কুমারখালীতে বাড়ীঘর পোড়ার পর কৃষকের মানবেতর জীবনযাপন, মামলা দায়ের, আসামীরা বে-পরোয়া।
কুষ্টয়ার কুমারখালীর ভড়ুয়াপাড়া গ্রামে পূর্বশত্রুতায় বাড়ীঘর পুড়িয়ে দেবার পর মানবেতর জীবন যাপন করছে ক্ষতিগ্রস্থ্য কৃষক। কৃষকের পরিবার গোয়াল ঘরে রাত কাটিয়েছে। তবে এ ঘটনায় আজ মঙ্গলবার থানায় মামলা দায়ের হয়েছে। থানায় অভিযোগ দেবার পর আসামী পক্ষের লোকজন আরো বে-পরোয়া হয়ে উঠেছে। তারা ওই কৃষকের বাড়ীর মিটার ভাঙ্গাসহ বিভিন্ন ক্ষতিসাধন করার অভিযোগ উঠেছে।
কুষ্টিয়ার কুমারখালী উপজেলার বাগুলাট ইউনিয়নের ভড়ুয়াপাড়া গ্রামে শনিবার রাতের আধারে পূর্বশত্রুতায় লুটপাট করে আইয়ুব মোল্লা ও তার ভাই তরুন মোল্লার বাড়ীঘরে আগুন দেয়। এর আগে ওই ঘর থেকে সব কিছু লুটপাট করে তারা। পুরুষশুন্য বাড়ির নারী সদস্যদের আগুন নেভাতে এগিয়ে আসতেও দেওয়া হয়নি। এসময় অন্যঘর কুপিয়ে ক্ষতিগ্রস্থ্য করে।
খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা এসে আগুন নিয়ন্ত্রনে নেবার আগেই দুটি ঘর সম্পুর্ণ পুড়ে ছাই হয়ে যায়।
এলাকাবাসীরা জানান, দীর্ঘদিন ধরে এলাকার আধিপত্য বিস্তার নিয়ে হাবিবুর রহমান বাবলু ও গোলাম সরোয়ার পক্ষের মধ্যে বিরোধ চলে আসছে। গত ২৫ জানুয়ারী সকালে মৃত আলিমুদ্দিনের ছেলে আমিরুল ইসলাম সবুরের লাশ একটি সরিষা খেতে পাওয়া যায়। পুলিশের সুরোতহাল রিপোর্টে তার শরীরে কোন আঘাতের চিহ্ন ছিল না। এঘটনায় মৃত সবুরের বড় ছেলে মাসুদ রানা বাদী হয়ে প্রতিপক্ষের ২১ জনের নামে হত্যা মামলা দায়ের করেন। এই মামলায় কৃষক আইয়ুব মোল্লাকেও আসামী করা হয়। মামলার পর গোলাম সরোয়ার গ্রুপের কোন পুরুষ নিজ বাড়ীতে অবস্থান করেনি।
এরপর থেকেই প্রতিপেক্ষর নূর ইসলাম, রবিউল ইসলাম, আনোয়ার হোসেন, আলহাজ¦ হোসেন, শাহেদ, মাছুম হোসেন, আতিয়ার হোসেন ও মনোয়ার হোসেন আসামী পক্ষের লোকজনদের হয়রানী করে আসছে। বিভিন্ন সময়ে কারো মিটার ভেঙ্গে, কিংবা বাড়ীঘর ও ফসলের ক্ষতি করে আসছে তারা।
ক্ষতিগ্রস্থ্য আইয়ুব মোল্লা জানান, ভাইসহ তারা বাড়ীতে না থাকার সুযোগে উল্লেখিত প্রতিপেক্ষর ওইসব লোকজন রাতে তার ঘরে আগুন দেয়। তার একটি মাত্র শোবার ঘর পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। তার পরিবার শনিবার রাতে না ঘুমিয়ে কাটিয়েছে। আর রবিবার রাতে তার তিন সন্তানসহ তার স্ত্রী গোয়াল ঘরে রাত কাটিয়েছে।
কুমারখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মজিবুর রহমান বলেন, ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে বিষয়টি খতিয়ে দেখেছি। কৃষক তরুন মোল্লা বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেছেন। মামলা নম্বর ১১, তারিখ ১৫ ফেব্রুয়ারী ২০২১।
ওসি বলেন, তদন্ত চলার পাশাপাশি আসামীদের ধরতে অভিযান চালাচ্ছে পুলিশ। দ্রুতই আসামীদের আইনের আওতায় আনা হবে।