
দৌলতপুরে পানিবন্দী মানুষের দুর্ভোগ চরমে, জামায়াতের উপহার সামগ্রী বিতরণ
দৌলতপুর প্রতিনিধিঃ
কুষ্টিয়ার দৌলতপুরে পদ্মা নদীর বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হওয়ায় পানিবন্দী মানুষের দুর্ভোগ বেড়ে গেছে কয়েকগুণ। দেখা দিয়েছে খাদ্য ও বিশুদ্ধ পানির তীব্র সংকট।
উপজেলার চিলমারী ও রামকৃষ্ণপুর ইউনিয়নের প্রায় ৩৫টি গ্রামে প্রায় ৬০ হাজার মানুষ পানিবন্দী হয়ে পড়েছে। পুরোপুরি ডুবে গেছে চিলমারী ইউনিয়নের ছয়টি গ্রাম। চলাচলের রাস্তা তলিয়ে যাওয়ায় যোগাযোগ ব্যবস্থা ভেঙে পড়েছে। বন্যার পানির সঙ্গে সাপ ও পোকামাকড়ের উপদ্রবও বেড়েছে।
মানব খাদ্যের পাশাপাশি গবাদিপশুর খাবারের সংকট দেখা দিয়েছে। তলিয়ে গেছে ফসলের জমি ও চারণভূমি। ফিলিপনগর ও মরিচা ইউনিয়নের চরাঞ্চলের আবাদি জমিও পানির নিচে। নদীভাঙন আতঙ্কে নদীপাড়ের মানুষ দিশেহারা হয়ে পড়েছে।
এদিকে বন্যায় চিলমারী ও রামকৃষ্ণপুর ইউনিয়নের বেশ কিছু শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান প্লাবিত হয়েছে। এর ফলে ১৭টি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ৪টি মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও ১টি মাদ্রাসার পাঠদান বন্ধ রয়েছে।
এ অবস্থায় শুক্রবার সকালে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী দৌলতপুর উপজেলা শাখার উদ্যোগে উপহার সামগ্রী বিতরণ কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়।
প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জামায়াতের কেন্দ্রীয় মজলিসে শুরা সদস্য ও কুষ্টিয়া জেলা আমীর অধ্যাপক মাওলানা আবুল হাসেম। জেলা সেক্রেটারি অধ্যাপক সুজা উদ্দিন জোয়ারদার এবং উপজেলা আমীর ও সংসদ সদস্য পদপ্রার্থী মাওলানা মো. বেলাল উদ্দিন, কুষ্টিয়া জেলা ছাত্র শিবির’র সাবেক সভাপতি মুহাম্মদ খাজা আহম্মেদসহ স্থানীয় নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
তারা বন্যাকবলিত বিভিন্ন গ্রাম ঘুরে দেখেন এবং পানিবন্দী পরিবারের হাতে উপহার সামগ্রী পৌঁছে দেন।
এ সময় অধ্যাপক আবুল হাসেম বলেন, “দৌলতপুরের দুর্গত মানুষের কষ্ট লাঘবে আমরা উপহার সামগ্রী বিতরণ শুরু করেছি। আল্লাহর রহমতে আমরা সবসময় অসহায় মানুষের পাশে আছি এবং থাকবো।”