বোয়ালমারী (ফরিদপুর) প্রতিনিধি: বাংলাদেশ পেট্রুলিয়াম কর্পোরেশন কোম্পানীর কিলার্ক পদে ৯ বছর চাকুরী করে কোটি টাকার আলিশান বাড়ি নির্মাণ করেন এবং অর্ধকোটি টাকার জমি রেখেছেন।
ফরিদপুরের বোয়ালমারী উপজেলার রুপাপাত ইউনিয়নের কালিনগর গ্রামের ইমান ফকিরের ছেলে বদরুল ফকির মাত্র ৯ বছর বাংলাদেশ পেট্রুলিয়াম কোম্পানীতে চাকুরী ক রে কোটি টাকার বাড়ি নির্মাণ করেন এবং অর্ধকোটি টাকার জমি রেখেছেন।
সরজমিন গিয়ে জানা যায়, ২০১৪ সালে বদরুল ফকির বাংলাদেশ পেট্রুলিয়াম কোম্পানীতে কিলার্ক পদে চাকুরী পায়। চাকুরী পাওয়ার পর ৮ বছরের মাথায় গত বছর কালিনগর রুপাপাত ময়েনদিয়া সড়কের পাশে কালিনগর গ্রামে কবিতা চক্রবর্তীর ৪৩ শতক জমি জোরপূর্বক দখল করে কোটি টাকার আলিশান বিল্ডিং করেন। কবিতা চক্রবর্তী দেবর কৃষ্ণ চক্রবর্তী ওই জমির উপর ১৪৪ ধারা জারি করলে বদরুল ফকির ও তার ভাই কৃষ্ণ চক্রবর্তীকে মারধর করে বলে অভিযোগ করেন কৃষ্ণ চক্রবর্তী। ওই জমি নিয়ে সরকার পক্ষের সাথে কৃষ্ণ চক্রবর্তীর মামলাও চলতেছে।
কালিনগর গ্রামের বিএনপি নেতা কামরুল ফকির জানান, বদরুল ফকির আ’ লীগ সমর্থিত পরিবারের হাওয়াই ২০১৪ সালে বাংলাদেশ পেট্রুলিয়াম কর্পোরেশন কোম্পানিতে করণিক পদে চাকুরী নেয়। চাকুরী নেওয়ার পর মাত্র ৯ বছরে কোটি টাকার আলিশান বাড়ি নির্মাণ করেছে , অর্ধ কোটি টাকার জমি রেখেছে।সংখ্যালঘু কবিতা চক্রবর্তীর জায়গা জোর পূর্বক দখল করে। তারা বাধা দিতে গেলে তাদের মারধর করে তাড়িয়ে দেয়। ওই জোরপূর্বক দখল করা জমিতে কোটি টাকার বাড়ি করেছে। বদরুল ফকিরের এত টাকার উৎস কি?
কামরুল ফকির আরো বলেন, আমরা যারা বিএনপি করি আ’লীগের আমলে দলীয় প্রভাব খাটিয়ে আমাদের বিপদে ফেলে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে বদরুল ফকির ও তার ভাই। কৃষ্ণ চক্রবর্তী বলেন, যে জমিতে বদরুল ফকির কোটি টাকার বাড়ি করেছেন ওই জমি নিয়ে সরকার পক্ষের সাথে আদালতে মামলা চলছে। ওই জমিতে বদরুল ফকির বিল্ডিং করার সময় আমি বাধা দিলে আমাকে মারধর করে। পরে আমি আদালতে ১৪৪ ধারা জারি করি। তারা আ’লীগ করে সেই জোরে আমার মতন সংখ্যালঘুকে মারধর করে জোরপূর্বক আমাদের জায়গায় বিল্ডিং করেছেন।
বদরুল ফকির বলেন, আমি ৩০ লক্ষ টাকা লোন করে বাড়ি করেছি। কোটি টাকা দিয়ে বাড়ি নির্মাণ ও অর্ধকোটি টাকা দিয়ে জমি রেখেছেন এ প্রশ্ন করলে তিনি এড়িয়ে যান। তিনি আরো বলেন, আমাদের অনেক শত্রু আছে। জমি জমা নিয়ে বিরোধ আছে আমাদের সাথে যার কারণে অনেকে অনেক কথা বলছে।