ডেইলী নিউজ বাংলা ডেস্ক , আপলোডের সময় : বৃহস্পতিবার, ৬ নভেম্বর, ২০২৫ , আজকের সময় : শুক্রবার, ৭ নভেম্বর, ২০২৫

বন্দরে মাদক সম্রাট রমজান, বাবুর বিরুদ্ধে পিতাকে মারধরের অভিযোগ

বন্দরে মাদক সম্রাট রমজান, বাবুর বিরুদ্ধে পিতাকে মারধরের অভিযোগ


বন্দর থানা পুলিশের তালিকাভুক্ত মাদক সম্রাট রমজান ও তার ভাই বাবু’র বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ করেছেন পিতা হাবিবুর রহমান। বন্দর থানা পুলিশের তালিকাভুক্ত মাদক সম্রাটদের মধ্যে রমজান ও সহোদর বাবু সবচেয়ে আলোচিত। তাদের মাদকের অর্থের কাছে এলাকার সচেতন মহল নীরব ভূমিকা পালন করতে হয়। মাদকের অর্থের গরমের কবল থেকে নিজ জন্মদাতা পিতাকেও ছাড় দেয়নি। জন্মদাতাকে প্রকাশ্য ২ সহোদরের মারধরের শিকার হতে হয়েছে। প্রকাশ্য পিতাকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে ও পিটিয়ে রক্তাক্ত জখম করেছে। বন্দর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।

সূত্র মতে, বন্দরের একরামপুর ইস্পাহানি বাজার এলাকার মৃত মতিউর রহমানের ছেলে হাবিবুর রহমান হবি। হবির ছেলে রমজান, বাবু তালিকাভুক্ত মাদক সম্রাট। এলাকাবাসী মাদক সম্রাটদের বিরুদ্ধে মুখ খুলতেও সাহস পায় না। মাদক সম্রাট রমজান ও বাবুসহ বহিরাগত ৬/৭ জন মিলে অপর ছেলে শুক্কুর ও তার স্ত্রী সালমা বেগমের সাথে ঝগড়া লাগে। ঝগড়া করতে নিষেধ করার জের ধরে জন্মদাতা হবি (৬৫)কে ২ সহোদর এলোপাতাড়ি কুপিয়ে ও পিটিয়ে রক্তাক্ত জখম করেছে। ৫ নভেম্বর বুধবার দুপুরে এমন লোমহর্ষক ঘটনাটি ঘটে। বৃদ্ধ পিতা হবিকে লোহার রড দিয়ে মাদক সম্রাট রমজান ও বাবু হাটার ক্রাচ দিয়ে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে দেহের বিভিন্ন অংশে গুরুতর রক্তাক্ত জখম করে।

এতেও খ্যান্ত হয়নি রক্তাক্ত জখম বৃদ্ধ পিতাকে হাসপাতালে নিতেও বাঁধা দেয়। তার আত্মা চিৎকারে এলাকাবাসী বের হয়ে আসলে পিছু হটে রমজান, বাবুরা। বৃদ্ধ হবিকে এলাকাবাসী হাসপাতালে নিয়ে প্রাথমিক চিকিৎসা করায়। চিকিৎসা শেষে ছেলেদের আঘাতে রক্তাক্ত জখম অবস্থায় থানায় গিয়ে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। থানায় অভিযোগ করায় আরো উগ্রবাদী আচারন করে রমজান, বাবুসহ তার লালিত ৬/৭ জন। উগ্রবাদী মাদক সম্রাট ছেলেদের কারণে রক্তাক্ত হবি বাড়িতেও যেতে পারছে না বলে অভিযোগ রয়েছে।

ছেলেদের আঘাতে বৃদ্ধ পিতার এমন করুন দৃশ্যপটে ও প্রশাসনের ভূমিকায় এলাকাবাসীর মাঝে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। মাদক সম্রাট ও তাদের টাকার কাছে কি প্রশাসনও অসহায়। বৃদ্ধ পিতার আত্ননাৎও প্রশাসনের দৃষ্টিতে আসে না বলে এলাকাবাসীর দাবী। থানা পুলিশের পরিদর্শক মোঃ লিয়াকত আলীর কঠোর হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন সচেতন মহল। মাদক সম্রাট রমজান, বাবুদের বিরুদ্ধে কঠোর হস্তক্ষেপ নিলে ইস্পাহানি বাজার এলাকাটি মাদকের গ্রাস থেকে মুক্তি পাবে।