দৌলতপুরে অবৈধভাবে ডি-৫ এম জলাশয় আদালতের আদেশ অমান্য করে মাছ ধরার অভিযোগ উঠেছে
জিল্লুর রহমান ডেইলি নিউজ বাংলা ডেক্স: কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলার খলিসাকুন্ডি ইউনিয়নের ডি-৫ এম জলাশয়ে আদালতের আদেশ অমান্য করে মাছ ধরার অভিযোগ উঠেছে। এ বিষয়ে হাফিজুর রহমান মুকুট জানান , ২০০৯ সালে খলিসাকুন্ডি ডি -৫ এম জি, কে এফ, সি, ডি, আই প্রকল্পের সুফলভোগী। খলিসাকুন্ডি মৎস্যজীবি সমবায় লিমিটেড নামে কমিটি অনুমোদন হয়।
পরে সকলে মিলে পর পর ৩ বার আমরা খলিসাকুন্ডি ডি-৫ এম জলাশয়ে ইজারা নিয়ে থাকি। মেয়াদ শেষ হলে ২০১৯ আবার ইজারা নেওয়া হয় ২০২৪ সাল প্রর্যন্ত। কিন্তু খলিসাকুন্ডি মৎস্যজীবি সমবায় লিমিটেড এর সভাপতি জাহাঙ্গীর হোসেন রবি, আমি জেল হাজতে থাকাকে পুঁজি করে উপজেলা মৎস্য অফিসারের যোগসাজশে কৌশলে আমাকে বাদ দিয়ে নতুন করে অবৈধভাবে জলাশয় দখল করে মাছ ধরে নিচ্ছে।
আমি কোন সুরাহা না পেয়ে দৌলতপুর থানায় লিখিত অভিযোগ দিলে ২২/৬/২০২০ তারিখে উপজেলা চেয়ারম্যান সাহেক কে অবগত করে আপোষ মিমাংসা হয়। কিন্তু জাহাঙ্গীর হোসেন, শক্তি খাটিয়ে আবার আগের মত জলাশয় দখল নিয়ে মাছ ধরা শুরু করে।
আমি পরে ৯/২/২১ তারিখে আদালতের সরণাপন্ন হয়। আদালতের সরণাপন্ন হওয়া তে মরিয়া হয়ে ওঠে জাহাঙ্গীর হোসেন সকল মাছ ধরার জন্য এলাকার বিভিন্ন স্থান থেকে জেলেদের ডেকে আনেন তিনি। তাই আমি এর সুষ্ঠু সমাধানের জন্য আইনের সকল সহযোগিতা কামনা করছি।
এ বিষয়ে জাহাঙ্গীর হোসেন জানান, আমাদের ইজারা নেওয়া জলাশয় থেকে আমরা মাছ ধরছি। হাফিজুর রহমান মুকুট তার অংশ আমার কাছে অনেক আগে হস্তান্তর করেছেন। তবে উপজেলা চেয়ারম্যান এর কাছে আপোষ মিমাংসার হয়নাই। তবে প্রতিবেদকে কোন কাগজ পত্র দেখান নাই জাহাঙ্গীর হোসেন রবি।
এ দিকে এলাকাবাসী জানান, আগে এক সাথেই মাছ ছাড়া ও বিক্রয় করতো রবি ও মুকুট বর্তমান যে পরিস্থিতি যে কোন সময় অনাকাঙ্ক্ষিত কোন ঘটনা ঘটতে পারে তাই আমরা এলাকার শান্তিশৃঙ্খলা রক্ষার থে সুষ্ঠু সমাধান চাই।
এ বিষয়ে উপজেলা মৎস্য অফিসার শহিদুল ইসলাম জানান, আমার কোন যোগসাজশ নাই এই ঘটনার সাথে। আমাকে যে কাগজ পত্র দেওয়া হয়েছে সেটাই আমি বাস্তোবায়ন করেছি।