
নওগাঁয় চিকিৎসক সংকটে সরকারি হাসপাতাল: ক্লিনিকে ছুটছেন রোগীরা
মোহাম্মদ আককাস আলী : নওগাঁ সদরসহ ১১ উপজেলায় ৩১৯ চিকিৎসকের বিপরীতে আছেন মাত্র ৮৪ জন।
চিকিৎসা নিতে আসা রোগীরা সরকারি হাসপাতালে সেবা না পেয়ে ভিড় করছেন প্রাইভেট ক্লিনিকে। স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা বলছেন, চিকিৎসক চেয়ে মন্ত্রণালয়ে দেয়া হচ্ছে বারবার তাগাদা।
বদলগাছী উপজেলায় সাড়ে ৩ লাখ মানুষের ভরসা। এ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চলছে মাত্র ২ জন চিকিৎসক দিয়ে। একই অবস্থা জেলার মান্দা, মহাদেবপুর, পত্নীতলা, সাপাহার, উপজেলার স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে। ৩০ থেকে ৩১ চিকিৎসকের বিপরীতে ৩ জন অথবা ৪ জন চিকিৎসক দিয়ে চলছে রোগীদের সেবা। জনবল সংকট ছাড়াও রয়েছে প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতির অভাব।
রোগীরা বলছেন, ‘এখানে আসার পর কোনো ডাক্তার নাই, নার্সরা ঠিক মতো দেখে না। তাই ভর্তি হয়েও সেবা না পাওয়ায় চলে যেতে হচ্ছে প্রাইভেট ক্লিনিকে।
এ অবস্থায় বেসরকারি ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারগুলোতে ধর্না দিচ্ছেন রোগীরা। চিকিৎসকরা বলছেন, কম জনবল দিয়ে রোগীদের সুষম সেবা দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না। বললেন বদলগাছী আবাসিক মেডিকেল অফিসার আসাদুজ্জামান।
তিনি বলেন, এখানে রোগীর যে চাপ তা কম জনবল দিয়ে সেবা দেয়া কষ্টকর হয়ে উঠেছে। এদিকে হাসপাতালে ভর্তি হওয়া একাধিক রোগী অভিযোগ করেন রোগীদের যে খাবার দেওয়া হচ্ছে তা খাবার অনুপযোগী। বেশিরভাগ সময় রোগীরা খেতে না পেরে ফেলে দেন।
নওগাঁর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে যোগদান দেখিয়ে রাজধানীসহ বিভিন্ন জায়গায় কর্মরত রয়েছেন ২২ চিকিৎসক। এ অবস্থায় সেবা ব্যাহত হওয়ার কথা বলছেন স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. মো. আমিনুল ইসলাম।
তিনি বলেন, ‘আমি যোগ দিয়ে চেষ্টা করছি, এ জেলায় চিকিৎসক কীভাবে বাড়ানো যায়। মন্ত্রণালয়ে পত্র দিয়েছি। তারা আশ্বাস দিয়েছে।’
১১ উপজেলা সরকারি স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ছাড়াও জেলায় রয়েছে তৃণমূল মানুষের স্বাস্থ্য সেবার জন্য ৩০৭ টি কমিউনিটি হাসপাতাল। প্রয়োজনীয় জনবল ও অবকাঠামো বাড়িয়ে তৃণমূল মানুষের স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করার আহ্বান জেলাবাসীর।
Print [1]