী লীগ সভাপতি বোরহান উদ্দিন বলেন, ফেরদাউস আলম সরকার ষাটনল ইউনিয়নের গৌরব, উনার মত সৎ লোক এখনকার দিনের রাজনীতিতে খুঁজে পাওয়া জটিল বিষয়। ভালো লোকের কদর সব সময়ই ছিল, আছে, থাকবে।

এই ইউনিয়ন কেন মতলব উত্তরের কেউই বলকে পারবেনা ফেরদাউস আলম সরকারের কথায় বা আচরনে কেউ কোন কষ্ট পেয়েছে। যখনই কারো বিপদের কথা শুনেন উনি ঝাপিয়ে পড়েন। কারোর কোন সমস্যা হলে আন্তরিকতার সাথে সমাধান করে দেন। উনার এই গুণের কথা চারদিকে ছড়িয়ে পড়ায় জনসমর্থনের বিস্ফোরন হচ্ছে বলে আমি মনে করি। তবে রাজনীতির পেছনের দড়জা খুলে অসৎ ফায়দা লুটে নেয়ার লোক এই এলাকায় বেশি হওয়ায় এবাবের নির্বাচনে তা রুখে দিতে তরুন সমাজ ঐক্যবদ্ধ আছেন বলেও জানান তিনি।

কেন উনি এতো জনপ্রিয়, কি উনার উদ্দেশ্য জানতে চাইলে ফেরদাউস আলম সরকার বলেন, নিজের ভাগ্য বদলাতে রাজনীতি করিনা আমি। আমার রাজনীতি সাধারণ মানুষের অধিকার বুঝিয়ে দেয়ার। আমি আমার বাবার কাছ থেকে শিখেছি মানুষের ভালোবাসার চেয়ে বড় কোন সম্পদ পৃথিবীতে নেই। ভালোবাসা অর্জনের মাধ্যমে উন্নত নাগরিক সুবিধার একটি মডেল ইউনিয়ন করার লক্ষ আমার। ষাটনল ইউনিয়ন একটি ঐতিহ্যবাহী এলাকা। সারা দেশে এই এলাকার সুনাম ছড়িয়ে দেয়ার ইচ্ছে আমার রয়েছে। জাতির জনকের আদর্শ বুকে ধারন করে আমার মহরুম বাবার নির্দেশিত পথে মানুষের সেবার রাজনীতি করি আমি।

সকলে আমাকে এত কাছে পায় যেন আমি তাদের পরিবারেরই সন্তান। সংসদ সদস্য জননেতা এডভোকেট নুরুল আমিন রুহুল ভাই,উপজেলা চেয়ারম্যান এম.এ কুদ্দুস ভাই সহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দের ভালোবাসায় দল থেকে আমাকে মনোনয়ন দিলে জয়ের ব্যাপারে শতভাগ আশাবাদী আমি। আমার বাবা মানুষের ভালোবাসার মানুষ ছিলেন এখনও আছেন। আমি তার সন্তান হিসাবে তাদের সেবার মাধ্যমে বেঁচে থাকতে চাই সারা জীবন ধরে।