ডেইলী নিউজ বাংলা ডেস্ক , আপলোডের সময় : সোমবার, ২০ নভেম্বর, ২০১৭ , আজকের সময় : শনিবার, ২০ এপ্রিল, ২০২৪

এডিবির সঙ্গে ২১০০ কোটি টাকার ঋণচুক্তি

দেশের অবকাঠামো উন্নয়নে প্রায় দুই হাজার একশ কোটি টাকা দিচ্ছে এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি)। টেকসই অবকাঠামো উন্নয়ন বিশেষ করে সরকারি-বেসরকারি অংশীদারিত্বের (পিপিপি) পাশাপাশি নবায়নযোগ্য জ্বালানি খাতে এ অর্থ ব্যয় হবে।

রোববার রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের (ইআরডি) সম্মলেন কক্ষে এডিবি ও বাংলাদেশ সরকারের মধ্যে এই ঋণচুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। এছাড়া একটি প্রকল্প চুক্তিও স্বাক্ষরিত হয়। সরকারের পক্ষ ঋণচুক্তিতে স্বাক্ষর করেন ইআরডি সচিব কাজী শফিকুল আযম এবং এডিবির পক্ষে কান্ট্রি ডিরেক্টর মনমোহন প্রকাশ। এছাড়া প্রকল্প চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন অর্থ মন্ত্রণালয়ের অধীন প্রতিষ্ঠান ইনফ্রাস্ট্রাকচার ডেভেলপমেন্ট কোম্পানি লিমিটেডের (ইডকল) প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মাহমুদ মালিক।

সরকারি-বেসরকারি অবকাঠামো উন্নয়ন সুবিধার তৃতীয় প্রকল্পে এই ঋণ নেয়া হচ্ছে। এ ঋণের বিপরীতে বাংলাদেশকে লন্ডন আন্তঃব্যাংক লেনদেনের সুদ হারের সঙ্গে আরও দশমিক ৫০ শতাংশ যুক্ত করে সুদ দিতে হবে।

এডিবির কান্ট্রি ডিরেক্টর মনমোহন প্রকাশ বলেন, বাংলাদেশের সঙ্গে ভবিষ্যৎ সম্পর্ক আরও দৃঢ় হবে। এজন্য কার্যকর পদক্ষেপ নেয়া হবে।

ইআরডি সচিব কাজী শফিকুল আযম বলেন, টেকসই উন্নয়নের লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি) বাস্তবায়নের ৯২৮ বিলিয়ন ডলার প্রয়োজন হবে। এজন্য উন্নয়ন সহযোগী সংস্থার সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়ন জরুরি। এখন পর্যন্ত প্রকল্পের বিপরীতে বিদেশি সংস্থার প্রতিশ্রুতির যে পরিমাণ অর্থ ছাড় হয়েছে তা গত বছরের দ্বিগুণ। ভবিষ্যতে এর হার আরও বাড়বে।

অনুষ্ঠানে জানানো হয়, এডিবির দেয়া ঋণের মধ্য ২৫ কোটি ডলার অর্ডিনারি ক্যাপিটাল রিসোর্সেস (ওসিআর)। এটি পাঁচ বছর গ্রেসপিরিয়ডসহ ২০ বছরে পরিশোধ করতে হবে। এতে সুদহার লাইবোরের (লন্ডন ইন্টার ব্যাংক অফার রেট) সঙ্গে দশমিক ৫০ শতাংশ। এছাড়া দশমিক ১০ শতাংশ হারে ম্যাচুরিটি প্রিমিয়াম ও অব্যয়িত অর্থের উপর দশমিক ১৫ শতাংশ হারে কমিটমেন্ট চার্জ দিতে হবে। বাকি এক কোটি ডলার হবে ওসিআর কনসেশনাল ঋণ। এটি পাঁচ চছর গ্রেসপিরিয়ডসহ ২৫ বছরে পরিশোধ করতে হবে। সুদ হার দুই শতাংশ।

ইআরডি সূত্র জানায়, ঋণের পরিমাণ হবে ২৬ কোটি মার্কিন ডলার (দুই হাজার একশ কোটি টাকা)। আগের মতোই দীর্ঘ মেয়াদের জন্য এডিবি এ ঋণ দেবে।

জানা গেছে, আগের কার্যক্রম সফলভাবে সম্পন্ন করায় ‘তৃতীয় পাবলিক-প্রাইভেট ইনফ্রাস্ট্রাকচার ডেভেলপমেন্ট ফ্যাসিলিটি ট্র্যাচ-১’ নামে পিপিপি প্রকল্পগুলোতে অনুঘটকের ভূমিকা পালন করবে এডিবি। এতে সরকারি বাজেট থেকে সরাসরি অর্থায়নের চাপ কমবে।

প্রকল্পের লক্ষ্য গ্রামীণ জনগোষ্ঠী এবং ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোক্তাদের জাতীয় গ্রিডে সংযুক্ত করে সাশ্রয়ী মূল্যে বিদ্যুৎ সরবরাহ এবং নবায়নযোগ্য জ্বালানি সুবিধার সহায়তা প্রদান।