দৌলতপুর প্রতিনিধি: কুষ্টিয়া দৌলতপুর উপজেলার খলিসাকুন্ডিতে কোন প্রকার নিয়ম-নীতির তোয়াক্কা না করে চলছে কে.কে.বি নামের একটি ইটভাটা। গ্রামের সর্বনাশা কে.কে.বি ইটভাটা মালিকের খুটির জোর কোথায়? এই নিয়ে মানুষের মাঝে জেগে উঠেছে নানান প্রশ্ন? ইটভাটাটি শুধু খড়ি পুড়িয়ে পরিবেশ দূষনের মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকেনি লিপ্ত হয়েছে আরও নানান অপকর্মে। এই গ্রামের মধ্য দিয়ে প্রবাহিত মাথাভাঙ্গা নদীর দুই তীরে বন্যার কবল থেকে রক্ষার জন্য মাটি উচ্চু করে যে বাঁধ দেয়া হয়েছে সেই বাঁধের মাটি কেটে এনে ব্যবহার করছে ইট তৈরীর কাজে।
বিশেষ করে উদয়নগর এলাকা পরিদর্শন করে দেখা যায় যে, বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ডের যে সকল খাস জমি রয়েছে সেই সকল জমির উপর দিয়ে যে সকল বাঁধ দেয়া হয়েছে সেই সকল বাঁধের মাটি অবৈধ যান ট্রলি ভর্তি হয়ে আসছে এই ভাটায় আর সেই মাটি দিয়ে তৈরি হচ্ছে ইট।ইটভাটার আশেপাশে বিভিন্ন আবাদি জমির মালিকদের দেখানো হচ্ছে বিভিন্ন রকম প্রলোভন যার ফলে কৃষক শ্রেণীর মানুষেরা ফসল চাষ বন্ধ করে বর্গা দিচ্ছে এই ইটভাটার মালিকের কাছে, এই কারনে অত্র এলাকায় খাবারের সংকট দেখা দিতে পারে বলে অনেকেই মনে করেন এবং ভাটার সামনে দিয়ে যে রাস্তাটি রয়েছে সেটি দিয়ে প্রচুর পরিমাণ অবৈধ যান ট্রলি যাতায়াত করার কারণে রাস্তা ভেঙ্গে যেন মরণফাঁদের সৃষ্টি হয়েছে।
এ বিষয়ে ভাটা মালিকের সাথে কথা বলার চেষ্টা করলে ভাটা মালিকের ফোন বন্ধ পাওয়া যায় তবে ভাটা ম্যানেজার বলেন আমরা সকল প্রকার সরকারি নিয়মকানুন মেনেই ভাটা পরিচালনা করছি। এ বিষয়ে দৌলতপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শারমিন আক্তারের সাথে কথা বললে তিনি বলেন,সরকারি জায়গার মাটি কেটে ভাটায় ব্যবহার করছে এমন বিষয়ে আমার জানা নেই, তবে যদি এমন হয়ে থাকে আমরা এই বিষয়ে পদক্ষেপ গ্রহণ করব ।