ডেইলী নিউজ বাংলা ডেস্ক , আপলোডের সময় : মঙ্গলবার, ২৬ জানুয়ারী, ২০২১ , আজকের সময় : শুক্রবার, ২৯ মার্চ, ২০২৪

সৈয়দপুরে জন্ম ও মৃত্যু সনদ পেতে চরম হয়রানির শিকার নাগরিকরা

রেজা মাহমুদ, নীলফামারী জেলা প্রতিনিধি: জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন জটিলতায় সনদ নিতে হয়রানির শিকার হচ্ছেন নীলফামারীর সৈয়দপুর
পৌরসভার নাগরিকরা। ফলে সন্তানকে স্কুল কলেজে ভর্তি, পেনশন, জমি রেজিস্ট্রিসহ বিভিন্ন কাজে ভোগান্তিতে পড়েছেন তারা। সংশ্লিষ্ট শাখায় সনদ নিতে আসা প্রবীণসহ অনেকের সাথে করা হচ্ছে খারাপ আচরণ। তবে অভিযোগ অস্বীকার করে সার্ভার সমস্যায় এ জটিলতা সৃষ্টি বলে দাবি করছেন কতৃপক্ষ। পৌরসভার নাগরিকদের সেবাসমূহের মধ্যে অন্যতম একটি সেবা জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন।

স্কুল কলেজে ভর্তি, বিয়ে, পেনশন, পাসপোর্ট, চাকুরি, জমি বেচা-কেনাসহ গুরুত্বপূর্ণ অনেক কাজের জন্য জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন পেতে সংশ্লিষ্ট শাখায় ভিড় করে থাকেন নাগরিকবৃন্দ। কিন্তু ছোট্ট একটি ঘরে নেই কোন বসার ব্যবস্থা। সেখানে ঘন্টার পর ঘন্টা দাঁড়িয়ে থাকতে হয়। পৌরসভায় জন্মনিবন্ধন সনদ নিতে আসা প্রবীণ নাগরিক (সিনিয়ার সিটিজেন) আতিয়ার রহমান বলেন, ‘ভারতে চিকিৎসা করতে যাওয়ার জন্য পাসপোর্ট বানাতে হবে। এজন্য জন্মনিবন্ধন সনদ প্রয়েয়াজন। পৌরসভায় গত সাত দিন ধরে ঘুরছি, কিন্তু সনদ পাচ্ছি না।

তারা বলছে, সার্ভারের সমস্যার কারণে জন্মনিবন্ধন সনদ দেওয়া বন্ধ রয়েছে। আমার জরুরি ভিত্তিতে সনদ প্রয়োজন। সনদ না পেয়ে বিপাকে পড়েছি।এখানে বসার কোন জায়গা নেই। বসার জায়গার কথা বললে তারা খারাপ ব্যবহার করে। শাহনাজ পারভীন নামে আরেকজন বলেন, আমার বাচ্চাকে স্কুলে ভর্তি করাবো। জন্মনিবন্ধন সনদে ভুল থাকায় সমস্যা হচ্ছে। সংশোধনের জন্য গত বেশ কয়েকদিন ধরে পৌরসভায় ঘুরছি কিন্তু পাচ্ছি না। কম্পিউটার অপারেটর বলছে সার্ভার নেই সার্ভার আসলে হবে।

কিন্তু সার্ভার কবে হবে তাও বলতে পারছে না। এভাবে প্রতিদিন পৌরসভায় গিয়ে হয়রানির মধ্যে পড়তে হচ্ছে। মমতাজ গেমম নামের একজন বলেন, ‘আমার বাবা মারা গিয়েছেন কিছুদিন আগে। তার মৃত্যু সনদের জন্য গত কয়েকদিন ধরে পৌরসভায় ঘুরছি, কিন্তু সার্ভারের সমস্যার কারণে পাচ্ছি না। বাবার নামের পেনশন মায়ের নামে করতে বাবার মৃত্যু সনদ প্রয়োজন। সনদ না পাওয়ায় পেনশনের কাজ দেড়মাস হলো খেয়ে না খেয়ে দিন কাটছে।’

পৌরসভার জন্মনিবন্ধন ও মৃত্যু সনদের কাজ করেন আল মামুন। তিনি বলেন, সার্ভার আপডেটের কার্যক্রম চলমান এবং যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে প্রায় দুই মাসের মতো সময় ধরে সার্ভার বন্ধ রয়েছে। এতে করে জন্মনিবন্ধন সনদ প্রদান, ভুল ত্রুটি সংশোধন কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে। সেইসঙ্গে মৃত্যুসনদ প্রদানের প্রথম শর্ত হলো তার জন্মনিবন্ধন সনদ দিতে হবে তারপরে মৃত্যুসনদ প্রদান করা হবে। কিন্তু সার্ভার না থাকার কারণে জন্মনিবন্ধন বের না হওয়ার কারণে মৃত্যুসনদ প্রদান কার্যক্রমও বন্ধ রয়েছে।

এই দু’টি বিষয় নিয়ে আমরা খুব সমস্যার মধ্যে পড়েছি। জনগণকে বেশ ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। কর্তৃপক্ষ সাময়িকভাবে সার্ভার বন্ধের বিজ্ঞপ্তি দিয়ে রেখেছে। কিন্তু দু’মাস হয়ে গেল। আর কতদিন লাগবে বলা যাচ্ছে না। তবে নতুন করে জন্ম নেওয়া শিশুদের জন্মনিবন্ধন সনদ প্রদাান কার্যক্রম চলমান রয়েছে। ভারপ্রাপ্ত মেয়র জিয়াউল হক জিয়া বলেন, সমস্যা সমাধানের জন্য আমরা যথাযথ কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি জানিয়েছি। আশা করছি সংশ্লিষ্ট দফতর এ বিষয়ে পদক্ষেপ গ্রহণ করবেন এতে করে খুব
দ্রুতই এ সমস্যার সমাধান হবে।’