রেজা মাহমুদ,নীলফামারী জেলা প্রতিনিধি: লকডাউনে সরকারের নির্দেশনা অমান্য করে অর্ধেক ঝাঁপ খোলা রেখে দিব্যি চলছে ব্যবসা। বাজারে মানুষ ভীড়। চলছে যানবাহনও। স্বাস্থ্যবিধির বালাই নেই কোনোখানে। এমন পরিস্থিতি নীলফামারীর সৈয়দপুর শহরে।
সোমবার (৫ এপ্রিল) লকডাউনের প্রথম দিন বিকেল পর্যন্ত অভিযান চালিয়ে দোকান খোলা রাখায় ৬ টি দোকান মালিক ও পথচারীরা মাস্ক না পড়ায় ৫৪ হাজার টাকা জরিমানা করেছেন সৈয়দপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. নাসিম আহমেদ।
সরেজমিনে ওইদিন সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত শহরের বঙ্গবন্ধু সড়ক, শহীদ ডা. জিকরুল হক সড়ক, শহীদ জহরুল হক সড়ক, শহীদ শামসুল হক সড়ক, শের-এ-বাংলা সড়ক, শহীদ ক্যাপ্টেন মৃধা শামসুল হুদা সড়কে ব্যাপক যানবাহন চলাচল চোখে পড়ে। যেন পরিস্থিতি অন্যান্য দিনের মতোই স্বাভাবিক।
বঙ্গবন্ধু সড়কে গেলে দেখা যায়, অধিকাংশ দোকানের অর্ধেক শাটার খোলা। বাইরে বসে আছেন ব্যবসায়ীরা। এর মধ্যে চলছে বেচাকেনা।মাঝে মধ্যে ইউএনও সৈয়দপুর থানা-পুলিশকে সঙ্গে নিয়ে ওই সড়কগুলোতে টহল দিচ্ছেন। প্রশাসনের উপস্থিতি টের পেয়ে ঝটপট ঝাঁপ বন্ধ করে পালিয়ে যাচ্ছেন দোকানিরা।
এ পরিস্থিতিতে শহরের ৬ টি দোকানমালিক ও পথচারীকে ভ্রাম্যমান আদালত বসিয়ে উল্লেখিত পরিমান জরিমানা করা হয়। এ নিয়ে কথা হলে ইউএনও মো. নাসিম আহমেদ বলেন , ‘সরকারি নির্দেশনা ও স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা সবার জন্য বাধ্যতামূলক। আমরা প্রয়োজনে আরও কঠোর হব।’
ব্যবসায়ীরা বলেন, হঠাৎ করে লকডাউন দেওয়া হলো, অথচ আমরা কী করে চলব, সে নির্দেশনা সরকার দেয়নি। ব্যবসা না করলে আমরা খাব কি?
সৈয়দপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা আবু মো. আলেমুল বাশার জানান, সৈয়দপুরে করোনা পরিস্থিতি ভীতিকর হয়ে উঠছে। এই মুহূর্তে হোম আইসোলেশনে রয়েছেন ১৩ জন। উপজেলায় এযাবৎ কোভিডে আক্রান্ত হয়েছেন ১৯৭ জন। এর মধ্য মারা গেছেন ১২ জন।