মোঃ জিল্লুর রহমান: কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলায় অবৈধ ইটভাটায় অভিযান চালিয়েছে র্যাব। ভ্রাম্যমান আদালতে এ পর্যন্ত ১১ টি ইটভাটায় মোট ৬৯ লাখ টাকা জরিমানা আদায় করা হয়েছে। বুধবার ২০ জানুয়ারি- ২০২১, সকাল ১০টা থেকে র্যাব -১২ এর কুষ্টিয়ার অধিনায়ক মেজর গাফ্ফারুজ্জামান ও পরিবেশ অধিদপ্তরের নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট আবু হাসান’র নেতৃত্বে ভ্রাম্যমান আদালতের এই অভিযান পরিচালিত হয়। অভিযানে পরিবেশ অধিদপ্তর কুষ্টিয়ার পক্ষ থেকে সহকারী পরিচালক কমল কুমার বর্মণ উপস্থিত ছিলেন।
এ সময় ভ্রাম্যমান আদালত ইটভাটা প্রস্তুত ও ভাটা স্থাপন নিয়ন্ত্রন ২০১৩ সংশোধিত ২০১৯ এর বিভিন্ন ধারায় দৌলতপুরের রিফায়েতপুর এলাকার বি.এইচ.এন ব্রীকসের মালিক আসাদুজ্জামানকে ৭ লাখ টাকা, এম.বি.এন ব্রীকসের মালিক ঝুমুর আলীকে ৭ লাখ টাকা, নারায়ণপুরের এ.বি.সি ব্রীকসের মালিক আব্দুস সালামকে ৬ লাখ ৪০ হাজার টাকা, দৌলতপুরের এবিসি ব্রিকসের মালিক আবু বক্কর সিদ্দিক কে ৬ লাখ টাকা, দৌলতপুর হাসপাতাল রোডে এ.এম.বি ব্রীকসের মালিক হাজী ইয়াসিন আলিকে ৮ লাখ টাকা, ডাংমড়কা এলাকার এম.আর.এন ব্রীকসের মালিক মোফাজ্জল হককে ৮ লাখ টাকা, সাদীপুর গ্রামের হুমায়ুন কবিরের এ এল এল সি ব্রীকস ও এল এল বি ব্রীকসকে ১০ লাখ টাকা, ডাংমড়কা এলাকার পলাশ হোসেনের মালিকানাধীন এনবিএল ব্রীকসকে ৮ লাখ, একই এলাকার শরিফুল ইসলামের মালিকানাধীন এইচএলবি ব্রীকসকে ১ লাখ টাকা, ও ডাংমড়কা এলাকার বি.এস.বি ব্রীকসের মালিক জাহাঙ্গীর হোসেনকে ৭ লাখ ৬০ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়।
এসময় অবৈধ এসব ইটভাটার অংশ বিশেষ ভেকু মেশিন দিয়ে ভেঙ্গে দেওয়া হয়। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত বেলা আড়াইটার দিকে এ অভিযান অব্যাহত ছিল। র্যাব -১২ কুষ্টিয়ার অধিনায়ক মেজর গাফ্ফারুজ্জামান বলেন, ওই সব ইটভাটার পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্র নেই। এগুলো নিয়মনীতি না মেনে অবৈধভাবে পরিচালনা করা হচ্ছিল। অবৈধ ইটভাটা বন্ধে এ অভিযান অব্যাহত থাকবে বলেও তিনি জানান। পরিবেশ অধিদপ্তরের নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট আবু হাসান বলেন, অনুমোদনহীন ইটভাটাগুলো উচ্ছেদ করা হবে।