ডেইলী নিউজ বাংলা ডেস্ক , আপলোডের সময় : শুক্রবার, ২৪ অক্টোবর, ২০২৫ , আজকের সময় : শনিবার, ২৫ অক্টোবর, ২০২৫

কুষ্টিয়ায় বিজিবির অভিযানে ১৮ লাখ টাকার  চোরাচালানী পণ্য জব্দ

কুষ্টিয়ায় বিজিবির অভিযানে ১৮ লাখ টাকার  চোরাচালানী পণ্য জব্দ

দৌলতপুর(কুষ্টিয়া)প্রতিনিধিঃ
কুষ্টিয়া ব্যাটালিয়ন (৪৭ বিজিবি) এর ধারাবাহিক মাদক ও চোরাচালান বিরোধী অভিযানে একাধিক স্থানে অভিযান পরিচালনা করে বিপুল পরিমাণ ভারতীয় মাদক, সার, কারেন্ট জাল, ও চোরাচালানী পণ্য জব্দ করেছে বিজিবি। এসব অভিযানে মোট ০৪টি পৃথক ঘটনায় ০৪ জন আসামী আটক করা হয়েছে।

বিজিবি সূত্রে জানা যায়, ব্যাটালিয়ন অধিনায়ক লেঃ কর্নেল মোঃ মাহবুব মুর্শেদ রহমান, পিএসসি-এর দিকনির্দেশনায় গত ২২ থেকে ২৪ অক্টোবর পর্যন্ত কুষ্টিয়া ও মেহেরপুর সীমান্ত এলাকায় এসব অভিযান পরিচালিত হয়।

২২ অক্টোবর রংমহল বিওপি এলাকা থেকে ১৫০০ কেজি টিএসপি সার, ০১টি অটোগাড়ি ও ০১টি ব্যাটারি চালিত ভ্যানসহ দুইজনকে আটক করা হয়। একইদিন রাতেই শেওড়াতলা এলাকায় ৬ বোতল ভারতীয় মদ ও ৩০০ পিস সিনডিনাফিল ট্যাবলেট উদ্ধার করে বিজিবি।

২৩ অক্টোবর সকালে কাথুলী এলাকায় অভিযান চালিয়ে আরও দুইজনকে ৭৫০ কেজি টিএসপি সার ও একটি নছিমনসহ আটক করা হয়। একইদিন রাতে চরচিলমারী এলাকায় ১৪৪ বোতল ভারতীয় ফেন্সিডিলসহ একজন মাদক ব্যবসায়ীকে আটক করে বিজিবি।

এছাড়া ২৩ অক্টোবর রাতে কাজীপুর এলাকায় অভিযান চালিয়ে মালিকবিহীন অবস্থায় ৩০ বোতল ভারতীয় মদ ও ১০০০ পিস চকলেট বাজি উদ্ধার করা হয়। পরদিন (২৪ অক্টোবর) আশ্রায়ন বিওপি এলাকার পোল্টির মোড় থেকে ১১০ কেজি কারেন্ট জাল জব্দ করে বিজিবি সদস্যরা।

সবমিলিয়ে আটক মাদকদ্রব্য ও চোরাচালানী পণ্যের মোট সিজার মূল্য দাঁড়িয়েছে ১৮ লাখ ২৬ হাজার ৬০০ টাকা।

বিজিবি জানিয়েছে, আটককৃত আসামীদের সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে। টিএসপি সারসহ আটককৃতদের বিষয়ে গাংনী উপজেলা কৃষি কর্মকর্তার উপস্থিতিতে ভ্রাম্যমাণ আদালত জরিমানা প্রদান করে গাড়িগুলো ছেড়ে দেয়। জব্দকৃত সার নিলামের জন্য কৃষি দপ্তরের নিকট হস্তান্তর করা হয়েছে। মালিকবিহীন অবস্থায় উদ্ধার করা মাদকদ্রব্য ধ্বংসের জন্য ব্যাটালিয়ন ষ্টোরে সংরক্ষিত রয়েছে।

অধিনায়ক লেঃ কর্নেল মোঃ মাহবুব মুর্শেদ রহমান, পিএসসি বলেন—“সীমান্ত নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে এবং মাদক ও চোরাচালান প্রতিরোধে ৪৭ বিজিবি সর্বদা কঠোর অবস্থানে রয়েছে। সাম্প্রতিক অভিযানে প্রাপ্ত সাফল্য আমাদের অব্যাহত প্রচেষ্টারই প্রতিফলন। ভবিষ্যতেও এ ধরনের অবৈধ কার্যক্রম দমনে অভিযান অব্যাহত থাকবে।