সৈয়দপুরে নামী দামী কোম্পানীর মোড়কে নকল পণ্য, ৬০ হাজার টাকা জরিমানা।
রেজা মাহমুদ, নীলফামারী জেলা প্রতিনিধি: নীলফামারীর সৈয়দপুরে নামী-দামী কোম্পানীর মোড়কে চাল, আটা, সেমাই, তেল, খাবার সেলাইনসহ বিভিন্ন নিম্নমানের খাদ্যপণ্য দীর্ঘদিন থেকে বাজারজাত করছে একটি চক্র। এসব খাদ্যপন্য কিনে সাধারণ ক্রেতারা পড়ছে স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে। সোমবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে শহীদ ডা. জহুরল হক (বিচালী পট্টি) সড়কে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ ও উপজেলা প্রশাসনের অভিযানে প্রকাশ্যে আসে মানুষ ঠকানোর অবৈধ ফাঁদ।
জানা যায়, শহরের ওই সড়কের বেশ কিছু অসাধূ ব্যবসায়ী দীর্ঘদিন ধরে চাষী, তৃপ্তি, সোহা, টেস্টি সেলাইন, ইস্টিকুটুমসহ দেশি-বিদেশি নামী ব্র্যান্ডের মোড়কে নিম্নমানের খাদ্যপণ্য বাজারজাত করে আসছিল। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ওইদিন নীলফামারী জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সহকারি পরিচালক বোরহান উদ্দিন এবং সৈয়দপুর উপজেলার সহকারি কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহি ম্যজিস্ট্রেট রমিজ আলমের যৌথ নেতৃত্বে শহরের উল্লেখিত সড়কে পরিচালনা করা হয় ভ্রাম্যমান আদলত।
এসময় ৪টি প্রতিষ্ঠান থেকে মোট ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। এর মধ্যে এ এন ট্রেডার্সের মালিক আরিফুল ইসলামকে ৩০ হাজার, মেসার্স ইমরান ট্রেডার্সের মালিক ইমরান হোসেনকে ৭ হাজার, রাজিব স্টোরের মালিক জাহিদকে ৩ হাজার, আরিফ স্টোরের মালিক আরিফ হোসেনকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। এছাড়া একই দিনে উপজেলার বাঙ্গালীর ইউনিয়নের চৌমুহনি বাজারে নোংরা ও অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে খাবার তৈরি ও পরিবেশনের অপরাধে হোটেল মালিক ফরিদুল ইসলামের ৫ হাজার, ফরহাদ হোসেনের ৩ হাজার এবং সুমন ইসলামের ২ হাজারসহ মোট ১০ হাজার টাকা জরিমানা করে ভ্রাম্যমান আদালত।
নীলফামারীর কোম্পানীর কমান্ডার সহকারি পুলিশ সুপার মুন্না বিশ্বাসের নেতৃত্বে অভিযানে র্যাব-১৩ সার্বিক সহযোগিতা করে। অভিযান পরিচালনা শেষে সংবাদকর্মীদের ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণের সহকারি পরিচালক বোরহান উদ্দিন জানান, সৈয়দপুরে গত বছর ভেজাল ও নকলের মাত্রা কিছুটা কমলেও করোনার পর থেকে এর মাত্রা আশঙ্কাজনক হারে বেড়েছে। এ ধরনের অভিযান নিয়মিত পরিচালনা করা হবে।