ডেইলী নিউজ বাংলা ডেস্ক , আপলোডের সময় : রবিবার, ৭ ফেব্রুয়ারী, ২০২১ , আজকের সময় : শুক্রবার, ২২ নভেম্বর, ২০২৪

আশুগঞ্জে শিক্ষা অফিসে থার্মার স্কেনার কেনার নামে দুই লক্ষ টাকা হরিলুট

আশুগঞ্জে শিক্ষা অফিসে থার্মার স্কেনার কেনার নামে দুই লক্ষ টাকা হরিলুট।


মোঃ আশিকুর রহমান রনি,ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা প্রতিনিধি: ব্রাহ্মন বাড়ীয়া জেলার আশুগঞ্জ উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার শাহীনা আক্তার এর বিরোদ্ধে থার্মর স্কেনার কেনার নামে প্রায় দুই লক্ষ টাকা আত্নসৎ করেছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।

অভিযোগ এর সত্যতা খুজতে গিয়ে জানা যায় অত্র উপজেলায় যোগদানের পরথেকে তিনি প্রতিদিন ঢাকা থেকে এসে অফিস করেন। যার কারনে তিনি প্রায়ই দেরিতে অফিসে উপস্থিত হন। আর ও জানা যায় চলতি ২০/২১ অর্থবছরের স্লিপ ফান্ড থেকে উচ্চমুল্য খরচ দেখিয়ে থার্মার স্কেনার কেনার নামে প্রায় দুই লক্ষধিক টাকা আত্নসৎ করেছেন তিনি।

স্বরজমিনে ঘুরে দেখা যায় করুনা মহামারীর প্রাদুর্ভাবের কারনে স্কুলে আগত ছাত্র ছাত্রীদের তাপমাত্রা মাপার জন্য প্রত্যকে স্কুলে একটি করে থার্মার স্কেনার কেনা হয়। এই স্কেনার প্রত্যেক স্কুলের প্রধান শিক্ষকদের কেনার কথা থাকলে ও উপজেলা প্রথমিক শিক্ষা অফিসার শাহীনা আক্তার তার একক সিন্ধান্তে কিছু শিক্ষক নেতাদের প্ররোচনায় নিজে কিনে দেওয়ার সিন্ধান্ত নেন।

আর এই ফাঁকে বাজারে স্বাভাবিক দামের চেয়ে চারগুন বেশি দাম দেখিয়ে (৪৫০০) চার হাজার পাঁচশত টাকা দেখিয়ে কেনেন প্রায় ৫০ টি স্কেনার মেশিন। বস্তুত পক্ষে যে থার্মার স্কেনারের দাম এগারো শত (১১০০) থেকে বারোশত টাকা (১২০০) বাজার মূল্য যা তিনি কিনেছেন চাগুন বেশি দামে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক অনেক স্কুলের শিক্ষকদের সাথে কথা বলে জানান আমাদের কাছথেকে ট্যাক্স কর্তন সহ মোট চার হাজার পাঁচশত (৪৫০০)টাকা খরচ নেন। আর আমরা শিক্ষা অফিস থেকে এই স্কেনার পেয়েছি। আর এই স্কেনারের বেশির ভাগই কম দামি হওয়ার কারনে বেশি দিন ব্যবহার করা যাবে না বলে জানিয়েছেন তারা ।

প্রসঙ্গ উল্লেখ্য যে বর্তমান শিক্ষা অসিসার শাহীনা আক্তার আশুগঞ্জে অবস্থান করেন না। তিনি প্রত্যেক দিন ঢাকা থেকে এসে নিয়মিত দেরিতে অফিসে উপস্থিত হন। আর সহকারী প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার শাহনাজ পারভীন একই কমস্থলে অনেক দিন। থার্মার স্কেনার কেনার ব‍্যপারে জিঞ্জেস করলে তিনি বলেন শিক্ষকদের সাথে উপজেলা শিক্ষা অফিসার কথা এই ক্রয়ের সিন্ধান্ত নেন।

এই ব্যাপারে আশুগঞ্জ প্রথমিক শিক্ষা অফিসার শাহীনা আক্তারের সাথে ফোনে জানতে চাইলে বলেন অফিসে এসে আমার সাথে দেখা করেন। আরোও জানতে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার জনাব মো : খোরশেদ আলম এর সাথে কথা বললে জানান এই রকম কোন অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে দায়ীদের বিরোদ্বে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।