মাজহারুল ইসলাম চপল, রাজশাহীঃ রাজশাহীতে দ্বিতীয় ধাপের পৌর নির্বাচনে বিএনপি’র ভোট বর্জনের মধ্য দিয়ে শেষ হয়েছে ভোট গ্রহন। দ্বিতীয় ধাপের এই নির্বাচনে রাজশাহীর ৩ টি পৌরসভার নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। তিনটির ২ টি নৌকা ও ১ টি বিদ্রোহী প্রার্থীর জয়। তবে রাজশাহীর বাগমারা উপজেলার ভবানীগঞ্জ পৌরসভায় সকাল থেকে ইভিএম এর মাধ্যমে ভোট গ্রহন শুরু হয়।
ভোট গ্রহনের শুরুতেই ভবানীগঞ্জ পৌরসভায় বিএনপি প্রার্থী ও সমোর্থীতদের ভোট কেন্দ্রে ঢুকতে দেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ করেছে বিএনপি প্রার্থী আব্দুর রাজ্জাক। তাই সকাল ১০ টার পরপরই ভোট বর্জন করেছে বিএনপি। গত ২৮ ডিসেম্বর ২০২০ তারিখ প্রথম ধাপের নির্বাচন সুষ্ঠ ও সুন্দরভাবে শেষ করায় ১৬ জানুয়ারি দ্বিতিয় ধাপের নির্বাচনের সিদ্ধান্ত নেয় নির্বাচন কমিশন।
রাজশাহীতে দ্বিতিয় ধাপের নির্বাচনে আড়ানী, কাকনহাট ও ভবানাীগঞ্জ পৌরসভার নাম ঘোষণা করেন নির্বাচন কমিশন। তিনটি পৌরসভার মধ্যে আড়ানী পৌরসভা সবচেয়ে ঝুকিপূর্ণ হিসেবে বিবেচনা করা হয়। কাকনহাট ও ভবানীগঞ্জ পৌরসভায় নৌকার একক প্রার্থী হওয়ায় নির্ভাবনায় রয়েছে দলের হাই কমান্ড। কিন্তু অপর দিকে আড়ানী পৌরসভা নিয়ে শুরু থেকে দিধাদ্বন্দে পড়ে দলের হাই কমান্ড। সমঝোতা না হওয়ায় সতন্ত্র বা বিদ্রোহী প্রার্থী হিসেবে ঘোষনা করেন বর্তমান মেয়র মুক্তার আলী। আর নৌকার মাঝি হিসেবে দ্বায়িত্ব দেন শহিদুজ্জামান শহিদকে।
এরপর থেকে শুরু হয় দুই প্রর্থীর মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া। তবে নির্বাচনের আগেই ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া হওয়ায় ভোটের দিনে কড়া নিরাপত্তায় ভোট গ্রহন শেষ হয়েছে। অপর দিকে ভবানীগঞ্জ ও কাকনহাট পৌরসভায় এককভাবে দাপটের সাথে ভোটের মাঠ দখল করেছিল নৌকা প্রার্থীরা। নির্বাচনে আলোচনা সমালোচনাকে ডিঙ্গিয়ে ভোট যুদ্ধে জয়লাভ করেছে কাকনহাট পৌরসভায় আতাউর রহমান, ভবানীগঞ্জ পৌরসভায় আব্দুল মালেক ও আড়ানীতে মুক্তার আলী।
কাকনহাট পৌরসভাতে ধানের শীষ প্রতিক নিয়ে মোঃ হাফিজুর রহমান হাফিজ ৫১১৩ ভোট আর নৌকা প্রতিক নিয়ে আতাউর রহমান ৫৫৮২ ভোট, ভবানীগঞ্জ পৌরসভাতে নৌকা প্রতিক নিয়ে আব্দুল মালক মন্ডল ৭৩৯৯ ভোট, আড়ানী পৌরসভাতে ধানের শীষ প্রতিক নিয়ে ১২৭৫ আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী ও বর্তমান মেয়র মুক্তার আলী ৬০০৪ এবং এবং নৌকা প্রতিক নিয়ে শহিদুজ্জামান শহিদ ৪৩০০ ভোট পেয়েছে।