রাজশাহী ব্যুরো: রাজশাহীতে ফজলে হাবিব সৌরভ নামের নগদ প্রতিষ্ঠানের এক প্রতারক কর্মীকে আটক করে জেল হাজতে পেরণ করেছে আদালত।
রবিবার (০১ জুন) দুপুরে রাজশাহী মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে আত্মসমর্পণ করলে আদালত তার জামিন না মুঞ্জুর করে জেল হাজতে পাঠানোর নির্দেশ প্রদান করেন।
মামলাসুত্রে জানাযায়, গত ২২ সালের ডিসেম্বরের ১ তারিখে দেশের বিশ্বস্ত প্রতিষ্ঠান নগদের টাকা এডমিন অফিসার পদে যোগদান করেছিলেন প্রতারক সৌরভ। এরপর প্রতিষ্ঠানের ডিএসও আনোয়ার হোসেন ও রাজশাহী মহানগরীর বিভিন্ন এলাকা থেকে বিভিন্ন সময় নগদ ডিস্ট্রিবিটরদের থেকে মোটা ১০,২১,৭১০ (দশ লক্ষ একুশ হাজার সাতশত দশ) টাকা গ্রহন করেন। কিন্তু সেই টাকা অফিসে জমা না দিয়ে তিনি আত্মসাৎ করেছেন বলে মামলায় উল্লেখ করেছেন মামলার বাদি (ম্যানেজার) কাদীরুল হাসীন মৃধা। সৌরভের বিরুদ্ধে চারিদিক থেকে অভিযোগ আসতে শুরু করলে তাকে টাকা গুলো জমা দেয়ার কথা বলে ম্যানেজার কাদীরুল। কিন্তু সৌরভ টাকা না দিয়ে উল্টো ম্যানেজারকে ভয়ভীতি প্রদর্শন করে। এরপর বিভিন্ন মাধ্যমে টাকা গুলোর ব্যাপারে আপোশ মিমাংসা করার চেষ্টা করা হয়। তাতেও কোন কাজ হয়নি। অবশেষে প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে ম্যানেজার কাদীরুল হাসীন মৃধা বাদী হয়ে গত ৯/৪/২৩ তারিখে দন্ডবিধি ৪০৮/৪০৬/৪২০/৫০৬ ধারায় আদালতে মামলা করেন। যার মামলার ৩৩৩ সি-২৩ (বোয়ালিয়া)।
এঘটনায় নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক অনেকে জানান, সৌরভ ইতিপূর্বে পাবনার এক কোম্পানিতে একই ঘটনা ঘটিয়েছিলেন। সেই মামলার তদন্ত করেছিলেন বোয়ালিয়া থানাধীন বিসিক ফাঁড়ির ইনচার্জ এসআই সোহেল রানা। পরে বড় ভাই ও অন্যান্যদের মাধ্যমে রফাদফা করা হয়। এই সৌরভ তার বড় ভাই হাবীব তারা ও দুলাভাই রাব্বানীর প্রভাব খাটিয়ে ধরাকে সরাজ্ঞান করতেন। গত বছরের সেপ্টেম্বরের ১ তারিখে রাজশাহীর রেলগেটে একজন প্রফেশনাল সাংবাদিককে কর্মরত অবস্থায় মারধর করেন। এরপর সেই সাংবাদিকের বিরুদ্ধে উল্টো মিথ্যা মামলা করে হয়রানি করা হয়। বাধ্য করা হয় আপোশ মিমাংসা করতে। সৌরভ মাদকাশক্ত হওয়ায়, নানা অপকর্মের সাথে জড়িত ছিলেন। পরে ভাই ও দুলাভাইয়ের বদৌলতে সাংবাদিকতা শুরু করে। সে একটি অনিবন্ধিত নিউজ পোর্টালে কাজ করে বলে জানাযায়। বড়ভাই রাজশাহী পদ্মা প্রেসক্লাবের সভাপতি হওয়ায় সে পদ্মা প্রেসক্লাবের সদস্য বলে উল্লেখ করেছেন।