
নির্বাচন নিয়ে বাঁকা পথে গেলে দাঁতভাঙা জবাব দেবে যুবদল: শরীফ উদ্দিন জুয়েল
দৌলতপুর (কুষ্টিয়া) প্রতিনিধি:
ঢাকা উত্তর মহানগর যুবদলের আহ্বায়ক শরীফ উদ্দিন জুয়েল হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছেন, “নির্বাচন নিয়ে যদি কেউ বাঁকা পথে হাঁটতে চায়, তাহলে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী যুবদল তাদের দাঁতভাঙা জবাব দেবে।”
শুক্রবার (২২ আগস্ট) কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলার বোয়ালিয়া ইউনিয়নে জনসংযোগ শেষে স্থানীয় সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ মন্তব্য করেন।
তিনি জানান, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের রাষ্ট্র সংস্কার বিষয়ক ৩১ দফা কর্মসূচি সাধারণ মানুষের কাছে পৌঁছে দিতে দিনভর ইউনিয়নের বিভিন্ন স্থানে লিফলেট বিতরণ করা হয়। বিকেল ৪টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত তিনি জনসংযোগে অংশ নেন এবং সাধারণ মানুষের সঙ্গে মতবিনিময় করেন।
শরীফ উদ্দিন জুয়েল বলেন, “গত ১৭ বছর দেশের মানুষ ভোটাধিকার থেকে বঞ্চিত ছিল। ফ্যাসিস্ট সরকার জনগণের অধিকার হরণ করেছিল। অবশেষে ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে সেই অধ্যায়ের অবসান হয়েছে। এখন ফেব্রুয়ারিতে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। জনগণ ধানের শীষে ভোট দিতে মুখিয়ে আছে।”
তিনি আরও বলেন, “যারা গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে কথা বলার সুযোগ পেয়েও নির্বাচনের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে, সেনাবাহিনীকে বিতর্কিত করছে এবং প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনুসকে আক্রমণ করছে, তারা আসলে বাঁকা পথে হাঁটছে। কিন্তু যদি আমরা বাঁকা পথে দাঁড়াই, তাহলে তাদের সব বেয়াদবি ধুলোয় মিশে যাবে।”
জনগণের উদ্দেশে তিনি আহ্বান জানান— দেশের আকাঙ্ক্ষা বোঝার চেষ্টা করতে, মানুষের ভালোবাসা ও আস্থা অর্জনের জন্য রাজনীতি করতে। অথচ যারা নতুন দল গঠন করেছে, তাদের রাজনৈতিক স্বীকৃতি এখনো মেলেনি, এমনকি নিজেদের প্রতীক নিয়েও তারা অনিশ্চয়তায় ভুগছে। তারপরও তারা ফেব্রুয়ারির নির্বাচন ঠেকাতে চেষ্টা করছে, যা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়।
শেষে তিনি দৃঢ় কণ্ঠে বলেন, “বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী যুবদল নির্বাচনী গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার পক্ষে। কিন্তু যদি নির্বাচন নিয়ে বাঁকা পথে হাঁটার চেষ্টা হয়, আমরা রাজপথেই তার দাঁতভাঙা জবাব দেব।”
এ সময় তার সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন দৌলতপুর উপজেলা বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি আলহাজ আলতাফ হোসেন, সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক আবিদ হাসান সরকার মন্টি, উপজেলা যুবদলের সদস্য সচিব রেজাউর রহমান মাসুম, উপজেলা কৃষক দলের আহ্বায়ক আরিফুর রহমান নান্নুসহ যুবদল, ছাত্রদল ও অন্যান্য সহযোগী সংগঠনের কয়েক হাজার নেতাকর্মী।