ডেইলী নিউজ বাংলা ডেস্ক , আপলোডের সময় : বৃহস্পতিবার, ১ মে, ২০২৫ , আজকের সময় : শুক্রবার, ২ মে, ২০২৫

তানোরে সাংবাদিকের বাড়িতে ডাকাতি চেষ্টা দায়ের কোপে জখম ১০ বছরের ভাগনে ও মা

তানোরে সাংবাদিকের বাড়িতে ডাকাতি চেষ্টা দায়ের কোপে জখম ১০ বছরের ভাগনে ও মা

 

তানোর (রাজশাহী) প্রতিনিধি: রাজশাহী তানোরে সাংবাদিক বিশ্বজিৎ চৌধুরীর বাড়িতে ডাকাতির চেষ্টা করা হয়েছে। ডাকাতিতে ব্যার্থ হয়ে সাংবাদিক বিশ্বজিৎ এর মা ও ভাগনে কে কুপিয়ে জখম করেছে ডাকাতরা। বিশ্বজিৎ তানোর রিপোর্টার্স ক্লাবের কোষাধ্যক্ষ ও দৈনিক গণমুক্তি পত্রিকার তানোর প্রতিনিধি এবং সনাতন ধর্মের পুরোহিত।

গত বুধবার (৩০ এপ্রিল) রাত সাড়ে ১০টা দিকে তানোর পৌরসভার বাজে আকচা গ্রামে ঘটনাটি ঘটেছে। বিশ্বজিৎ পরিবার প্রতিদিনের ন্যায় রাতে দরজা বন্ধ করে বাড়িয়ে শুয়ে পড়েন। এরপর রাত সাড়ে ১০ টার দিকে প্রকৃতির ডাকে সাড়া দিলে বাইরে বের হয় বিশ্বজিৎ এর মা। বাথরুম থেকে বের হতেই বাড়ির ভিতরে দুই জনকে দেখতে পায় বিশ্বজিৎ এর মা। এসময় চোর চোর বলে চিৎকার দিলে ডাকতরা দৌড়ে এসে তার মুখ চেপে ধরে। কিন্তু ঠাকুর মা’র (নানী) এমন শব্দ শুনে দ্রুত বাইরে দৌড়ে আসে ১০ বছরের ভাগনে জিৎ। এসময় ডাকাতের হাতে থাকা দা/কুপদা দিয়ে জিৎ এর মাথায় নৃশংসভাবে এলোপাতাড়ি কোপ মারে। এতে মাথায় ৩-৪ জায়গায় গুরুত্বর জখম হয়। এসময় তারা চিৎকার চেচামেচি করলে গ্রামের এগিয়ে আসে। এরপর অবস্থা খারাপ দেখে ডাকাতরা দ্রুত পালিয়ে যায়। জিৎ আকচার উচ্চ বিদ্যালয়ের ৬ষ্ঠ শ্রেনীর ছাত্র। অবশ্য ঘটনার সময় সাংবাদিক বিশ্বজিৎ বাড়িতে ছিলেন না।

পরে সাংবাদিক বিশ্বজিৎকে জানানো হলে দ্রুত বাড়িতে যান এবং থানা পুলিশকে অবগত করেন। কিছুক্ষণ পর পুলিশ আসলে দ্রুত তাদের উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠান। তারা বর্তমানে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন।

এঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছে তানোর রিপোর্টার্স ক্লাব। হামলার খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে ছুটে যান তানোর রিপোর্টার্স ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান। তিনি ঘটনাটিতে গভীর উদ্বেগ জানিয়ে দোষীদের দ্রুত গ্রেফতার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন।

পরে সাংবাদিক বিশ্বজিৎ চৌধুরীর সাথে কথা হলে তিনি জানান, আমি একেবারে ছিমছাম ভাবে সাংবাদিকতা করি। কারো সাথে বিরোধ করে সাংবাদিকতা করি না। আমার কাছে এটি একটি চুরির ঘটনা মনে হচ্ছে। আমি বর্তমানে মেডিকেলে রয়েছি। এখান থেকে বের হয়ে থানা পুলিশের সাথে যোগাযোগ করবো। তবে আমি ঘটনার পর পর ফোনে থানাকে অবগত করেছি, তারা তাদের মত কাজ করছে। আমার ১০ বছরের ভাগনের মাথায় অনেকগুলো সেলাই দেযা হয়েছে, মা খুব অসুস্থ। আমি মানষিকভাবে খুব বিবর্ত। আমি দ্রুত অপরাধীদের আইনের আওতায় দেখতে চাই।

ব্যাপারটি নিয়ে তানোর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আফজাল হোসেনের সাথে কথা হলে তিনি জানান, ঘটনার পর পরই পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়েছে। তবে ঘটনার বর্ণনা ও সময় দেখে এটি চুরি বা ডাকাতির ঘটনা মনে হচ্ছেনা। সাংবাদিক বিশ্বজিৎ অত্যন্ত ভাল মানুষ। কিন্তু তিনি যেহেতু সাংবাদিকতা করেন সেহেতু তার শত্রু থাকতে পারে। কারন চোর চুরি করে মধ্য রাতে। তাছাড়া তার বাড়ির বাইরে অনেক মূল্যবান জিনিসপত্র পড়ে রয়েছে, চোর হলে সেগুলো চুরি করতো। কিন্তু সে কিছুই নেয়নি। আমরা সব কিছু খতিয়ে দেখছি। ঘটনার পর থেকে আমাদের অভিযান অব্যাহত আছে। বিশ্বজিৎ যেহেতু ভিক্টিমদের নিয়ে হাসপাতালে ব্যস্ত আছে। তাই সে ফিরে আসার অপেক্ষায় আছি, তাকে জিজ্ঞেসাবাদ করে পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে। তবে এটি যে বা যাহারা করুক, কোন ছাড় দিবেনা পুলিশ।