নাগরপুরে হত্যার ৬ মাস পর লাশ উত্তোলন
নাগরপুর, টাঙ্গাইল সংবাদদাতাঃ জমি নিয়ে চাচাতো ভাইদের মধ্যে বিরোধের জেরে, নাগরপুর উপজেলা বিএনপি নেতা বাদশা তার চাচাতো ভাই জব্বার কে পিটিয়ে হত্যা করার অভিযোগে মামলা হওয়ার প্রায় ৬ মাস পর ৬ নভেম্বর বৃহস্পতিবার সকালে, আদালতের নির্দেশে কবর থেকে জব্বার মিয়ার লাশ উত্তোলন করা হয়েছে।
টাঙ্গাইলের নাগরপুর উপজেলার মামুদনগর ইউনিয়নের সুদামপাড়া গ্রামে চাচাতো ভাইয়ের সাথে জমি নিয়ে বিরোধের জেরে উপজেলার মৃত চাঁন মিয়ার ছেলে জব্বার (৬৫) কে পিটিয়ে হত্যা করার অভিযোগ চাচাতো ভাইদের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে।
মৃত জব্বার মিয়ার ছেলর বৌ পলি জানান,আমার শশুরের লাশ ময়নাতদন্তের রিপোর্ট আমাদের মনপুত হয়নি, তাই আমরা পুনরায় তদন্তের জন্য আবেদন করে আজকে ৬মাস পর লাশ তুলেছেন।সঠিক তদন্তের মাধ্যমে আসামিদের ফাঁসি চাই।
এলাকাবাসী কাছ থেকে জানা যায়, দাদার ২৪ শতাংশ জমি নিয়ে বিরোধ করে আসছিল বাদশা গং। ওয়ারিশ অনুযায়ী নিহত জব্বার মিয়া ৬ শতাংশ জমির মালিক ছিলো। আর এই জমি নিয়েই চাচাতো ভাই উপজেলা বিএনপির নেতা বাদশা দলীয় প্রভাব খাটিয়ে জবরদখল করতে গিয়ে পিটিয়ে হত্যা করে জব্বারকে। এছাড়াও ৫ পাঁচজনকে মারাত্মকভাবে আহত করেছে বলে জানায় ভুক্তভোগী পরিবারটি। ১৯ মে সোমবার সকাল ৬ টার সময় গোষ্টীগত চাচাতো ভাই খালেক, বাদশা, ছানোয়ারদের সাথে জায়গা-জমি নিয়ে মারামারিতে মারাত্মক ভাবে আহত হয়ে ঘটনাস্থলেই নিহত হয় জব্বার।
সুদামপাড়া গ্রামের লাল মিয়ার ছেলে মো. বাদশা মিয়া (৫০) নাগরপুর উপজেলা বিএনপি’র তাঁতী/মৎসজীবী/ উপজাতি বিষয়ক সম্পাদক। এসময় উপস্থিত ছিলেন, নাগরপুর থানা পুলিশ সদস্য, সাংবাদিক সহ এলাকার গন্যমান্য ব্যক্তিরা। সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট দীপ ভৌমিক বলেন, নাগরপুর থানা পুলিশ ও আমরা আদালতের নির্দেশে পুনঃ তদন্তের স্বার্থে জব্বার মিয়ার লাশ উত্তোলন করা হয়েছে।