ফলন ভালো হলেও দাম নিয়ে হতাশায় নওগাঁর কাঁচা মরিচ চাষীরা
মোহাম্মদ আককাস আলী :
ফলন ভালো হলেও দাম নিয়ে হতাশায় নওগাঁর কাঁচা মরিচ চাষীরা। উৎপাদন খরচ তুলতে হিমশিম খাচ্ছে ওইসব কাঁচা মরিচ চাষিরা। বর্তমান কাঁচামরিচ পাইকারি বাজারে বিক্রি হচ্ছে ১০-১৫টাকা কেজি।
মরিচ চাষী মাসুদ রানা জানান,জমি থেকে মরিচ তুলতে শ্রমিকদের মজুরি দিতে হচ্ছে ১০ টাকা কেজি। আর হাটে গিয়ে মরিচ বিক্রি করতে হচ্ছে ১০-১২ টাকা কেজি। সপ্তাহে জমিতে কীটনাশক দিতে হয় ৬০০ টাকা। আয়ের চেয়ে ব্যয় হচ্ছে বেশি। তারপরও আশায় আছি আগামীতে ভাল দাম পাওয়ার।
আর এক চাষী মতিউর রহমান জানান, গত বছর এ সময় প্রতিকেজি মরিচ ১২০-১৫০ টাকা কেজি পাইকারি বিক্রি হয়েছে। আর এখন ১০-১২ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে। যেখানে আমাদের উৎপাদন খরচ পড়ছে ৩০ টাকা কেজি। এতে লোকসান গুনতে হচ্ছে। তবে ৫০ টাকা কেজি বিক্রি হলে কিছুটা লাভবান হওয়া যাবে।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের তথ্যমতে- জেলায় এ বছর ৯৬৫ হেক্টর জমিতে মরিচের আবাদ হয়েছে। যা থেকে শুকনা মরিচের উৎপাদন হবে ৯ হাজার ৬০০ টন।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক মো. আবুল কালাম আজাদ জানান,গত বছর এসময় খরা ও অনাবৃষ্টির কারণে ক্ষেতেই অনেক গাছ নষ্ট হয়ে গিয়েছিল। এতে উৎপাদন কম হওয়ায় দামও বেশি ছিল। তবে এ বছর আবহাওয়া ভাল থাকায় মরিচের উৎপাদন বেড়েছে। সরবরাহ বাড়ায় দাম কিছুটা কমেছে। তবে মরিচক্ষেত সতেজ ও ছত্রাকমুক্ত রাখতে কৃষকদের সার্বিক পরামর্শ প্রদান করা হচ্ছে। আগামীতে কৃষকরা ভাল দাম পেয়ে লাভবান হবেন বলে জানান তিনি।