রাজশাহীঃ রাজশাহীর বাগমারায় ধর্ষন মামলাকে প্রভাবিত করে সমাধান করতে মরিয়া এলাকার কিছু প্রভাবশালী ব্যক্তিরা।
ঘটনাটি রাজশাহীর বাগমারা উপজেলার আউসপাড়া ইউনিয়নের মুগাইপাড়া গ্রামে ঘটেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। সূত্রমতে জানাযায়, গত ৪ ফেব্রুয়ারী বৃহস্পতিবার মুগাইপাড়া ( কবিরাজ পাড়া) আব্দুস সালামের ছেলে হাসান মাহমুদ একই গ্রামের জৈনক ব্যক্তির ১০ম শ্রেনী পড়ুয়া মেয়ের সাথে তার শয়নকক্ষে হাতে-নাতে ধরে মেয়ের পরিবারের লোকজন। পরে বিষয়টি জানাজানি হলে ছেলের লোকজন এসে জোরপুর্বক ছেলেকে বের করে নিয়ে যায়। এবং এর সমাধান হবে বলে আশ্বাস দেন।
কিন্তু সামধানের পরিবর্তে মেয়ের পরিবারের উপর দোসারোপ করেন এলাকার প্রভাবশালী আঃ কাশেমের দুই ছেলে মাসুদ মাষ্টার, মোঃ বাবু ও তার সহযোগিরা। পরে বাধ্য হয়ে মেয়ের পরিবার সংশ্লিষ্ট থানার আশ্রয় নেয়। থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) ঘটনার বিবরণ শুনে ২০০০ সালের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের ৯/১ ধারায় মামলা রেকর্ড করেন। যার মামলা নং ৬ / ২ ১।
মামলা হওয়ার পর নড়েচড়ে বসে এলাকার প্রভাবশালী মাসুদ মাষ্টার ও ধর্ষক হাসানের পরিবার। কৌশল করে ও ভয়ভীতি দেখিয়ে মেয়ের পরিবারকে আপসে বাধ্য করায়। এর ধারাবাহিকতায় গত ১৮ ফেব্রুয়ারী বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় গ্রাম্য সালীশ বসিয়ে মেয়ে ও তার পরিবার মিথ্যা মামলা করেছে বলে দোসারোপ করে এবং মামলা তুলে নিতে মোটা অংকের লোভ দেখাই। অবশেষে কিছু টাকার বিনিময়ে মামলা তুলে নিতে বাধ্য করায় মেয়ের পরিবারকে। পরবর্তীতে মামলার বিষয়ে মেয়ের পরিবারের সাথে কথা বললে তারা কোন কথা বলতে রাজি হননি। তারা বলেন, আমাদের কাউকে কোন কথা বলা নিষেধ আছে।
এবিষয়ে মামলার তদন্তকারি কর্মকর্তা হাটগাঙ্গোপাড়া পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের এসআই আতাউর রহমানের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, ধর্ষনের মামলা করা হয়েছে। আসামীকে ধরার জন্য চেষ্টা চলছে যেকোন সময় আসামী ধরে ফেলবো ইনশাল্লাহ। তবে আপস মিমাংসার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমার জানা নাই, তবে ধর্ষণ মামলায় কোন আপসের সুযোগ নাই। এ মামলার বিচার হবে আদালতে।