কুষ্টিয়া প্রতিবেদক: কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলার বোয়ালিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান স্থানীয় আওয়ামীলীগ নেতা মোহাম্মদ মহিউদ্দিন বিশ্বাসের অভিযোগ, খোদ ইউনিয়ন পরিষদ সদস্যরা প্রশাসন কে বিভ্রান্ত করে রাজনৈতিক ভাবে তাকে হেও করতে মরিয়া হয়ে উঠেছে। সম্প্রতি উপজেলা ও জেলা প্রশাসনে ইউনিয়নের ৯ ওয়ার্ডের ১২ সদস্যের মধ্যে ১০ সদস্য সাক্ষরিত অভিযোগ পত্র প্রদানকে কেন্দ্র করে আলোচনায় আসে এই বিরোধ প্রসঙ্গ।
চিঠিতে সাক্ষরকারী সদস্যরা অভিযোগ তুলেছেন সরকার প্রদত্ত বিভিন্ন ভাতা প্রসঙ্গে অনিয়ম, জন্মসনদ প্রদানে অনিয়ম, মেম্বরদের সাথে সমন্বয় না করা এবং দুর্নীতি কর্মকাণ্ডের। বিষয়টি মহিউদ্দিন বিশ্বাস ওরফে মহি চেয়ারম্যান কে রাজনৈতিক ভাবে হেও করতে, সিন্ডিকেট করে অপপ্রচার ও প্রশাসনকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা বলে মনে করছেন তিনি।
গণমাধ্যমকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন– এইসব সদস্যদের অনিয়ম দুর্নীতি প্রশ্রয় না দেয়াই আমার জন্য বিব্রতকর পরিস্থিতি সৃষ্টি করেছে। ইউনিয়ন পরিষদ সদস্যদের অধিকাংশই বঙ্গবন্ধুর আদর্শের আওয়ামীলীগের না,তারা আমার দল কে সমালোচনায় ফেলতে ব্যার্থ চেষ্টা চালাচ্ছে বলেও দাবি করেন বোয়ালিয়া ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাবেক এই সাধারণ সম্পাদক। একবার দলীয় প্রতীক ছাড়া নির্বাচনে এবং একবার নৌকা প্রতীকের নির্বাচনে বিজয়ী হওয়া পরীক্ষিত এই জনপ্রতিনিধি আগেও রাজনৈতিক নির্যাতনের নির্মম স্বীকার হয়েছেন বলেও জানা গেছে।
মহি চেয়ারম্যানের দাবি, সামাজিক ভাবে পেরে না ওঠায় তারা সাংবাদিক এবং প্রশাসন কে বিভ্রান্ত করার অপচেষ্টায় নেমেছে। তিনি বলেন, আমার বিরুদ্ধাচারণ করা মেম্বরদের দুর্নীতির পর্যাপ্ত তথ্য প্রমাণ আছে যা আমি মেনে নেইনি। তারা সরকারি বিভিন্ন সেবা তাদের পরিবারের সদস্যদের মধ্যে অনিয়ম করে বিতরণ করে আসছিলো। ইউনিয়ন পরিষদ কে পুজি করে ঘুষ বাণিজ্য করে আসছে যা আমি প্রশ্রয় দিতে চাইনা। উল্লেখ্য, পারিবারিক আভিজাত্যে বেড়ে ওঠা মহিউদ্দিন বিশ্বাসের স্থানীয় রাজনীতিতে বেশ সুনাম রয়েছে।