সাইফ উল্লাহ,
বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্র-জনতার ওপর হামলা মামলায় সুনামগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগ ও যুবলীগের ছয় নেতাকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত। আজ বুধবার সুনামগঞ্জের সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ আদালতে হাজির হয়ে জামিনের আবেদন করলে আদালতের বিচারক মো. হেমায়েত উদ্দিন তাদের জামিন না-মঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। জেলা যুবলীগের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য নুরুল ইসলাম বজলু গুরুতর অসুস্থ হওয়ায় জামনি মঞ্জুর করা হয়।
আসামিরা হলেন- জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক শংকর চন্দ্র দাস, জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য মো. ফজলুল হক, জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য ও তাহিরপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অমল কান্তি কর, জেলা যুবলীগের যুগ্ম আহবায়ক খন্দকার মঞ্জুর আহমদ, সুনামগঞ্জ সদর উপজেলা যুবলীগের সভাপতি এহসান উজ্জ্বল ও সাধারণ সম্পাদক মাজহারুল ইসলাম।
সুনামগঞ্জ পৌর শহরে গত বছরের ৪ আগস্ট ছাত্র জনতার আন্দোলনের সময় ছাত্র-জনতার ওপর হামলার ঘটনায় দায়ের করা মামলার এজহারভুক্ত আসামি তারা।
জামিন না মঞ্জুরের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন আসামিদের পক্ষের আইনজীবী ও জেলা আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক নূরে আলম সিদ্দিকী।
গত বছরের ৪ আগস্ট ছাত্র-জনতার আন্দোলনের সময় সুনামগঞ্জ পৌর শহরে আন্দোলনকারীদের ওপর হামলার ঘটনা ঘটে। আন্দোলনকারীরা বিএনপির অফিসে হামলা করে ভাংচুর করে। এ ঘটনায় আহত জহুর আহমদের ভাই জেলার দোয়ারাবাজার উপজেলা বাসিন্দা হাফিজ আহমদ বাদী হয়ে ২ সেপ্টেম্বর সদর মডেল থানায় দ্রুত বিচার আইনে একটি মামলা দায়ের করেন। এই মামলায় সাবেক পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান, সুনামগঞ্জের দুইজন সাবেক সংসদ সদস্য, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি নূরুল হুদা মুকুট ও সাধারণ সম্পাদক নোমান বখত পলিন সহ ৯৯ জনকে আসামি করা হয়। মামলায় অজ্ঞাত আসামি আছেন আরও ১৫০ থেকে ২০০ জন।