ডেইলী নিউজ বাংলা ডেস্ক , আপলোডের সময় : বুধবার, ৬ জানুয়ারী, ২০২১ , আজকের সময় : বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল, ২০২৪

কীটনাশক বিক্রেতার অবহেলায় মাথায় হাত আলু চাষীর

দৌলতপুর প্রতিনিধি: তরতাজা আলুর ক্ষেতে আগাছা নাশক ছিটিয়ে বিপাকে পড়েছেন বর্গাচাষি আনারুল। গ্রামের কীটনাশকের দোকানী কীটনাশকের পরিবর্তে দিয়েছেন আগাছা নাশক। তবে, বিষয়টি অস্বীকার করছেন নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করে ব্যবসা চালানো কীটনাশক বিক্রেতা এস্কেন্দার মির্জা।

কুষ্টিয়ার দৌলতপুরের খলিশাকুন্ডী এলাকায় প্রায় ৪৫ শতক জমিতে বর্গাচাষি আনারুল চাষ করেছেন আলু। ঋণ নিয়ে চাষ করা দোফসলি জমিতে আলুর যত্ন নিতে প্রয়োগ করেন কীটনাশক। ঘটে যায় দুর্ঘটনা। ক্ষতিগ্রস্ত কৃষক আনারুল তিনদিন আগে বিকালে জমিতে কীটনাশক প্রয়োগ করে পরদিন সকালে এসে দেখেন আলু গাছগুলো মরে যাচ্ছে।

কীটনাশক বিক্রেতার অবহেলায় কৃষককে ক্ষতির মুখে পড়তে হয়েছে দাবি করা হলেও কীটনাশক ব্যবসায়ী এস্কেন্দারের দাবি, ওই আগাছা নাশক বিক্রয়ই করেন না তিনি। যদিও সরেজমিনে দেখা যায় ব্যবসায়ী এস্কেন্দারের নানা ঝুকিপূর্ণ অসঙ্গতি। মুদি, জ্বালানি তেল আর রাসায়নিক-কীটনাশক সবই বিক্রয় চলছে একসাথে।

অভিযুক্ত ব্যবসায়ী এস্কেন্দার বলেন, ওই রাসায়নিক আমরা বেঁচি না, আমার স্ত্রীর কাছ থেকে আনারুল অন্য কীটনাশক নিয়ে গেছে যেটি ক্ষতিকর না। তবে কীটনাশক বিক্রির লাইসেন্স আর অপ্রশিক্ষিত নারী দ্বারা ঝুকিপূর্ণ এসব পণ্য বিক্রির বিষয়ে সদুত্তর দিতে পারেননি তিনি।

প্রতিবেশী কৃষকের এমন ক্ষতিতে উদ্বিগ্ন অন্যান্য কৃষকেরা জানান, ঋণের টাকায় বর্গা চাষ করা আনারুল লোকসানের এই ধাক্কা সামলাতে পারবেন না। অশিক্ষিত কৃষককে বুঝেশুনে কীটনাশক ও রাসায়নিক দিতে দাবি জানান তারা। সতর্কতার সাথে কীটনাশক, সার,রাসায়নিক ক্রয়বিক্রয়ের পরামর্শ দৌলতপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা নুরুল ইসলামের।