ডেইলী নিউজ বাংলা ডেস্ক , আপলোডের সময় : মঙ্গলবার, ২৯ এপ্রিল, ২০২৫ , আজকের সময় : বুধবার, ৩০ এপ্রিল, ২০২৫

বাগমারায় গর্ত খুঁড়ে রাস্তা বন্ধ করা হয়েছে, বিপাকে ৫০ পরিবার

বাগমারায় গর্ত খুঁড়ে রাস্তা বন্ধ করা হয়েছে, বিপাকে ৫০ পরিবার

রাজশাহী (বাগমারা) প্রতিনিধিঃ প্রতিহিংসার বশবর্তী হয়ে গভীর গর্ত করে চলাচলের পথ বন্ধ করেছে একটি প্রভাবশালী পরিবার। এতে চরম বিপাকে পড়েছেন গ্রামের প্রায় ৫০ টি পরিবার। ঘটনাটি রাজশাহী বাগমারা উপজেলার ২নং নরদাশ ইউনিয়নের গোড়সার গ্রামে ঘটেছে।
এঘটনায় গত ২৭ এপ্রিল উপজেলা নির্বাহী অফিসার বাগমারা বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগীরা। তবে ভুক্তভোগীদের পক্ষে সান্টু বাদী হয়ে অভিযোগটি করেছেন। অভিযোগে তিনি লিখেছেন, গোনসার গ্রামের মনিবপাড়া থেকে কবিরাজপাড়া পর্যন্ত প্রায় অর্ধকিলোমিটারের রাস্তাটি বহু বছর ধরে তারা ব্যবহার করে আসছে। সেই রাস্তাটি প্রতিহিংসার বশবর্তী হয়ে অন্য একটি বাড়ির দেয়ালের ৫ ইঞ্চি জায়গা রেখে পুরো রাস্তাটি ১০ ফুট গভীর করে খনন করেছেন বিবাদী মৃত ইমান দেওয়ানের ছেলে আ: খালেক দেওয়ান ও বাবু দেওয়ান। অভিযোগটিতে তারা দাবী করেছেন এই পথ ছাড়া তাদের চলাচলের বিকল্প কোন রাস্তা নাই। তাই মানবিক দিক বিবেচনা করে দ্রুত প্রশাসনের হস্তক্ষেপ প্রয়োজন।এছাড়াও ভুক্তভোগীরা স্থানীয় গণমাধ্যমকর্মীদের ডেকে বিষয়টি দেখিয়েছেন। চলাচলের রাস্তা খননের একটি ভিডিও চিত্র এখন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাঁসছে।
এঘটনায় ২৮ এপ্রিল সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে গোড়সার গ্রামের সান্টুর বাড়ির পেছনে চলাচলের রাস্তায় গভীর গর্ত খনন করা হয়েছে। গর্তটি করেছে বিবাদী খালেক দেওয়ান ও ভাই বাবু দেওয়ান।  গভীর গর্ত খনন করার কারনে গ্রামের অর্ধশতাধিক পরিবারের চলাফেরা বন্ধ হয়ে গেছে। এতে করে বিপাকে পড়েছেন ওই রাস্তায় চলাফেরা করা আরও শত শত মানুষ। গত ৬ দিন ধরে মানবেতর জীবনযাপন করছে তারা।  তিনশফুট রাস্তার মাঝে ১০  ফুট রাস্তা গভীর গর্ত করে কেটে ফেলেন এবং ইট দিয়ে ওয়াল দিয়ে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করা হয়েছে। মানুষ হাটবাজার, হাসপাতালে, প্রাত্যহিক কাজ করতে ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন। বয়োবৃদ্ধরা মসজিদে যেতে পারছেন না। এছাড়াও স্কুল, কলেজ, মাদরাসা পড়ুয়া ছাত্র-ছাত্রীরা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে যেতে পারছে না।
এলাকাবাসি জানান এই গোনসার গ্রামের মনিবপাড়া হতে কবিরাজপাড়া পর্যন্ত অর্ধকিলোমিটার রাস্তাটি প্রায় ৩০ বছরের পুরনো। রাস্তাটি ১০ ফুট গভীর গর্ত করায় চরম ঝুকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে অভিযোগকারি সান্টুর বাড়ি।  গ্রামের লোকজন বাধা প্রদান করলেও সে জোরপূর্বক গভীর গর্ত করে।
এঘটনায় তারা প্রশাসনের নিকট সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহনের দাবী জানান।
নজরুল ইসলাম নামের একজন জানান, গত ৩০ বছর ধরে এলাকার শত শত নারী-পুরুষ শিশু ও ছাত্র ছাত্রী  এ পথে চলাচল করে আসছে।কিন্তু হঠাৎ কোনো ধরনের কথা ছাড়াই গায়ের জোরে রাস্তাটি কেটেছে।  এতে স্কুল-কলেজ পড়ুয়া ছাত্রছাত্রী ও শিশুরা এক ধরনের গৃহবন্দি হয়ে পড়েছে। স্থানীয়রা জানান, এটি একটি অমানবিক কাজ। বিষয়টি জানতে পেরে তাৎক্ষণিক ঘটনাস্থলে ছুটে জান গ্রামের লোকজন এবং তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে ক্ষতিগ্রস্ত বাড়ির লোকজনের সঙ্গে কথা বলেছেন। ব্যাপারটি নিয়ে নরদাশ ইউনিয়ন পরিষদের  সদস্য মো. মজিবুল হকও খবর পেয়ে তিনি দ্রুত ঘটনাস্থলে এসেছিলেন। যেহেতু এ সড়কে দীর্ঘ বছর ধরে ওই এলাকার মানুষ চলাচল করেছে সেহেতু রাস্তাটি না কেটে উভয়পক্ষ সমঝোতার মধ্য দিয়ে সমাধান করা যেত। এছাড়া লোকজনের, এভাবে চলাচলের পথ কেটে ওই পথে  ইটের দেয়াল দিয়ে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করা মানবিক মনে হয়নি।
এ ব্যপারে বাগমারা উপজেলা নির্বাহী অফিসার মাহবুবুল ইসলাম এর সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি ফোন রিসিভ করেন নি। তাই তার মন্তব্য জানা যায় নি।