ডেইলী নিউজ বাংলা ডেস্ক , আপলোডের সময় : রবিবার, ২৮ ফেব্রুয়ারী, ২০২১ , আজকের সময় : শনিবার, ২৩ নভেম্বর, ২০২৪

রাজশাহীতে ভাগ্নের চুরির দায়ে মামাকে বলি

মাজহারুল ইসলাম চপল, ব্যুরো চীফঃ পূর্ব শত্রুতার জের ও মসজিদের ধান চুরিকে কেন্দ্র করে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে দুই পক্ষের সংঘর্ষে রাজশাহীর মোহনপুর উপজেলায় এক বৃদ্ধকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে।

শনিবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) রাত সাড়ে ৮টার দিকে উপজেলার মৌগাছি ইউনিয়নের খয়রা মাটিকাটা গ্রামে প্রকাশ্যেই এ ঘটনা ঘটেছে। নিহত বৃদ্ধের নাম কোব্বাস আলী (৫৫)। তিনি একই গ্রামেরই বাসিন্দা ছিলেন।

স্থানীয় লোক মারফত জানাযায়, খয়রা উক্তরপাড়া জামে মসজিদ থেকে প্রায় ২৫ দিন আগে ২০ কেজি ধান চুরি হয়। এরপর গ্রামবাসী নিশ্চিত হন যে, নিহত কোব্বাস আলীর ভাগ্নে সাদ্দাম হোসেন (২০) ধানগুলো চুরি করেছেন।

এ নিয়ে মসজিদ কমিটির সভাপতি আসরাফুল খুদা ও কোব্বাস আলীকে নিয়ে সালিশে বিষয়টির মিমাংসা করেন ৩০ কেজি ধান মুল্যে ৬০০ টাকায়। কিন্তু স্থানীয় মুসল্লিরা তা মেনে নেননি। এ নিয়ে কয়েকদিন ধরেই উত্তেজনা চলছিল। ঐ ঘটনার জের ধরে পরিকল্পনা অনুযায়ী শনিবার রাত ৮টার দিকে এলাকার সঙ্গে নিহত কোব্বাস আলীর কথা কাটাকাটি শুরু হয়।

একপর্যায়ে একই এলাকার আয়েজ এর ছেলে হাসান (২৫) কোব্বাস কে লাঠির বাড়ি মেরে পালিয়ে যায়, পরে নিহত কোব্বাসের লোকজন তেড়ে গেলে পূর্ব প্রস্তুত থাকা হাসেন ও তার ছেলেরা দেশীও অস্ত্র, লাঠিসোঠা, হাসুয়া দিয়ে এলোপাতাড়ি কোপাতে শুরু করে উভয়পক্ষ রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে লিপ্ত হয়। ধারালো অস্ত্র দিয়ে কোব্বাস আলীর ঘাড়ে কোপ দিয়ে মারাত্মক জখম করে ফেলা হয়।

এ ঘটনায় নিহত কোব্বাস আলীর দুই ছেলেও আহত হন। এই সংঘর্ষে উভয়পক্ষের ৭-৮ জন আহত হন। ঘটনার পরপরই আহতদের উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক কোব্বাস আলীকে মৃত ঘোষণা করেন। তৎক্ষনাৎ ৯৯৯ ফোন দিলে সঙ্গে সঙ্গে পুলিশ ফোর্স উপস্থিত হয় এবং পরিবেশ পরিস্থিত নিয়ন্ত্রনে আনে। এই নিয়ে এলাকায় থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে।

রাজশাহী জেলা পুলিশের মুখপাত্র ইফতেখায়ের আলম জানান, সংঘর্ষের খবর পেয়ে মোহনপুর থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে যায় এবং অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ( সার্কেল) সুমন দেব ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।

বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত হয়েছে। এঘটনার আর যাতে কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে সে ব্যাপারে পুলিশ সতর্ক অবস্থানে রয়েছে। তিনি আরও জানান, সংঘর্ষে গুরুতর আহত কয়েকজনকে মোহনপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে। ২৮ ফেব্রুয়ারি নিহতের স্ত্রী বাদী হয়ে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন। হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িতদের আটক করতে পুলিশ অভিযান শুরু করেছে বলেও জানান পুলিশে এই কর্মকর্তা।