ডেইলী নিউজ বাংলা ডেস্ক , আপলোডের সময় : মঙ্গলবার, ১২ জানুয়ারী, ২০২১ , আজকের সময় : বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল, ২০২৪

হারিয়ে যাচ্ছে ঐতিহ্যবাহী গ্রামীণ খেলাধুলা

নীলফামারী জেলা প্রতিনিধি: শুধু চর্চার অভাবে দিনে দিনে হারিয়ে যাচ্ছে নীলফামারী সৈয়দপুরে ঐতিহ্যবাহী গ্রামীণ খেলাধুলা। গ্রামীন কৃষ্টি ও লোকজ ক্রীড়াঙ্গনের জনপ্রিয় এ খেলাগুলো পুনরুদ্ধারে নেই কোনে উদ্যোগ । আর তাই শিশু-কিশোররা ঝুকছে মোবাইল, ভিডিওগেম, জুয়া কিংবা মাদকের দিকে। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, এক সময় এ উপজেলায় হাডুডু, গোল্লাাছুট, কানামাছি, গাদল, বৌচি, কুতকুত, দাড়িয়াবান্ধা, ইচিং-বিচিং, এলাটিং-বেলাটিং, রুমাল চুরি, লাঠিখেলা, লুকোচুরি ও পাতাখেলা বেশ জনপ্রিয় ছিল। গ্রামীণ জনপদে মাঠ কিংবা ফসল কাটা শেষে ফাঁকা জমিতে শিশু-কিশোররা এসব খেলাধূলায় মেতে উঠত। জাতীয় খেলা হাডুডুসহ আয়োজিত অন্যান্য খেলা উপভোগ করার জন্য গ্রামের সব বয়সী নারী-পুরুষ ভির করত।

কিন্তু আজকাল করা হয়না এসব খেলার। আর তাই খেলাগুলো তেমন চোখেই পড়ে না। খেলাগুলো নামও জানেনা এ প্রজন্মের অধিকাংশ শিশু-কিশোরা। জানেনা এ খেলার নিয়ম কানুন। চোখে পড়েনা শিশু-কিশোরদের দুরন্তপনাও। সে সব খেলার স্থান দখল করে নিয়েছে ক্রিকেট-ফুটবল, হ্যান্ডবল, হকিসহ নানা আধুনিক খেলাধুলা। আবার খেলাধুলা সুযোগ না পেয়ে অধিকাংশ শিশু-কিশোর সারাদিন মোবাইলে ভিডিও গেম, ক্রিকেট জুয়া কিংবা মাদকে আসক্ত হয়ে পড়ছ্ধেসঢ়;। অনেকে প্রবীণ খেলোয়াড়রা জানান অনুকূল পরিবেশ পেলে গ্রামের ছেলে-মেয়েরা আবারও এসব খেলাধুলা চর্চায় আগ্রহী হয়ে উঠবে।

সৈয়দপুর ইন্টারন্যাশনাল স্কুলের অধ্যক্ষ ও ক্রীড়া সংগঠক শাবাহাত আলী সাব্বু জানান,  প্রাচীন হলেও কোমলমতি শিশু-কিশোরদের কাছে এসব খেলা অনেকটাই নতুন। বাংলার গ্রামীণ খেলাগুলা রক্ষায় শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও ক্রীড়া সংগঠনগুলোকে অগ্রণী ভূমিকা রাখতে হবে। এজন্য নিয়মিত এ খেলাগুলোর আয়োজন করতে হবে। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও উপজেলা ক্রীড়া সংস্থার সভাপতি নাছিম আহমেদ বলেন, বিলুপ্ত ও লুপ্তপ্রায় ঐতিহ্যবাহী এসব খেলা পুনরুদ্ধারে আমরা কাজ করে যাচ্ছি। তবে প্রতিবছর প্রতিযোগীতার মাধ্যমে এসব খেলার আসর বসানোর জন্য স্থানীয় ক্রীড়া সংগঠনগুলোর প্রতি অহবান জানান তিনি।