ডেইলী নিউজ বাংলা ডেস্ক , আপলোডের সময় : বুধবার, ১২ নভেম্বর, ২০২৫ , আজকের সময় : বুধবার, ১৯ নভেম্বর, ২০২৫

৯ম জাতীয় পে-স্কেল বাস্তবায়ন না হলে রেলের চাকা বন্ধের হুঁশিয়ারি

৯ম জাতীয় পে-স্কেল বাস্তবায়ন না হলে রেলের চাকা বন্ধের হুঁশিয়ারি

রাজশাহী ব্যুরো: ৯ম জাতীয় পে-স্কেল দ্রুত বাস্তবায়নের দাবিতে রাজশাহীতে বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে বাংলাদেশ রেলওয়ে জাতীয়তাবাদী শ্রমিক ও কর্মচারী দল।
বুধবার (১২নভেম্বর) সকাল ১১ টায় বাংলাদেশ রেলওয়ে (পশ্চিম/রাজশাহী) ভবনের সামনে এই বিক্ষোভ কর্মসূচী করেছে সংগঠনটি। বিক্ষোভ মিছিলটি শুরু হয় সংগঠনটির রাজশাহী কার্যালয় থেকে। পরে মিছিলটি রেল ভবন প্রদক্ষিণ করে মুল ফটকের সামনে সমাবেশ করে।

বিক্ষোভকারিরা বলেন, রেলওয়ে কর্মচারীদের সাথে দীর্ঘদিন ধরে বৈষম্যমূলক আচরণ করা হচ্ছে। সরকার যদি দ্রুত ৯ম পে-স্কেল বাস্তবায়ন না করে, তবে রেলের চাকা বন্ধ করে দেওয়া হবে। রেলওয়ে দেশের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান। অথচ এই প্রতিষ্ঠানের কর্মচারীরা আজ চরম অবহেলা ও বৈষম্যের শিকার। সরকার যদি তাদের ন্যায্য দাবি না মেনে নেয়, তাহলে আন্দোলনের কর্মসূচি আরও কঠোর করা হবে বলে হুশিয়ারি উচ্চারণ করেন।

এসময় বাংলাদেশ শ্রমিক ও কর্মচারী দল রাজশাহী শাখার সভাপতি খাদেমুল হক বলেন, আমাদের পরিষ্কার কথা, ওয়ান স্টু ফোর এবং ১২ তম গ্রেড বাস্তবায়ন করতে হবে। আমরা একই জায়গায় চাকরি করে বেতন বৈষম্য মেনে নিতে পারি না। ২০২০ সালে রেলওয়েকে মন্ত্রণালয়ের অধীনে নেওয়ার পর থেকেই এই বৈষম্যের সূচনা হয়েছে। এখন সামান্য একটি এমএলএসএস নিয়োগ দিতেও সচিবালয়ের প্রতিনিধি পাঠানো হয়, যা রেলওয়ের স্বাধীন প্রশাসনিক কাঠামোর জন্য অপমানজনক।

অগ্নিধরা বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক এস.এম. সাইফুল ইসলাম। তিনি বলেন, বর্তমান অবস্থায় রেলওয়ে কর্মচারীরা চরম দুঃখ-কষ্টে দিন পার করছেন। একই পদে কর্মরত অন্য দপ্তরের কর্মকর্তারা যেখানে নতুন পে-স্কেলে বেতন পাচ্ছেন, সেখানে রেলওয়ের কর্মচারীরা এখনো পুরনো স্কেলে বেতন পাচ্ছেন। এতে আমাদের জীবিকা নির্বাহ করা কঠিন হয়ে পড়েছে। যদি আমাদের এই নায্য দাবি না বাস্তবায়ন হয় তাহলে এর চেয়ে কঠিন আন্দোলনের জন্য রাস্তায় নামতে বাধ্য হব। কয়েক দিন আগে আপনারা দেখেছেন সহকারি শিক্ষকরা ঢাকায় আন্দোলন করেছে। এতেই আপনারা নাজেহাল নাস্তানাবুদ হয়েছেন। তাহলে রেলের ১০ লক্ষ কর্মচারী ও তাদের পরিবার রাস্তায় নামলে কি হবে? পালানোর পথ পাবেন না। তাই মাননীয় অর্থ উপদেষ্টা ও কমিশনকে বলবো, আপনারা কোন ধরনের পায়তারা না করে আমাদের এই নায্য দাবি মেনে নিয়ে ৯ম গ্রেড বাস্তবায়ন করুন।

বিক্ষোভে আরও বক্তব্য রাখেন রেলওয়ে ওপেন লাইন শাখার সভাপতি সেলিম রেজা, সম্পাদক আবুল কাশেম, বিভাগীয় সমন্বয়ক (কেন্দ্রীয়) হাফিজুর রহমান এবং মো. নুর সালাম।
বক্তারা শেষ পর্যন্ত সতর্ক করে বলেন, রেলওয়ে কর্মচারীদের ন্যায্য অধিকার থেকে বঞ্চিত করা হলে, আন্দোলন আরও বিস্তৃত হবে। প্রয়োজনে রেলের চাকা বন্ধ করে দেশের মানুষকে জানিয়ে দেওয়া হবে ন্যায়ের জন্য রেলকর্মীরা কীভাবে লড়তে জানে। প্রয়োজনে ঢাকায় আন্দোলন করবো।
পরে সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত হন বাংলাদেশ রেলওয়ে জাতীয়তাবাদী শ্রমিক ও কর্মচারী দল কেন্দ্রীয় সভাপতি রফিকুল ইসলাম। তিনিও বিক্ষোভকারিদের সকল দাবিকে নায্য ও সময় উপযোগী হিসেবে একাত্মতা প্রকাশ করেন।