নীলফামারীতে গৃহবধুর অশ্লিল ছবি ফেসবুকে আপলোড, একঘরে পুরো পরিবার
রেজা মাহমুদ,নীলফামারী জেলা প্রতিনিধি: নীলফামারীতে গৃহবধু রুবিনা পারভীনের (ছদ্মনাম) স্বামীর বন্ধু মমতাজুল ইসলাম তার অশ্লীল ছবি ধারন করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে আপলোড করেছে। ঘটনাটি ঘটেছে সদর উপজেলার গোড়গ্রাম ইউনিয়নের ধোপাডাঙ্গা ডাঙ্গাপাড়া এলাকায়। এ ঘটনায় লোকলজ্জার ভয়ে পুরো পরিবার একঘরে হয়ে থাকলেও প্রভাবশালী হওয়ায় অধরা আপলোডকারী।
এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, একই উপজেলার চওড়া বড়গাছা ইউনিয়নের ঢেঁপড়ডাঙ্গা এলাকার আবুল কাশেমের ছেলে মমতাজুল ইসলাম ওই গৃহবধুর স্বামীর সাথে দীর্ঘদিনের বন্ধুত্বের খাতিরে প্রায়ই তার বাড়িতে যাওয়া আসা করত। সুসম্পর্কের একপর্যায়ে গৃহবধুকে ভুলিয়ে ভালিয়ে সে তার নিজের মোবাইল দিয়ে অশ্লীল ছবি ধারণ করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে আপলোড করে।
পরবর্তীতে এই ছবিগুলো ভাইরাল হলে ওই গৃহবধু ও তার স্বামী সহ পরিবারের উপর সামাজিক ও মানসিক চাপ সৃষ্টি হয়। হোটেল শ্রমীক স্বামী লোকলজ্জার ভয়ে কাজে যোগদান করতে পারছে না পারলেও অনায়াসে ঘোরা ঘুরি করছে মমতাজুল ইসলাম। এলাকার ইবনে মিজান সম্রাট, আলমগীর, লিমনসহ আরো অনেকে বলেন গ্রাম্য শালীশির নামে প্রভাবশালী মমতাজুল ইসলামকে বাঁচাত তার কাছে ৩ লাখ টাকা নিয়েছে এলাকার কিছু প্রভাবশালী লোকজন।
সেখান থেকে সত্তর হাজার টাকা দিয়ে জোর পূর্বক মিমাংশা হয়েছে মর্মে শালীশি কাগজে স্বাক্ষর নেয় রুবিনার পরিবারের কাছ থেকে। যার কারণে আজ লজ্জায় একঘরে পুরো পরিবার। নারীদের জীবন নিয়ে ছিনিমিনি খেলা এই সমস্ত লোভী হায়নার দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তির দাবী জানান এলাকাবাসী।
গোড়গ্রাম ইউনিয়ন চেয়ারম্যান রেয়াজুল ইসলাম বলেন, আমার এলাকার গৃহবধুর ছবি ফেসবুকে আপলোড করার বিষয়টি আমি সদর থানা ওসির কাছ থেকে জানতে পারি এবং তিনি একটি মোবাইল নাম্বার চাইলে আমি ওসিকে নাম্বার দিয়ে সহযোগীতা করি। এরপর কি হয়েছে আমি জানি না। এ বিষয়ে পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মোখলেছুর রহমান বিপিএম,পিপিএম বলেন, ফেসবুকে একজন নারীর অশ্লীল ছবি আপলোড করা মারাত্বক অপরাধ। থানায় অভিযোগ আসলে প্রয়োজনীয় ব্যাবস্থা নেওয়া হবে।