ডেইলী নিউজ বাংলা ডেস্ক , আপলোডের সময় : রবিবার, ১৪ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ , আজকের সময় : রবিবার, ১৪ সেপ্টেম্বর, ২০২৫

ভেড়ামারায়  মাল্টা চাষে সফল হাসান

ভেড়ামারায়  মাল্টা চাষে সফল হাসান

হেলাল মজুমদার কুষ্টিয়া

কুষ্টিয়া ভেড়ামারা উপজেলার মোকারিমপুর ইউনিয়নের গোলাপনগর বাগগাড়ি পাড়া ৭ বিঘা জমিতে মাল্টা চাষ করে বেশ সাফল্য পেয়েছেন তরুণ হাসান আলী। এখন তিনি বাণিজ্যিকভাবে শুরু করেছেন এই মাল্টার চাষ। তার কাজে অনুপ্রেরণা হিসেবে স্বপ্ন বুনছেন এলাকায় অনেকেই মাল্টা চাষ শুরু করেছেন। করেছেন নতুন করে মাল্টা বাগানও। চাষের ক্ষেত্রে লোকসানের ঝুঁকি নেই, বাজারে দেশীয় মাল্টার চাহিদাও ভালো, খেতেও খুব সু-স্বাদু হওয়ায় গ্রামাঞ্চলে জনপ্রিয় হচ্ছে বিভিন্ন জাতের মাল্টার চাষ। পরিচর্যা নেই বললেই চলে, তাই খরচও কম। আর কম সময়ে, স্বল্প পুঁজিতে এ মাল্টা চাষ বিস্তার লাভ করছে। সরেজমিন হাসানের মাল্টা বাগানে গিয়ে দেখা যায়, প্রতিটি গাছেই থোকায় থোকায় ধরে আছে মাল্টা, এতে বেশ খুশি তিনি।
হাসান আলী বলেন, মাল্টা চাষ আমাদের এলাকায় করা সম্ভব এটা আশা করিনি। ভাবতাম এই মাল্টার চাষ কীভাবে করা যায়, কীভাবে একটা বাগান করা যায়। ২০২১ সালে নভেম্বর মাসে ৭ বিঘা জমিতে দিনাজপুর, যশোর, চুয়াডাঙ্গা থেকে ১৪০০ পিস ৫ জাতের মাল্টার চারা পাই। সেগুলো নিয়ে এসে জমিতে রোপণ করি। মাল্টা গাছের তেমন একটা পরিচর্যা করিনি। বেশ সুন্দর সবুজ মাল্টা, খেতে বাজারের মাল্টার চেয়েও সুসাদু এবং রসালো। তিনি আরো বলেন, বর্তমানে এখন পর্যন্ত ১৫ লক্ষ টাকার মত মাল্টা বিক্রি করেছি। মণ হিসেবে পাইকারিভাবে ক্রেতারা মাল্টা কিনে নিয়ে যাচ্ছেন। মাল্টা গাছের পরিচর্যা সম্পর্কে তিনি বলেন, মাল্টা গাছের খুব একটা পরিচর্যা করতে হয় না। বাগানটা পরিষ্কার রাখলে ফল বেশি আসে।

ভেড়ামারা উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা ও ভারপ্রাপ্ত কৃষি কর্মকর্তা আশফাকুর রহমান জানান, বর্তমানে ভেড়ামারাতে ৮ হেক্টর জমিতে মালটা চাষ হয়। ফলের বাগানের ভেতরে মালটা টা মোটামুটি বর্তমান সময়ে বাজারে বেশি পাওয়া যাচ্ছে। যদিও মালটা হারভেস্ট করার সময় মধ্য সেপ্টেম্বর থেকে অক্টোবর পর্যন্ত। বিভিন্ন ফসল চাষে উপজেলা পর্যায়ে বলেন আর মাঠ পর্যায়ে বলেন আমাদের উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তারা এবং উপজেলার যারা অফিসাররা আছেন আমরা সবাই কৃষকদের সেবায় নিয়োজিত। বিভিন্ন প্রকল্পের আওতায় কৃষকদের মাঝে নতুন ফল চাষ বা ফলবাগান প্রতিষ্ঠার জন্য বিভিন্ন ধরনের প্রদর্শনী দিয়ে থাকি। জাতীয় খাদ্য নির্দেশিকা ২০২০ অনুযায়ী একজন মানুষ প্রতিদিন ১০০ গ্রাম ফল খাবে। মাল্টা টা ভিটামিন সমৃদ্ধ একটা ফল। যেটা আমাদের শরীরে ভিটামিন সি সরবরাহ করে। মালটাটে আমরা ক্যালসিয়াম, পটাশিয়াম, ভিটামিন সি, ভিটামিন বি সহ ফাইবার পেয়ে থাকি। মালটা খেলে শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে ত্বক  ও চুল ভালো থাকে। বারি-১ জাতের মাল্টা চাষ করে অনেকেই বেশ সাফল্য পেয়েছেন। আমরা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর থেকে কৃষকদের এ মাল্টা চাষে উদ্বুদ্ধ করছি। পুষ্টি গুনাগুন এবং স্বাদ ভালো হওয়ায় বাজারে দেশীয় এ মাল্টার চাহিদা বেশ ভালো। তার সাফল্য দেখে অনেকেই মাল্টা চাষে আগ্রহ দেখিয়েছে। আশা করছি, আগামীতে মাল্টা চাষ এ অঞ্চলে ব্যাপকভাবে বিস্তার লাভ করবে। এতে অনেক বেকার যুবকের কর্মসংস্থান সৃষ্টির পাশাপাশি অর্থনৈতিকভাবে স্বাবলম্বী হবেন অনেকেই।