ডেইলী নিউজ বাংলা ডেস্ক , আপলোডের সময় : শনিবার, ২১ নভেম্বর, ২০২০ , আজকের সময় : মঙ্গলবার, ১ জুলাই, ২০২৫

মৃত কিশোরীদের সঙ্গে যৌনচার, গ্রেফতার ডোমের সহযোগী মুন্না

মোজাম্মেল হক,গোয়ালন্দ (রাজবাড়ী) প্রতিনিধি: ঢাকার শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গের লাশকাটা ঘরে মৃত কিশোরীদের ধর্ষণের অভিযোগে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) হাতে গ্রেফতার ডোমের সহযোগী মুন্না ভক্তের বিচার চাইলেন তার বাবা সুইপার দুলাল ভক্ত। তিনি রাজবাড়ী জেলার গোয়ালন্দ উপজেলার জুরান মোল্লার পাড়া এলাকার বাসিন্দা। শনিবারে দুপুরে দুলাল ভক্তের বাড়ীতে গিয়ে তার সাথে কথা বলে জানা যায়, মুন্না গোয়ালন্দ আইডিয়াল হাইস্কুল থেকে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত লেখাপড়া করে ঢাকায় কাজে চলে যায়।

এরপর আমার স্ত্রীর মেজভাই (মুন্নার মেজমামা) যতন কুমার লালের সঙ্গে মর্গে ডোমের সহযোগী হয়ে প্রায় দেড়বছর ধরে তার বাসায় থেকে কাজ করতো। শুক্রবার স্থানীয় মানুষের মুখে শুনলাম, আমার ছেলে মুন্না ভক্ত যেখানে কাজ করত সেখানে নাকি নোংরা, নিকৃষ্ট একটা কাজ করছে। সেই সাথে এলাকার অনেক লোকজন এটা নিয়ে নানানরকম কথাবার্তা কইতেছে। আমি শুনছি লোকজন বলতেছে যে মানুষ এতো নোংরা কাজ করতে পারে, ও মানুষ না অমানুষ, মানুষ হয়েও মৃত মানুষের সাথে এ রকম কাজ করে, আরো কতো কি বলতে শুনতেছি! তবে মুন্না যে কাজ করেছে তা অন্যায় আমি ওর সঠিক বিচার চাই এই কথা বলে কেঁদে ফেলেন মুন্নার বাবা।

স্থানীয় ওই এলাকার বাসিন্দা স্বপন ভক্ত বলেন, মুন্নার কথাবার্তা আচার আচরন আগে থেকেই খুব খারাপ ছিলো, তবে সে মাঝে মধ্যে নেশা করতো বলে শুনতাম। পরে আমাদের এখান থেকে মুন্না ঢাকায় কাজের জন্য চলে যায়, যদি মুন্না এতো জঘন্য কাজ করে থাকে আমি তার বিচার চাই। গোয়ালন্দ পৌরসভার সুইপার কলোনির বাসিন্দা রাজেশ ভক্ত বলেন, নিজে মানুষ হয়েও যে মৃত মানুষের সাথে এ রকম কাজ করে সেকি মানুষ নাকি অন্যকিছু। আমি ওর সঠিক বিচার চাই। এমন বিচার হওয়া উচিত যে, পৃথিবীতে যে কোন মানুষ আর এই জঘন্য কাজ না করতে পারে।

উল্লেখ্য, গত বছরের ২৯ মার্চ থেকে চলতি বছরের ২৩ আগস্ট পর্যন্ত অন্তত পাঁচজন মৃত কিশোরীর মরদেহ ধর্ষণ করা হয়েছে বলে প্রমাণ পেয়েছে সিআইডি। ওই কিশোরীদের বয়স ছিলো ১১ থেকে ১৭ বছর। আত্মহত্যাকারী ওই কিশোরীদের লাশ বিকাল থেকে সন্ধ্যার মধ্যে মর্গে আনা হয়। তাই পরীক্ষা-নিরীক্ষার এসব লাশ কাটার সময় নির্ধারণ ছিল পরদিন। রাতের বেলা লাশগুলো মর্গে রাখা হতো। মুন্না থাকত সেখানেই। লাশ পাহারার দায়িত্বও ছিল তার ওপর। এই সুযোগটা কাজে লাগিয়ে বিকৃত মানসিকতা চরিতার্থ করত মুন্না।