
ঘোড়াঘাটে বৈদ্যুতিক ফাঁদে জড়িয়ে এক শিশুর মৃত্যু
ঘোড়াঘাট (দিনাজপুর) প্রতিনিধিঃ
দিনাজপুরের ঘোড়াঘাট উপজেলার ডুগডুগিহাট শালগ্রামে আম কুড়াতে গিয়ে শিয়ালের জন্য বৈদ্যুতিক ফাঁদের তারে জড়িয়ে উম্মে হাবিবা (৭) নামে এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে।
রবিবার (৪ মে) দিবাগত রাত ৮ টার দিকে বাড়ির পাশে হাঁসের খামারে দেওয়া বৈদ্যুতিক ফা়ঁদের তারে জড়ানো শিশুর মরদেহ উদ্ধার করা হয়। শিশুটি ডুগডুগিহাট শালগ্রামের হাফিজুল ইসলামের মেয়ে। সে একই উপজেলার পুড়ইল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ১ম শ্রেণীর শিক্ষার্থী ছিল।
শিশুটির পিতা হাফিজুল ইসলাম বলেন, বাড়ির পাশে মাহফুজার রহমানের হাঁসের খামার। শিয়ালের উৎপাতের কারণে খামারের নিচে চারপাশে তারের সঙ্গে বিদ্যুৎ এর সংযোগ দিয়ে রাখতেন। গত রবিবার বিকাল অনুমান ৫ টার দিকে ঝড়-বাতাসের সময় আমার মেয়েসহ ওর বয়সী আরও ৩ জন খামারের পাশে আমগাছের আম কুড়াতে যায়। সাথে থাকা ৩ শিশু আম কুড়ানো শেষে বাড়ি ফিরলেও উম্মে হাবিবাকে খুজে পাওয়া যাচ্ছিল না। অনেক খোঁজাখুঁজির পর আমার ভাইয়ের স্ত্রী লাকী বেগম খামারের পাশে আমার মেয়ের নিথর দেহ পড়ে থাকতে দেখতে পায়। পরে সেখান থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
শিশুটির চাচী লাকী বেগম জানান, বিকাল গড়িয়ে সন্ধ্যা নামার পরও যখন হাবিবা বাড়িতে ফিরছিল না। তখন আমরা সবাই মেয়েকে খোঁজাখুঁজি করতে থাকি। রাত ৮ টার দিকে মাহাফুজার রহমানের হাঁসের খামারে দেওয়া বিদ্যুৎ এর তারের সাথে জড়িয়ে ভাতিজিকে পড়ে থাকতে দেখতে পাই। পরে আমার চিৎকারে পরিবারের লোকজন এসে হাবিবাকে মৃত অবস্থায় উদ্ধার করে।
এ ব্যাপারে ঘোড়াঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাজমুল হক জানান, খামারের তারের সঙ্গে জড়িয়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে শিশু মৃত্যুর খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়। সুরতহালে শিশুটির দুই পায়ে এবং পিঠে বিদ্যুৎ স্পৃষ্টের পোড়া ক্ষত পাওয়া গেছে। পরে শিশুটির মরদেহ থানায় নিয়ে আনা হলে পরিবারের পক্ষ থেকে কোন অভিযোগ না করায় উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সাথে কথা বলে লাশ তার পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। এ বিষয়ে একটি অপমৃত্যুর মামলা হয়েছে।
Print [1]